বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১

ভারতীয় রাজনীতিতে আলোচিত প্রথম মুসলিম নারী বিধায়ক সোফিয়া

যাযাদি ডেস্ক
  ১০ জুন ২০২৪, ০৯:২৮
-ফাইল ছবি

বাবার হাত ধরে রাজনীতিতে আসেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয় সোফিয়া। তিনি গত ২ নির্বাচনে বাবার হয়ে তিনি নির্বাচনি প্রচারণায় নামেন। এবার তিনি জনতার ভোটে নির্বাচিত হয়ে সরাসরি সংসদের গেলেন। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, নারীদের অধিকার নিয়ে কাজ করবেন।

জানা যায়, ভারতের ওড়িশা রাজ্যের প্রথম মুসলিম মহিলা বিধায়ক। বারাবতী-কটক আসন থেকে রেকর্ড গড়েছেন কংগ্রেসের সোফিয়া ফিরদৌস। মাত্র ৩২ বছর বয়সেই বিধানসভায় সোফিয়া। তার আগে ওড়িশা কোনো দিন মুসলিম নারী বিধায়ককে পায়নি। ওড়িশা তো বটেই, ভারতের জাতীয় রাজনীতিতেও এখন আলোচনা হচ্ছে সোফিয়াকে নিয়ে।

বারাবতী-কটক আসনে সোফিয়া হারিয়েছেন বিজেপির পূর্ণচন্দ্র মহাপাত্রকে। জয়ের ব্যবধান প্রায় ৮ হাজার ভোট। এই প্রসঙ্গে সোফিয়া বলেছেন, 'আমি আগে একজন ওড়িয়া, তার পর ভারতীয় নারী। যখন চাকরি করতাম তখনও নারীদের উন্নয়নের কথা ভেবেছি, নিজেকে কখনো মুসলিম রাজনীতিবিদ হিসাবে ভাবিনি।'

বরাবরই রাজনৈতিক পরিবারের মেয়ে সোফিয়া। বাবা মোহম্মদ মোকিম প্রবীণ কংগ্রেস নেতা। ২০১৪ এবং ২০১৯ সালে বাবার হয়ে প্রচার করেছিলেন সোফিয়া। এবার নিজে প্রার্থী হয়ে জিতলেন। এবার বাবা লড়তে পারবেন না জেনে বাড়িতে বহু সমর্থক হাজির হন। তাদের অনুরোধেই প্রার্থী হতে রাজি হন সোফিয়া। তাকে টিকিট দিয়ে সাফল্য পায় কংগ্রেসও।

কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজি থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক সোফিয়া। ২০২২ সালে বেঙ্গালুরুর আইআইএম থেকে একজিকিউটিভ জেনারেল ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম পাস করেন সোফিয়া। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আগে মেট্রো বিল্ডার্স প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সোফিয়া। সেটা তার বাবার সংস্থা। তার স্বামী মিরাজ-উল হকও বিখ্যাত শিল্পপতি।

সিআইআই-ইন্ডিয়ান গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিলের ভুবনেশ্বর বিভাগেরও কো-চেয়ারপার্সন সোফিয়া। এই বারাবতি-কটক আসন থেকে ১৯৭২ সালে জয়ী হন নন্দিনী সৎপথী। তিনিই ছিলেন ওড়িশার প্রথম নারী মুখ্যমন্ত্রী। সেই নন্দিনীতে অনুপ্রাণিতয়ে সোফিয়ার রাজনীতিতে পা রাখা। এবার বারাবতী-কটক আসনে জিতে নন্দিনীর মতোই রাজনীতিতে নিজের ছাপ রাখতে চান সোফিয়া। সূত্র : ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
X
Nagad

উপরে