কিভাবে আকাশে রংধনু সৃষ্টি হয়?

প্রকাশ | ০২ মে ২০২৪, ১৬:৫০ | আপডেট: ০৫ মে ২০২৪, ২১:৩৪

যাযাদি ডেস্ক
ছবি-সংগৃহিত

আকাশে রংধনু আমরা অধিকাংশ সময় দেখতে পায়। বিশেষ করে যখন বৃষ্টি হয় তখন এ রংধনু দেখা যায়। তবে, কখনো কি আমরা কেনো হয় বা কি কারণে হয় এর বিস্তারিত বিষয় ভেবে দেখেছি?  

রাংধনু কিংবা ইন্দ্রধনু হল একটি দৃশ্যমান ধনুকাকৃতি আলোর রেখা যা বায়ুমণ্ডলে অবস্থিত জলকণায় সূর্যালোকের প্রতিফলন এবং প্রতিসরণের ফলে ঘটিত হয়। 

সাধারণত বৃষ্টির পর আকাশে সূর্যের বিপরীত দিকে রংধনু দেখা যায়। রংধনুতে সাতটি রঙের সমাহার দেখা যায়। 

প্রাথমিক উজ্জ্বল রংধনুর একটু উপরে কম উজ্জ্বল আরেকটি গৌণ রংধনু দেখা যায়, যাতে রংগুলি বিপরীত পরিক্রমে থাকে। এই দুই ধনুর মধ্যবর্তী আকাশ (আলেক্সান্ডারের গাঢ় অঞ্চল) বাকি আকাশের থেকে একটু অন্ধকার হয়, তবে ভালো করে লক্ষ্য না করলে এই তারতম্য নজর এড়িয়ে যেতে পারে।

বৃষ্টির কণা বা জলীয় বাষ্প-মিশ্রিত বাতাসের মধ্য দিয়ে সূর্যের আলো যাবার সময় আলোর প্রতিসরণের কারণে বর্ণালীর সৃষ্টি হয়। 

কারণ বৃষ্টির পর বায়ুমণ্ডলে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পানির কণা ভেসে বেড়ায়। আর সূর্যের আলো যখন এই পানির কণার মধ্য দিয়ে যায়, তখন তার রঙের সাতটি রশ্মি বিভিন্ন কোণে প্রতিফলিত ও প্রতিসরিত হয়। 

এই বর্ণালীতে আলো সাতটি রঙে ভাগ হয়ে যায়। এই সাতটি রঙ হচ্ছে বেগুনী, নীল, আকাশি, সবুজ, হলুদ, কমলা ও লাল; এই রংগুলোকে তাদের আদ্যক্ষর নিয়ে সংক্ষেপে বলা হয়: বেনীআসহকলা। 

এই সাতটি রঙের আলোর ভিন্ন ভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যের কারণে এদের বেঁকে যাওয়ার পরিমাণে তারতম্য দেখা যায়। যেমন লাল রঙের আলোকরশ্মি ৪২° কোণে বাঁকা হয়ে যায়। অন্যদিকে বেগুনী রঙের আলোকরশ্মি ৪০° কোণে বাঁকা হয়ে যায়। 

অন্যান্য রঙের আলোক রশ্মি ৪০° থেকে ৪২°'র মধ্যেকার বিভিন্ন কোণে বাঁকা হয়। এই কারণে রংধনুর রঙগুলোকে একটি নির্দিষ্ট সারিতে সবসময় দেখা যায়।

যাযাদি/ এম