বর্তমানে স্মার্টফোন প্রতিটি বাড়িতে পাওয়া যাবে। আর এটির ফলে প্রায়ই প্রতিটি ঘরে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। আসলে শিশুদের স্মার্টফোন ব্যবহার থেকে বিরত রাখা বা ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব নয়। তারা স্মার্টফোন দেখে দেখে ছোট থেকে বড় হচ্ছে। তাই এটিতে তাদের চোখ আকৃষ্ট হবে, এটিই স্বাভাবিক। তবে অনেক সময় অভিভাবকদের তাদের জেদের কাছে হার মানতে হয়। তবে শিশুদের হাতে ফোন দেওয়ার অর্থ উদ্বেগজনক - তারা এমন কিছু দেখবে না তো, যা তাদের জন্য উপযোগী নয়?
আসলে স্মার্টফোনগুলো প্রাপ্তবয়স্কদের কনটেন্ট অ্যাক্সেস করা সহজ করে তুলেছে। তাই শিশুদের কাছে ফোন দেওয়ার আগে, আপনার কিছু সেটিংস সক্রিয় করা উচিত, যাতে সে অন্তত অভিভাবকদের ফোনে এ রকম কিছু দেখতে না পায়।
এটি করার জন্য আপনাকে প্রথমে অ্যান্ড্রয়েডে গুগল পেস্নরেসট্রিকশন চালু করতে হবে। এটি শিশুদের বয়সের জন্য উপযুক্ত নয়- এমন অ্যাপ, গেম এবং অন্যান্য ওয়েব রিসোর্স ডাউনলোড করতে বাধা দেয়।
এ জন্য প্রথমে গুগল পেস্ন স্টোরে যেতে হবে। এরপর বাম কোণে সেটিংসে যেতে হবে। এখানে 'প্যারেন্টাল কন্ট্রোল' অপশন পাওয়া যাবে। এটিতে ট্যাপ করলে একটি পিন সেট করতে বলা হবে। অভিভাবকরা এই পিন সেট করে 'প্যারেন্টাল কন্ট্রোলস' সেটিংস পরিবর্তন করতে পারেন। একবার পিন সেট হয়ে গেলে, প্রতিটি বিভাগের জন্য স্টোরভিত্তিক বয়স সেট করা যাবে। শুধু এই পিনটি শিশুদের বলা যাবে না।
সোশ্যাল মিডিয়া সেটিংস ইউটিউব এবং ইনস্টাগ্রামের মতো সোশ্যাল মিডিয়া পস্ন্যাটফর্মগুলোতে 'প্যারেন্টাল কন্ট্রোল' অপশন রয়েছে। অভিভাবকরা যদি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপগুলোতে 'প্যারেন্টাল কন্ট্রোল' চালু করেন, তাহলে সহজেই তারা শিশুদের কার্যকলাপ ট্র্যাক করতে পারবেন এবং তাদের ভুল জিনিসগুলো দেখা থেকে বিরত রাখতে পারবেন।
একটি পৃথক ই-মেইল আইডি অনেক সময় সুবিধার জন্য, অভিভাবকরা শিশুদের তাদের নিজস্ব ই-মেইল আইডি ব্যবহার করে সব অ্যাপ চালানোর অনুমতি দেন। কিন্তু শিশুদের জন্য একটি ব্যক্তিগত ই-মেইল আইডি তৈরি করা উচিত হবে। এর মাধ্যমে অভিভাবকরা শুধু শিশুদের ভুল বিজ্ঞাপন থেকেই দূরে রাখতে পারবেন না, বরং সহজেই সন্তানদের ইন্টারনেট কার্যকলাপ ট্র্যাক করতে পারবেন।
ইন্টারনেট নিরাপত্তা টিপসের পাশাপাশি শিশুদের ইন্টারনেট নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতন করাও অভিভাবকের কর্তব্য। শিশুদের ভাইরাস, ম্যালওয়্যার, সাইবার অপরাধ এবং অনলাইন পেমেন্ট সম্পর্কিত জালিয়াতি সম্পর্কে জানিয়ে রাখলেও অনেকটা কাজ হবে।