সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১

ইসরাইলকে আবারও ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিল ইরান

যাযাদি ডেস্ক
  ২৯ জুন ২০২৪, ১২:০৯
ছবি-সংগৃহীত

গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধের মাঝেই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু সরকার লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছে। হিজবুল্লাহকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ চালানোর হুঁশিয়ারি দেন তিনি। তবে লেবাননে সর্বাত্মক হামলা চালালে ইসরায়েলকে বিলুপ্তের ‘ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের’ পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান। খবর আলজাজিরার।

শনিবার (২৯ জুন) জাতিসংঘে ইরানের মিশন ইসরায়েলকে সতর্ক করে আরও বলেছে, লেবাননে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে হামলা চালালে ইসরায়েলকে পৃথিবীর মানচিত্র থেকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার যুদ্ধ শুরু হবে।

মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে থাকা ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর কথা উল্লেখ করে জাতিসংঘে ইরান মিশনের অফিসিয়াল এক্স অ্যাকাউন্টের এক পোস্টে বলা হয়, ‘সমস্ত বিকল্প উপায়সহ সব প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সম্পূর্ণ সম্পৃক্ততা নিয়ে আলোচনা চলছে।’

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে উত্তেজনার পারদ বৃদ্ধি পেয়েছে। ইসরায়েলি সরকার লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক আক্রমণের পরিকল্পনা অনুমোদন করার পর থেকে এ অঞ্চলে আরেকটি যুদ্ধ দরজায় কড়া নাড়ছে। ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মাঝে জার্মানি, কানাডা, নেদারল্যান্ডস ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দেশ তাদের নাগরিকদের লেবাননে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ও জরুরি ভিত্তিতে অঞ্চলটি ত্যাগ করার আহবান জানিয়েছে।

ইসরায়েল প্রতিদিনই সাধারণ ফিলিস্তিনিদের হত্যা করে যাচ্ছে। গত সোমবার থেকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় ১৩৯ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৩৩১ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয়কের কার্যালয় (ওসিএইচএ) এ তথ্য জানিয়েছে।

ওসিএইচএ’র সর্বশেষ প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, শুজাইয়া এবং এর আশপাশে ইসরায়েলের স্থল হামলার ফলে বৃহস্পতিবার গাজা শহরের পূর্ব ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে থেকে ৬০ থেকে ৮০ হাজার বাসিন্দা পালিয়ে গেছে।

এদিকে, আজ শনিবার সকালে গাজা শহরের একটি বাড়িতে বোমা হামলা চারজন নিহত এবং ১০ শিশু আহত হওয়া ঘটনা ঘটেছে। বার্তা সংস্থা ওয়াফা এ তথ্য জানায়। আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ১৩৭ বর্গকিলোমিটার ফসলি জমি নষ্ট হয়ে গেছে, যা উপত্যকাটির মোট আবাদি জমির শতকরা ৬০ ভাগ। ওই জমিগুলোতে আর কখনও ফসল হবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন পরিবেশবিদরা। গাজায় মোট আবাদি জমি রয়েছে ২৩০ বর্গকিলোমিটার।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
X
Nagad

উপরে