চার ‘অতিথি’কে নিয়ে মহাকাশে পাড়ি দিল স্পেস এক্স

প্রকাশ | ১৭ নভেম্বর ২০২০, ২০:১৭

যাযাদি ডেস্ক

ইঙ্গিত ছিলই। এবার অসম্ভবকে সম্ভব করে ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটাল নাসা। এই প্রথম কোনো বেসরকারি রকেটে চড়ে কক্ষপথের দিকে রওনা হয়েছেন চার নভোচারী। টেক বিলিয়নেয়ার এলন মাস্কের সংস্থা স্পেস এক্সের বাণিজ্যিক রকেটে তিন মার্কিন এক জাপানের নভোচারীকে নিয়ে আন্তর্জাতিক মহাকাশ সংস্থার দিকে রওনা দিল সোমবার।

 

এই নিয়ে দ্বিতীয়বার মহাকাশে মহাকাশচারী পাঠাল এই বেসরকারি সংস্থাটি। নাসা ও স্পেস এক্সের রকেট ও ক্যাপসুল কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করবে। এদিন ফ্লোরিডার বিখ্যাত কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে ওই পর্যটন মহাকাশ যানটি আইএশএশের দিকে রওনা দেয়। সাড়ে সাতাশ ঘন্টার সফরে পৃথিবীর কক্ষপথে ঘুরবে ক্যাপস্যুলটি। তারপর সেটি আন্তর্জাতিক স্পেস সেন্টারে পৌঁছাবে। সেখানে ৬ মাস কাটাতে পারবেন ওই চার মহাকাশচারী।

 

প্রসঙ্গত, উৎক্ষেপনের সময় কিছু যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা গিয়েছিল। কেবিনের ভেতরের তাপমাত্রা কন্ট্রোল সিস্টেমে কিছু সমস্যা দেখা গিয়েছিল। তবে তা তাড়াতাড়ি সমাধানও করে ফেলা হয়। আমেরিকার মাইকেল হপকিন্স, ভিক্টর গ্লোভার ও শ্যানন ওয়াকার এবং জাপানি মহাকাশ সংস্থার বিজ্ঞানী সোইচি নোগুচি - এই চারজন নভোশ্চর সুযোগ পেয়েছেন এই ক্যাপসুলে মহাকাশ ভ্রমণের জন্য। সেই সাথে এদিন ঘোষণা করা হয়, পরবর্তী যানটি পাড়ি দেবে ২০২১ সালের মার্চ মাসে।

 

এর আগে আমেরিকা বা রাশিয়া কেউই এমন ঘটনা ঘটায়নি। স্পেস এক্সের ক্যাপস্যুলের ভিতর চার অস্ট্রোনটের ছবি প্রকাশ করে সংস্থাটি। এত দিন যাবৎ আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে মহাকাশচারী পাঠাতে নাসা-কে রাশিয়ার রকেট ও ক্যাপসুলের উপরেই নির্ভর করতে হত। তবে স্পেস এক্সের এমনতর সাফল্যের পর সেই নির্ভরতা যে অনেকটাই কমবে, তা হারে হারে টের পাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল।

 

প্রথমবার উৎ‌ক্ষেপণ সরাসরি দেখতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত জো বাইডেন জানিয়েছেন, এটাই বিজ্ঞানের শক্তির প্রমাণ। আমরা আমাদের উদ্ভাবন, ক্ষমতা ও দৃঢ়তাকে কাজে লাগিয়ে কী কী অর্জন করতে পারি, এটা তারই প্রমাণ। পাশাপাশি ডোনাল্ড ট্রাম্প এ প্রসঙ্গে বেশি কথা বলতে করতে চাননি। শুধু গ্রেট বলেই কাজ সেরেছেন তিনি।

 

ড্রাগন ক্যাপসুল-কে (নাসা-স্পেস এক্সে ক্রো ড্রাগন) নিয়ে ঠিক সময়েই ভূ-পৃষ্ঠ ত্যাগ করে মহাকাশের দিকে পাড়ি দেয় ফ্যালকন-৯ রকেট। ড্রাগন ক্যাপসুল? এই ড্রাগন ক্যাপসুল-এ চড়েই দুই মহাকাশচারী হার্লি এবং বেনকেন কক্ষপথের উদ্দেশে পাড়ি দেন। আবহাওয়াবিদদের কথায়, ফ্লরিডার কেনেডি মহাকাশ কেন্দ্র থেকে ওড়ার সময়ে অনুকূল অবস্থা বজায় থাকার সম্ভাবনা ছিল খুবই কম। কিন্তু ভাগ্যক্রমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সুযোগের সদ্ব্যবহার করেন স্পেস এক্সের নিয়ন্ত্রকরা।