চক্ষু বিজ্ঞান হাসপাতালে আন্দোলনে আহতদের কর্নিয়া প্রতিস্থাপন

প্রকাশ | ২১ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৫৬

বিশেষ প্রতিনিধি
ছবি : যায়যায়দিন

বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা থেকে শুরু করে পুর্নবাসনে সরকার আহতদের পাশে থাকবে জানিয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেছেন, চিকিৎসা থেকে শুরু করে রিহ্যাবিলিটেশন পর্যন্ত সরকারকে আন্দোলনে আহতদের পাশে দাঁড়াতে হবে।  এটা সরকারের দায়িত্ব।  

গতকাল ২০/১০/২০২৪ রাত আটটায় জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত দুইজন ইসরাফিল ও অনিকের কর্ণিয়া  প্রতিস্থাপন সার্জারি শেষে সাংবাদিকবৃন্দদের সাথে প্রেস ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম কথা এ কথা বলেন। 

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম চক্ষু হাসপাতালে আহতদের চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন এবং বিভিন্ন ওয়ার্ড পরিদর্শন করেন। এছাড়া সদ্য সার্জারিকৃত ইসরাফিল ও অনিকের পরিবারের সাথে সার্বিক বিষয়ে কথা বলেন।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত দুইজন রোগীর চোখে কর্ণিয়া ট্রান্সপ্লান্টেশন করার জন্য সেবা ফাউন্ডেশন, ইউএসএ, নেপাল থেকে অতি সংবেদনশীল কর্ণিয়াল টিস্যু বাংলাদেশে আনা হয়। এর আগে সেবা ফাউন্ডেশন থেকে ৪০ টি কর্ণিয়া পাবার আশ্বাস পাওয়া গেছে। তারই ধারাবাহিকতায় প্রথমবারের মতো আন্দোলনে আহত দুইজনের চোখের কর্ণিয়া ট্রান্সপ্লান্ট করা হয়। আজ সন্ধ্যায় এ সার্জারি সফলভাবে সম্পন্ন হয়।

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম আরো বলেছেন, বৈষম বিরোধী আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা এবং তারা যে ট্রমার ভেতর দিয়ে যাচ্ছে তা থেকে তাদেরকে তুলে আনার জন্য আমাদের চেষ্টা করতে হবে। শুধু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় না ব্যক্তি হিসেবে আমি আপনি সবাইকে তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। 

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা আরো বলেন, এখানে চোখের চিকিৎসার নানা ধাপ আছে আর চোখের চিকিৎসা আর সার্জারি কারো এক মাস কারো ছয় মাস লাগে । এভাবে চোখের অবস্থা ভালো হলে কর্ণিয়া সার্জারি করা হবে। পর্যাপ্ত কর্ণিয়া আমাদের রেডি আছে।

এ সময় জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. খায়ের আহমেদ চৌধুরীসহ হাসপাতালের ডাক্তারগণ উপস্থিত ছিলেন।

যাযাদি/ এস