তাকে তুলনা করা হতো সুস্মিতা সেন ও ঐশ্বরিয়া রাইয়ের সঙ্গে। ১৯৯৪ সালে ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া সুন্দরী প্রতিযোগিতায় সুস্মিতা ও ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে অংশ নিয়েছিলেন তিনিও। পরে নাম লেখান অভিনয়ে। প্রথম সিনেমা করেন অক্ষয় কুমারের সঙ্গে। অনেকেই মনে করেছিলেন তিনি হবেন, হিন্দি সিনেমার বড় তারকা। কিন্তু নানা বাঁকবদলে অভিনয় থেকে সরে গেছেন, পরে তো পাকাপাকিভাবে অভিনয় ছেড়ে সন্ন্যাসী বনে গেছেন। কে এই অভিনেত্রী?
এই অভিনেত্রী আর কেউ নন বরখা মদন। ১৯৭৪ সালে পাঞ্জাবে জন্ম নেওয়া বরখা অভিনয় করেছেন হিন্দি ও পাঞ্জাবি সিনেমায়। প্রযোজনা করেছেন বেশ কয়েকটি সিনেমাও।
শুরুটা হয়েছিল বিভিন্ন সুন্দরী প্রতিযোগিতা থেকে। এসব প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার পরেই নজর কাড়েন প্রযোজকদের। ১৯৯৬ সালে অক্ষয় কুমারের সঙ্গে হিন্দি সিনেমা 'খিলাড়িও কা খিলাড়ি' দিয়ে অভিষেক হয় তার। সিনেমায় বরখার অভিনয় প্রশংসিত হয় এবং আবেদনময়ী লুকের জন্য আলোচনায় আসেন।
পরে বরখাকে দেখা যায় ভারত-নেদারল্যান্ডসের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত সিনেমা 'ড্রাইভিং মিস পালমেন'-এ। ২০০৩ সালে রাম গোপাল ভার্মার 'ভূত' দিয়ে তার ক্যারিয়ার নতুন গতি পায়। কারণ, ছবিটি মুক্তির পরই হিট হয়। ছবিটিতে ভূতের চরিত্রে দেখা যায় বরখাকে। ২০১২ সালেই পুরোপুরি অভিনয় ছেড়ে বৌদ্ধ সন্ন্যাসিনীর জীবনযাপন করছেন বরখা মদন। পরে বরখা নিজের প্রযোজনা সংস্থা খোলেন। মূলত মূল ধারার বাণিজ্যিক সিনেমার বাইরে স্বাধীন ধারার নির্মাতাদের পাশে থাকতেই নিজে প্রযোজনা শুরু করেন বরখা। তার প্রযোজিত 'সোচ লো' ও 'সারখাব' প্রশংসিত হয়।
সিনেমা ছাড়া টিভি সিরিয়ালেও দেখা গেছে বরখাকে। ক্যারিয়ারে ২০টির মতো টিভি সিরিয়াল করেছেন তিনি। ২০১২ সালে নিজের প্রযোজিত 'সারখাব' সিনেমায় সর্বশেষ দেখা যায় বরখাকে। এ সময়েই তিনি বৌদ্ধ ধর্মের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন, দালাই লামার একনিষ্ঠ ভক্ত বনে যান।
২০১২ সালেই পুরোপুরি অভিনয় ছেড়ে বৌদ্ধ সন্ন্যাসিনীর জীবনযাপন করছেন বরখা মদন। নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে নিয়মিতই তার 'নতুন জীবন'-এর ছবি ও ভিডিও পোস্ট করেন।