সুপারস্টার শাকিব খানের ছবিতে ক্যামিও চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসিত মাহিয়া মাহী। বলা যায়, কাজ দিয়ে অনেক দিন পর আলোচনায় এলেন নায়িকা। ওই জায়গা থেকে হাসিখুশি থাকার কথা তার। কিন্তু দেখা গেল উল্টো চিত্র। সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করলেন বিরক্তি ও ক্রোধ।

তবে কোনো ব্যক্তি বিশেষের ওপর রুষ্ট নন মাহী। তিনি রাগ প্রকাশ করেছেন খবরের শিরোনাম দেখে। নিজের ফেসবুকে নায়িকা লিখেছেন, আমি খুব অবাক নামিদামি পত্রিকারও আজব আজব হেডলাইন দেখে। খুব বিরক্ত, রাগান্বিত। জাস্ট কিছু রিচ বাড়ানোর জন্য আপনাদের এমন টেকনিক আমাকে বিব্রত করছে। সবাই তো নিউজ পড়ে না জাস্ট হেডলাইন দেখেই জাজ করে ফেলে। এই অশান্তি আর ভালো লাগে না।

ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহী। অন্যদিকে, ঢালিউডের এই প্রজন্মের নায়ক জয় চৌধুরী। দুজনেই বিবাহিত। তবে সম্প্রতি স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছে মাহীর। এরপর সন্তান ফারিশকে নিয়েই থাকছেন তিনি। এদিকে ভালোবেসে নায়িকা নীড়কে বিয়ে করেছেন জয়। তাদের সংসারে রয়েছে একটি সন্তানও। তবুও নায়িকা মাহীর সঙ্গে নাকি চলছে তার গোপন সম্পর্ক!

সম্প্রতি একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে অংশ নিয়েছিলেন এই দুই তারকা। সেখানে তাদের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হয়। কথা প্রসঙ্গে মাহী বলেন, 'জয়ের সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক কিন্তু গোপন রেখে ছিলাম কারণ যে কোনো জিনিস গোপন রাখলে সেটা সুন্দর থাকে।'

এই সাক্ষাৎকার প্রকাশের পর থেকেই নতুন করে আলোচনায় এই দুই তারকা। তবে বিষয়টি নিয়ে এত হইচই পড়ে যাওয়া এবং গণমাধ্যমের প্রচারে বিরক্ত হয়েছেন মাহিয়া মাহী।

সোমবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেই ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে নায়িকা বললেন, 'আমি খুব অবাক নামিদামি পত্রিকারও আজব আজব হেডলাইন দেখে। খুব বিরক্ত, রাগান্বিত। জাস্ট কিছু রিচ বাডানোর জন্য আপনাদের এমন টেকনিক আমাকে বিব্রত করতেছে। সবাই তো নিউজ পড়ে না, জাস্ট হেডলাইন দেখেই জাজ করে ফেলে। এই অশান্তি আর ভালস্নাগে না। উফফ!'

ওই সাক্ষাৎকারে মাহীর সঙ্গে ভালো সম্পর্কের বিষয়ে জয় বলেন, 'খোলামেলা বিষয়টা আসলে সবাই ভালোভাবে নেন না। গোপন থাকলে বিষয়টার মাঝে একটা পবিত্রতা থাকে। মাহীর সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব অল্প দিনের হলেও আমাদের সম্পর্কের মাঝে গভীরতা অনেক।'

আর মাহী বলেন, 'অল্প সময়েই জয়ের সঙ্গে আমার বেশ ভালো বন্ধুত্ব হয়ে গিয়েছে। সে আমার সঙ্গে কোনো সিনেমায় কাজ করেনি। আর আমার সঙ্গে যে নায়করা কাজ করেন তাদের আমি শত্রম্ন ভাবি। যার কারণে তাদের সঙ্গে আমার সম্পর্কটা ভালো হয় না। জয়ের সঙ্গে আমার ২০১৯ থেকেই ভালো সম্পর্ক কিন্তু গোপন রেখে ছিলাম। কারণ, যে কোনো জিনিস গোপন রাখলে সেটা সুন্দর থাকে।'

'তার সংসার কেন ভাঙে। কেন হাজবেন্ডের সঙ্গে থাকতে পারল না বা হাজবেন্ড কেন তাকে সহ্য করতে পারছে না। অথবা তার ওয়াইফ কেন তার হাজবেন্ডকে সহ্য করতে পারছেন না। অথবা দু'জন কেন ভালো নেই। দু'জনের মধ্যে আসলে কী ঝামেলা হয়েছে- এগুলো তো আমরা আসলে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বুঝব না। তাই, আমরা কাউকে নিয়ে যেন জাজ না করি।'

ব্যবসায়ী সরকার রাকিবের সঙ্গে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহী দুই বছর আগে বৈবাহিক সম্পর্কে জড়ান। দু'জনেরই প্রথম বিয়ের বিচ্ছেদের পর তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। তিন বছরের মাথায় তাদের সংসারে ভাঙনের সুর শোনা গেল। মাহিয়া মাহী ভিডিও বার্তায় তাদের বিচ্ছেদের সিদ্ধান্তের কথা প্রকাশ্যে আনেন। হঠাৎ কী এমন হলো, তাদের বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিতে হলো; সেই বিষয়ে পরিষ্কার কিছু না বললেও শুধু এটুকু বললেন, 'আমাদের দু'জনের মধ্যে একটু সমস্যা আছে, তাই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছি।'

তারপরেই দেখা গেল দু'জনের পথ দুটো অজানা গন্তব্যে।

'আমাদের আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ হয়ে গেছে।' এই ছিল দু'দিন আগে দেওয়া চিত্র নায়িকা শারমিন আক্তার নিপা ওরফে মাহিয়া মাহীর সর্বশেষ ঘোষণা। তার এই ঘোষণায় ছিল না কোনো পিছুটানের লেশমাত্র বরং ছিল তার সামনেই এগিয়ে চলার প্রত্যয়। চলতি বছরের ফেব্রম্নয়ারিতে মাহী বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছিলেন। আর কাগজে-কলমে সেটারই আনুষ্ঠানিকতা পূর্ণ করলেন কিছুদিন পর।

সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মাহী বললেন, 'আমাদের বিচ্ছেদ হয়েছে। এর আগে আমরা দু'জনেই চেষ্টা করেছি একসঙ্গে থাকার। যখন দেখেছি চেষ্টা করেও লাভ হচ্ছে না, তখন আসলে চেষ্টাটা ছেড়ে দিয়েছি। একসঙ্গে থেকে তিক্ত হওয়ার চেয়ে বন্ধুত্বটা থাকা ভালো।'

কিন্তু একি এখনো কি তারনা করে না। এখনো আবার নতুন পথে এলিয়ে দেয় না। তারনা দিয়ে বলেই কারো সঙ্গে একটু আড়াল করি নিজেদের। কিন্তু সে জীবন আবার ফিরেয়ে আসেবে কোনোভাবে কোনো দিন।