রান্নার চুলার আগুন প্রথমে ওড়নায়, পরে শরীর ছড়িয়ে পড়ে। নেভানের আগেই দগ্ধ হয় শরীরের বেশিরভাগ। গুরুতর আহত হন গৃহবধূ শেফালী আক্তার। হাসপাতালে ৩০ ঘন্টা চিকিৎসা চলে। শেষপর্যন্ত মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের পাঠানটেক এলাকায়।
রোববার (৪ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ণ এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে, শনিবার দুপুর ২টার দিকে শেফালি আক্তার (৪০) নামের ওই গৃহবধূ দগ্ধ হওয়ার ঘটনাটি ঘটে।
নিহত শেফালি পাঠানটেক গ্ৰামের কাঠ মিস্ত্রী নজরুল ইসলামের স্ত্রী। তাদের তিন ছেলে আছে।
স্থানীয় বাসিন্দা সাইম প্রধান বলেন, স্বামী সন্তানের জন্য রান্না চড়িয়েছিলেন শেফালি। হঠাৎ অসাবধানতাবশত শেফালীর ওড়নায় আগুন লেগে যায়। তিনি আগুন নেভানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুন তার শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। দগ্ধ হয়ে চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে আগুন নেভায়। তবে আগুন নেভানোর আগেই ওই গৃহবধূর শরীরের বিভিন্ন অংশ দগ্ধ হয়ে যায়। এই ঘটনার সময় বাড়িতে তার স্বামী উপস্থিত ছিলেন না। গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় স্থানীয় লোকজন শেফালীকে দ্রুত ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করেন। চিকিৎসা চলা অবস্থায় রোববার তিনি মারা যান।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম নাসিম যায়যায়দিনকে বলেন, চুলার আগুনে ওই নারী দগ্ধ হয়েছেন এবং তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এমন খবর আমরা পেয়েছি। কিন্তু তিনি মারা গেছেন সেটা থানায় কেউ অবগত করেনি। যেহেতু রান্নার সময় আগুন লাগে এবং কোনো অভিযোগ উঠেনি তাই পুলিশ পাঠানো হয়নি। কিন্তু অভিযোগ পেলে আমরা পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নিব।
যাযাদি/ এস