রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

খাজা টাওয়ারে ডাটা সেন্টারের কোনো ক্ষতি হয়নি: মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন

যাযাদি ডেস্ক
  ২৭ জুলাই ২০২৪, ২১:১১
ছবি-সংগৃহিত

বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, মহাখালীর খাজা টাওয়ারে অবস্থিত ডাটা সেন্টার ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি, বিটিআরসি এবং খাতসংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা ইন্টারনেটের নিরাপত্তা, গুজব প্রতিরোধ এ ব্যর্থতার দায় মহাখালীর খাজা টাওয়ারের ডাটা সেন্টারের ওপর চাপিয়ে দিয়েছে। আমরা গত দুদিন আগে দেশের স্বনামধন্য গণমাধ্যমে জানতে পারলাম খাজা টাওয়ারের ডাটা সেন্টার ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।

অথচ আইএসপি, এবি এবং বিটিআরসি ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বারবার ইন্টারনেট বন্ধের দায় চাপিয়েছেন ডাটা সেন্টার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে। আজ আমরা ভবন পরিদর্শন করে এবং ভবনের অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি এখানে কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। একটি বিষয় পরিষ্কার করে বলা দরকার, ডাটা সেন্টার হল কেবল সার্ভার সংরক্ষণাগার অর্থাৎ একপ্রকার লকার।

শনিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ মহাখালীর খাজা টাওয়ারে অবস্থিত ডাটা সেন্টার পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বলেন, ১৬-১৭ জুলাই সীমিত পরিসরে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ থাকলেও ১৮ তারিখ সন্ধ্যা থেকে সারা দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাসহ মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যায়।

অন্যদিকে টেলিযোগাযোগ ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেছিলেন, গুজব প্রতিরোধে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করা হয়েছে। পরবর্তীতে প্রতিমন্ত্রীও বলেছেন বিভিন্ন স্থানে ফাইবার কাটা এবং ডাটা সেন্টারে সন্ত্রাসী হামলার কারণে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রয়েছে। আমাদের জানামতে বিশ্বে একটানা সাত দিন ইন্টারনেট বন্ধ থাকা নজিরবিহীন। এমনকি যুদ্ধ বিধ্বস্ত গাজা ও ইউক্রেনে ইন্টারনেট সেবা এত দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকেনি।

তাৎক্ষণিক আমরা ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারের সভাপতির উদ্ধৃতি দিয়ে জানতে পারি, মহাখালীর খাজা টাওয়ারের ডাটা সেন্টারে সন্ত্রাসী হামলার কারণে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রয়েছে। ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ রেখে ন্যারো ব্র্যান্ডের ইন্টারনেট সেবা সরবরাহ করা হচ্ছে।

ইন্টারনেট খুলে দেওয়ার জন্য জাতিসংঘের মহাসচিব, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট, এবং দেশের ১৮ কোটি মানুষের জোরালো দাবি রয়েছে।

তাই আমরা মনে করি, ইন্টারনেট বন্ধ করার যৌক্তিকতা এবং কারণ উদঘাটনে প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের সহায়তায় দেশের প্রযুক্তি ও টেলিযোগ খাতের বিশেষজ্ঞ, স্টেক হোল্ডার, গণমাধ্যম এবং গ্রাহকদের প্রতিনিধি সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিশন গঠন করা জরুরি।

যাযাদি/ এম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে