শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শেষ হচ্ছে না বুবলীরহস্য

জাহাঙ্গীর বিপস্নব
  ১৯ নভেম্বর ২০২০, ০০:০০
শবনম বুবলী

ঢাকাই সিনেমার আলোচিত চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী। সংবাদ পাঠক হিসেবে ক্যারিয়ার গড়া বুবলি সরাসরি সিনেমায় প্রবেশ করেন ২০১৬ সালে 'বসগিরি' সিনেমার মধ্য দিয়ে। ক্যারিয়ারের প্রথম ছবিতেই শাকিবের বিপরীতে কাজ করার সুবাদে প্রথম ছবিতেই বাজিমাত করেন তিনি। আর শুরু থেকেই নানামুখী গুজব-গুঞ্জনের শিকার হন তিনি। যদিও এসব গুজব-গুঞ্জনকে পাত্তা না দিয়ে শাকিবের সঙ্গে একের পর এক ছবি করায় শক্ত একটা জুটি গড়ে তোলেন তিনি। এমনকি কাজ এবং কাজের বাইরে যেখানেই শাকিব খানকে দেখা যায়, সেখানেই বুবলীকে পাওয়া যায়। আর এ কারণে শুরু থেকেই শাকিব-বুবলীর রসায়ন নিয়ে তৈরি হয় ধূম্রজাল। শাকিব খানের সঙ্গে প্রেম-ভালোবাসা ও বিয়ের প্রশ্নের পর এবার নতুন রহস্যের সন্ধানে নেমেছে চলচ্চিত্র পরিবার। এই ধূম্রজাল আরও ঘনীভূত হয়ে নতুন এক রহস্যতে পরিণত হয়েছে। গত বছরের শেষের দিকে সর্বশেষ 'ক্যাসিনো' ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়ে বুবলী নিন্দুকের মুখে কুলুপ এঁটে দিয়েছিলেন। এ ছবির মাধ্যমে প্রথমবার শাকিবের বাইরে কোনো নায়কের সঙ্গে কাজ করেন। ছবিতে নীরবের বিপরীতে কাজ করেন এ নায়িকা। বুবলীকে সর্বশেষ দেখা যায় চলতি বছরের ফেব্রম্নয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে 'বীর' সিনেমায়।

তারপরের গল্পটা একেবারেই ভিন্ন। 'বীর' সিনেমার পর হঠাৎ করেই 'নেই' হয়ে যান বুবলী। নেই তো নেই-ই। এই 'নেই'-এর কোনো ব্যাখ্যাও পাওয়া যায়নি। মুঠোফোন, ফেসবুক- কোথাও নেই বুবলী। তখন থেকেই খবর রটে মা হচ্ছেন বুবলী। অপুর পথেই হাঁটছেন তিনি। কেউ বলেন, শাকিবের পরামর্শে আমেরিকায় চলে গেছেন এ নায়িকা। আবার পরিবারের সদস্যরা জানান, আমেরিকা নয়, ঢাকাতেই রয়েছেন বুবলী। এসব বিপরীতমুখী বক্তব্য এবং বুবলীর উধাও হয়ে যাওয়ার পর থেকেই এই গুঞ্জনের সূত্রপাত। চিত্রনায়ক শাকিব খানের সঙ্গে ৯টি সিনেমায় অভিনয় করে তারকা খ্যাতি পাওয়া শবনম বুবলী সিনেমা পাড়া থেকে অনেক দূরে। কতটা দূরে কেউ জানে না।

ধারণা করা হয়েছিল, লকডাউনের পর এক এক করে সবাই যখন কাজে ফিরছেন, অন্যদের মতো বুবলীও হয়তো ফিরে আসবেন তার শখের চলচ্চিত্র পাড়ায়। কিন্তু আগের মতই অন্তরালে থেকে গেলেন তিনি। প্রশ্ন উঠেছে, বুবলী এখন কোথায়? সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্রমেই প্রশ্নটি যখন ঘনীভূত হতে থাকে তখনই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উদয় হন তিনি। ফেসবুকে তিনি নতুন একটি প্রোফাইল ছবি আপলোড করে স্বস্তি এনে দেয় ভক্তদের মনে। কিন্তু স্বস্তির পর পরই অস্বস্তির জন্ম দেয় বুবলীর পোস্ট করা আরেকটি ছবি। দীর্ঘদিন আড়ালে থাকা এই নায়িকার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এখন শোভা পায় এক শিশুর ছবি। আর তা দেখে অপু বিশ্বাসের অন্তঃসত্ত্বার কথা। যদিও ছবিটির সঙ্গে সচেতনতামূলক একটি পোস্ট দিয়েছেন বুবলী। এই পোস্টে 'ইরা' নামে এক শিশুর গল্প বলেছেন বুবলী। এতে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন শিশুদের আনন্দ দেয়ার জন্য আকাশে তুলে ছেড়ে দিলে ভয়ংকর বিপদ ডেকে আনতে পারেন। বুবলী সংগৃহীত এই পোস্টে লিখেছেন, 'বাচ্চাদের আকাশে তুলে আবার কোলে নিয়ে আমরা অনেক আনন্দ পাই। বাচ্চারাও পায়। কিন্তু বাচ্চাদের শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ম্যাচিউর হতে অনেকদিন সময় লাগে। খুব সহজেই সেগুলো আঘাতপ্রাপ্ত হতে পারে। হাত ফসকে পড়ে গিয়েও ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। ইরাকে যখন বারবার উপরে তোলা হচ্ছিল, তখন গ্রাভিটির এগেইনস্টে তাকে বারবার উপরে তোলায় তার মস্তিষ্কের সঙ্গে মাথার খুলির হাড্ডির বারবার ধাক্কা লাগছিল।'

শিশুর মস্তিষ্ক ও হাড্ডি দুটোই নরম। বিষয়টি উলেস্নখ করে লিখেন, 'যেহেতু শিশুর মস্তিষ্কটাও নরম আর মাথার হাড্ডিটাও নরম তাই হাড্ডির সঙ্গে বারবার ধাক্কা লেগে তার মস্তিষ্কের ধমনি ছিঁড়ে যায়। ধমনি শিরাতে রক্ত চলাচল করে। মস্তিষ্কের ধমনি ছিঁড়ে রক্তক্ষরণ শুরু হয় মাথার ভেতরে। রক্তে থাকে গস্নুকোজ। গস্নুকোজ না পেলে মস্তিষ্ক ৪-৫ মিনিটের ভেতর মারা যায়। সঙ্গে জীবন্ত মানুষটাও। রক্ত সব ধমনি দিয়ে বের হয়ে আল্টিমেটলি মস্তিষ্ক ডেথ হয় ছোট্ট ইরার। তাই এসব ব্যাপারে জানুন, সতর্ক হোন, নিজে বাঁচুন, আপনার প্রিয়জনকেও বাঁচান।'

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চিত্রপুরীর অনেকেই অপু বিশ্বাসের উদাহরণ টানছেন। দীর্ঘ দিন অজ্ঞাতবাসের পর হঠাৎ সন্তান কোলে নিয়ে ক্যামেরার সামনে এসেছিলেন অপু বিশ্বাস। আবার অনেকের ধারণা, অন্তঃসত্ত্বা অনেক নারীই তাদের ফেসবুক প্রোফাইলে বা পোস্টে শিশুদের ছবি পোস্ট করেন। আবার শিশুদের নিয়ে সচেতনতামূলক পোস্ট করে থাকেন। বুবলীর ক্ষেত্রেও এমনটা হয়েছে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা! নানামনির, নানা মত দিলেও সত্যটা এখনো আড়ালে। আর এজন্য অপেক্ষা ছাড়া বিকল্প কিছু নেই!

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে