এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে তথ্য আদান-প্রদান
প্রকাশ | ১৭ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক
ডিজিটাল এই যুগে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা সবাই কম-বেশি মডেম শব্দটির সঙ্গে পরিচিত। অফিস-আদালত থেকে শুরু করে বাসাবাড়িতেও এখন মডেমের দরকার হয়।
ইন্টারনেট একটি নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা যা ডেটা পরিবহণের মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। কম্পিউটার বাইনারি বা ডিজিটাল পদ্ধতিতে কাজ করে। অন্যদিকে নেটওয়ার্ক হচ্ছে ক্যারিয়ার তাই এটি অ্যানালগ বা ক্যারিয়ারেবল সিগনাল পরিবহণ করতে পারে।
মডেমের পূর্ণ নাম হলো- গড়ফঁষধঃরড়হ ফবসড়ফঁষধঃরড়হ। অতএব, বলা যায় যে গড়ফবস হলো- গড়ফঁষধঃরড়হ ফবসড়ফঁষধঃরড়হ উবারপব, যার মাধ্যমে কোনো ডেটাকে স্থানান্তরের কাজ সম্পন্ন করা হয়। মূলত মডেম হলো গড়ফঁষধঃড়ৎ ও উবসড়ফঁষধঃড়ৎ-এর সংক্ষিপ্ত রূপ। মডেম একটি যোগাযোগ ডিভাইস বা ট্রান্সমিশন সিস্টেম, এটি একই সঙ্গে ইনপুট এবং আউটপুট ফাংশন সম্পাদন করে, ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে ডেটা প্রেরণ বা গ্রহণ করতে একটি কম্পিউটার সিস্টেমের অবশ্যই একটি মডেম থাকতে হবে। কম্পিউটার সিস্টেমে মডেমের মূল কাজটি হলো কম্পিউটার থেকে ডেটা প্রেরণ করা এবং অন্যদিকে কম্পিউটার গড়ফবস থেকে একই ডেটা গ্রহণ করে। অর্থাৎ এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে তথ্য আদান-প্রদানের জন্য গড়ফবস একটি ট্রান্সমিশন সিস্টেম হিসেবে কাজ করে।
মডুলেটর হলো ডিজিটাল সিগন্যালগুলোকে অ্যানালগ সিগন্যালে রূপান্তরিত করে এবং টেলিফোন লাইনের মাধ্যমে প্রেরণ করে অন্যদিকে ডেমডুলেটর হলো গড়ফবস প্রাপ্তি অ্যানালগ সংকেতগুলোকে ডিজিটাল সিগন্যালে রূপান্তর করা।
মডেম হলো এমন একটি যন্ত্র যা একটি প্রেরিত অ্যানালগ সংকেতকে ডিজিটাল তথ্যে রূপান্তর করে এবং ডিজিটাল তথ্যকে পাঠানোর সময় আনকোড করে অ্যানালগ সংকেত হিসেবে প্রেরণ করে। এর উদ্দেশ্য হলো সহজে সংকেত পাঠানো এবং তা আবার একই রকমভাবে অন্যপ্রান্তে পাওয়া। ট্রান্সমিশন বা তথ্য প্রেরণের যে কোনো কাজে মডেম ব্যবহার করা যায় রেডিও থেকে ডায়োড পর্যন্ত।
সবচেয়ে পরিচিত উদাহরণ হলো- ভয়েসব্যান্ড মডেম যেটা পারসোনাল কম্পিউটারের ডিজিটাল ডেটাকে ইলেট্রিকাল সিগনালে পরিণত করে টেলিফোনের ভয়েস ফ্রিকোয়েন্সি রেঞ্জ চ্যানেলে পাঠায়, অন্যপ্রান্তে আরেকটি মডেম দ্বারা ডিজিটালে পরিণত হয়। মডেমগুলো সাধারণত ভাগ করা হয় কত পরিমাণ ডেটা তারা পাঠাতে পারে একক সময়ে তার ওপর। সাধারণত মাপা হয় সেকেন্ড প্রতি বিট (নঢ়ং) হিসেবে। এগুলো এক একক সেকেন্ডে কত পরিমাণ সংকেত পাঠাতে পারে তার ভিত্তিতে ভাগ করা যায়।
মডেমের গতি : যে হারে কোনো গড়ফবস ডিজিটাল সিগন্যালকে অ্যানালগ সংকেতে রূপান্তর করে এবং ট্রান্সমিশন মিডিয়া ও মডেমের মাধ্যমে প্রেরণ করে অ্যানালগ সংকেতকে ডিজিটাল সিগন্যালে রূপান্তরিত করে তাকে গড়ফবস গতি বলে। এটি বিট প্রতি সেকেন্ডে পরিমাপ করা হয় (বিপিএস)।
দুই ধরনের গড়ফবস রয়েছে : প্রথমটি ইথারনেট গড়ফবস যা কম্পিউটার নেটওয়ার্ক কার্ডে পস্নাগ হয়, দ্বিতীয়টি ওয়্যারলেস গড়ফবস।
গড়ফঁষধঃরড়হ : গড়ফঁষধঃরড়হ হলো ডিজিটাল ডেটাকে অ্যানালগ সিগনালে রূপান্তর করার প্রক্রিয়া।
উবসড়ফঁষধঃরড়হ : উবসড়ফঁষধঃরড়হ হলো সড়ফঁষধঃব-কৃত অ্যানালগ সিগন্যালকে ডিজিটাল ডেটাতে রূপান্তর করার প্রক্রিয়া।
একজন ব্যবহারকারী যখন ডিজিটাল সংকেতের মাধ্যমে কোনো নির্দেশ প্রদান করে তখন তা সড়ফঁষধঃব হয়ে ংবৎাবৎ-এ নক করে তখন ংবৎাবৎ থেকে প্রক্রিয়াকরণের পর ফবসড়ফঁষধঃব হয়ে ব্যবহারকারীকে প্রদর্শন করে।
ভয়েস মডেম : ভয়েস মডেমগুলো সাধারণ মডেম যেগুলো টেলিফোন লাইনের মাধ্যমে প্রেরণকৃত অডিও বা শব্দ ধারণ করার ক্ষমতা সম্পন্ন ছিল।
গড়ফবস গড়ফঁষধঃরড়হ এবং উবসড়ফঁষধঃরড়হ কার্য দু'টি সম্পাদন করে থাকে। ডিজিটাল সংকেতকে অ্যানালগ সংকেতে রূপান্তর করাকে গড়ফঁষধঃরড়হ এবং অ্যানালগ সংকেতকে ডিজিটাল সংকেতে রূপান্তর করাকে উবসড়ফঁষধঃরড়হ বলে। এ কাজ দু'টি মডেমের মাধ্যমে সম্পাদিত হয়। যখন কম্পিউটার হতে ইনফরমেশন গড়ফবস-এ যায় তখন এটি ডিজিটাল সংকেতকে অ্যানালগ সংকেতে রূপান্তর করে। আবার যখন রূপান্তরিত অ্যানালগ সংকেত অন্যপ্রান্তে অন্য কম্পিউটারে যুক্ত গড়ফবস-এ পৌঁছে তখন তা আবার ডিজিটাল সংকেতে রূপান্তর করে। এভাবেই দু'টি কম্পিউটারের মধ্যে গড়ফবস-এর সাহায্যে যোগাযোগ স্থাপন করা যায়। মডেম টেলিফোন লাইন, ঈড়-ধীরপধষ ক্যাবল, ফাইবার অপটিক্স ইত্যাদির মাধ্যমে ডেটা আদান-প্রদান করতে পারে। সীমাবদ্ধ ও আন্তর্জাতিক উভয় নেটওয়ার্কে কম্পিউটারকে অন্তর্ভুক্ত করতে হলে এর সঙ্গে মডেমের সংযোগ দিতে হয়। এটি বৈদু্যতিক তরঙ্গের বিস্তার হ্রাস বৃদ্ধি করে অ্যানালগ ও ডিজিটাল তরঙ্গের পারস্পরিক রূপান্তর ঘটাতে পারে।
যখন মডেম দ্বারা ইন্টারনেট সংযোগ করা হয় তখন কম্পিটারের ডিজিটাল ডেটা ট্রান্সফার করলে তা প্রথমে মডেমে যায়। মডেম এটি মডুলেশন করে ক্যারিয়ারেবল অ্যানালগ সিগন্যালে রূপান্তর করে। এরপর ক্যারিয়ার সিগন্যালে মিশিয়ে দেয় অর্থাৎ ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়। ইন্টারনেট তা বহন করে গন্তব্যে নিয়ে যায়। আবার যখন ইন্টারনেট থেকে ডেটা আসে তখন প্রথমে মডেম তা রিসিভ করে ডিমডুলেশন করে। অর্থাৎ ক্যারিয়ার সিগনালকে পরিবর্তন করে বাইনারি বা ডিজিটাল সিগনাল এ রূপান্তর করে কম্পিউটারে প্রদান করে। ফলে আমরা ডেটা গ্রহণ করতে পারি। এভাবেই মডেম কাজ করে।