নবজাতক হাসপাতালে ‘নাইট্রিক  অক্সাইড জেনারেটর’ স্থাপন

প্রকাশ | ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৮:১১

যাযাদি ডেস্ক
ছবি: যায়যায়দিন

নবজাতকের প্রাণঘাতি রোগ ‘পারসিসটেন্ট পালমোনারী হাইপারটেনশন অফ নিউবর্ন’ (পিপিএইচএন) নিয়ন্ত্রণে যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে দেশে প্রথমবারের মত বাংলাদেশ নবজাতক হাসপাতালে ‘নাইট্রিক অক্সাইড জেনারেটর’ স্থাপন করা হয়েছে। 

এ উপলক্ষে সোমবার নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড মোড়স্থ বাংলাদেশ নবজাতক হাসপাতাল এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন, শিশু-মাতৃ স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, মাতুয়াইল, ঢাকার পরিচালক এবং বাংলাদেশ নিওনেটাল ফোরামের জেনারেল সেক্রেটারি ডা. মো. মজিবুর রহমান মুজিব। 

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নিওনেটাল ফোরামের প্রেসিডেন্ট (ইলেক্ট) অধ্যাপক ডা. বেগম শরিফুন্নাহার। 

এছাড়া দেশের বেশ কয়েকজন স্বনামধন্য নবজাতক বিশেষজ্ঞ, শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

দেশের বিশিষ্ট নবজাতক ও শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মজিবুর রহমান বলেন, প্রচলিত চিকিৎসায় প্রাইমারী পালমোনারী হাইপারটেনশনে আক্রান্ত ৫০ শতাংশেরও কম নবজাতককে বাঁচানো যায়। তবে নাইট্রিক অক্সাইড জেনারেটরের মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়া হলে ৯৮ শতাংশেরও বেশী রোগীর সুস্থ হবার সম্ভাবনা থাকে।
 
অধ্যাপক ডা. বেগম শরিফুন্নাহার বলেন, বাংলাদেশ নবজাতক হাসপাাতালের এ উদ্যোগ নবজাতকের মৃত্যু রোধে ব্যাপক অবদানের মাধ্যমে এসডিজি অর্জনে বিশাল ভূমিকা রাখবে। তিনি ‘নাইট্রিক অক্সাইড জেনারেটর’ স্থাপনের এই যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।
বাংলাদেশ নবজাতক হাসপাতালের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহমুদা সুলতানা আসমা বলেন, বিদেশে ‘নাইট্রিক অক্সাইড জেনারেটর’ এর মাধ্যমে পিপিএইচএন চিকিৎসা ব্যয়বহুল। 

তবে বাংলাদেশ নবজাতক হাসপাতাল অত্যন্ত স্বল্প খরচে অত্যন্ত স্বল্প খরচে পিপিএইচএন রোগের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে চায়। সহনীয় ব্যয়ে বিশ্বের সর্বাধুনিক চিকিৎসা সেবা দেওয়াই বাংলাদেশ নবজাতক হাসপাতালের মূল লক্ষ্য। 

প্রসঙ্গত, নবজাতকের পারসিসটেন্ট পালমোনারি হাইপারটেনশন (পিপিএইচএন) একটি বিপজ্জনক অবস্থা। যার ফলে জন্মের পর শিশু পর্যাপ্ত অক্সিজেন পায় না। ফুসফুসে রক্তনালীতে অতিরিক্ত চাপ জমা হয়। উচ্চ রক্তচাপ (পালমোনারি হাইপারটেনশন) শিশুর হৃদপিণ্ড এবং ফুসফুসের ক্ষতি করতে পারে। 

যাযাদি/ এম