সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

বইয়ের প্রকাশকদের ফিরিয়ে দিয়েছেন জায়েদ খান

তারার মেলা রিপোর্ট
  ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
বইয়ের প্রকাশকদের ফিরিয়ে দিয়েছেন জায়েদ খান

আলোচিত চিত্রনায়ক জায়েদ খান মনে করেন বই নিয়ে যারা মৌসুমি ব্যবসা করেন তাদের বিরুদ্ধে বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। কারণ এরা লেখা নয়, এরা ব্যবসা করতে চায়।

সংবাদমাধ্যমকে সম্প্রতি জায়েদ খান বলেন, 'শুধু খন্দকার মুশতাক আহমেদ ও তিশা দম্পতির সমালোচনা করলেই হবে না, আপনি খোঁজ নিন তাদের বই কারা বের করেছে। তারাও দোষী। কারণ কেউ ভাইরাল হলেই এসব প্রকাশনী তাদের বাড়ি বাড়ি চলে যায়, নানা প্রলোভন দেখিয়ে তাদের বই প্রকাশ করান।'

আলোচিত এই অভিনেতা বলেন, 'আমার পেছনে দুটা প্রকাশনী লেগে ছিল। তারা আমার বই বের করতে চায়। কিন্তু আমি

স্পষ্ট না করে দিয়েছি।'

জায়েদ খান বলেন, 'তারা আমার বই কেন বের করবে? আমি কি লেখক? আমি অভিনেতা, অভিনয় নিয়ে আমার কাজ। আমাকে কেন বই বের করতে হবে। কেন আমি তাদের ফাঁদে পা দেব। আজ যে খন্দকার মুশতাক কিংবা তিশা দম্পতির কথা বলছেন। তাদের লেখক বানানো হয়েছে। খোঁজ নিয়ে হয়তো দেখা গেছে, লেখালেখীর কথা তারা কখনো ভাবেইনি।'

ভাইরাল হলেই তাদের লেখক বানানোর চেষ্টা করে কতিপয় প্রকাশনী। এমনটাই মনে করেন এই চিত্রনায়ক। বললেন, 'দেখেন আমাকে যখন একটা প্রকাশনী থেকে যোগাযোগ করল, বললো ভাই, আপনার আমরা বই বের করতে চাই। আপনি বলবেন আমরাই লিখবো। তখন আমার রাগ লেগেছে। এ কেমন লেখক? আমি ছিলাম আর্টসের ছাত্র, মুখস্থ করেছি আর পরীক্ষার খাতায় লিখেছি। আমাকে তোমরা হুমায়ূন আহমেদ বানাতে চাও? নাকি আমার পরিচিতি কাজে লাগাতে চাও?'

অভিনেতা আরও বলেন, 'বইমেলা আমাদের প্রাণের মেলা। আমি যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তাম তখন এটা ছিল আমাদের আবেগের জায়গা। অদ্ভুত বিস্ময় নিয়ে মেলায় যেতাম, বই কিনতাম। লেখকদের পেলে অটোগ্রাফ নিতাম। সারপ্রাইজিং ব্যাপার ছিল সেসব। বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন যারা আসছে তারাও মেলায় যায়, তারা গিয়ে দেখে ভাইরালদের বই। এতে তারা কী শিক্ষা নেবে?'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে