সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভারতের ইতিহাতে দীর্ঘতম হাইপ্রোফাইল সেতুটি উদ্বোধন করেন। তখন তিনি বলেছিলেন ভারত সব পারে। কিন্তু তার এই কথার কয়েকদিনের মধ্যেই ভেঙে পড়লো অহংকারের সেতুটি।
জানা যায়, ভারতের বিহার রাজ্যে একটি নির্মাণাধীন সেতু ভেঙে অন্তত একজন নিহত এবং ১০ জন আহত হয়েছেন। রাজ্যটির সুপৌল জেলায় অবস্থিত ওই সেতুটি কোশি নদীর উপরে নির্মাণ করা হচ্ছিল।
এটিকে ‘হাইপ্রোফাইল সেতু’ বলে অভিহিত করেছে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো। হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, সুপৌল জেলার বকৌর থেকে মধুবনী জেলার ভেজার মধ্যেকার এই সেতুটি হতে যাচ্ছিল ভারতের দীর্ঘতম সড়ক সেতু। তবে শুক্রবার ওই নির্মাণাধীন সেতুর একাংশ ভেঙে পড়েছে। জানা গেছে, সেতুর ৫০, ৫১ ও ৫২ নম্বর পিলারের গার্ডার ভেঙে পড়েছে। এতেই হতাহতের ঘটনা ঘটে। এছাড়া প্রায় ৪০ শ্রমিক সাময়িক সময়ের জন্য আটকা পড়েছিলেন। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
সুপৌল জেলার কর্মকর্তা কৌশল কুমার একজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন। এছাড়া আরও ৯ জন আহত হয়েছেন বলে জানান তিনি। এই দুর্ঘটনার পর সেতু নির্মাণের ক্ষেত্রে যে সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছিল তার গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিশেষত ওই সেতু বেশ হাইপ্রোফাইল ছিল। কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রকের তত্ত্বাবধানে যৌথভাবে প্রায় এক হাজার কোটি রুপি মূল্যে ১০.২ কিলোমিটারের সেতুটি নির্মাণ করছে। গ্যামন ইন্ডিয়া এবং ট্রান্স রেল লাইটিং লিমিটেড।
প্রাথমিকভাবে ২০২৩ সালেই এর নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কোভিড মহামারির জন্য ডেডলাইন পিছিয়ে দেয়া হয়। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই সেতুর কাজ শেষ হয়ে যাবে। যদিও ভেঙে পড়ায় সেই সময় আরও বাড়তে পারে। এর আগে গত বছর জুন মাসে বিহারের ভাগলপুরে আরেকটি সেতু ভেঙে পড়েছিল।
যাযাদি/ এস