এটা বলা যাবে না, ব্যবসায়ের পণ্য হিসেবে স্মার্টফোনের দিন শেষ। পৃথিবীর ৭ বিলিয়ন লোকের মধ্যে প্রায় ৩.৫ বিলিয়ন মানুষ স্মার্টফোন ব্যবহার করে। বাচ্চাদের ছাড়া সে হিসাবে আরও প্রায় ১ বিলিয়ন লোকের সম্ভাবনাময় বাজার রয়েছে এই স্মার্টফোনের। আর যার একটি স্মার্টফোন রয়েছে, সে তার ফোনটি পরিবর্তন করে অন্তত দুই বছর অন্তর; যার ফল হিসাবে আজকে অ্যাপেলের মূল্য ৬০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে।
তবে উল্টো হিসাব দেখাচ্ছে এরিকসন কনজিউমার লেবসের একটি জরিপ। সেখানে বলা হচ্ছে, প্রায় অর্ধেক উত্তরদাতার একই জবাব ছিল, এরপর থেকে তারা হয়ত স্মার্টফোন আর ব্যবহার করবে না। তারা স্মার্টফোনের সেসব অ্যাপসকে আরও সহজভাবে ব্যবহার করতে ইচ্ছুক।
প্রকৃতপক্ষে কোনো একটি বিকল্প কিছু স্মার্টফোনের বিকল্প হিসেবে হতে পারবে না। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ডিভাইস, সফটওয়্যারগুলো বিকল্প হতে পারে স্মার্টফোনের। যেমন- একটি স্মার্ট ঘড়ি যার সঙ্গে থাকবে ইলেকট্রনিক চশমা, একটি টাচ স্ক্রিন রান্নাঘর, গাড়ি, অকলাস লিফট ইত্যাদি। অথবা একটি স্মার্ট রিং বা আংটি যেটার মাধ্যমে তাদের সব যোগাযোগ সম্পন্ন করতে পারবে।
সাম্প্রতিক সময় মটোরোলা মোবিলিটি একটি ডিভাইসের পেটেন্ট নিয়েছে, যা বসানো হবে চামড়ার নিচে এবং যা ভয়েস কমান্ড শুনে তাকে নির্বাহ করতে সক্ষম। যদি কোনো সেবার জানা প্রয়োজন পড়ে আপনি কে তবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তা আপনার ভয়েস, চোখ এবং হাতের ছাপ স্ক্যান করে তাকে জানিয়ে দিতে পারবে।
বস্তুত স্মার্টফোন ততক্ষণ পর্যন্ত বাজার থেকে উঠে যাবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত ল্যাপটপ বাজারে থাকবে। আপনি যখন ঘরের বাইরে থাকেন অর্থাৎ আপনার টেক লাইফ থেকে একটু দূরে অবস্থান করছেন তখন এই মোবাইলে আপনি ইচ্ছা করলে ভিডিও দেখতে পারেন, খবর পড়তে পারেন এবং ছবিও তুলতে পারেন। আর এটাই ল্যাপটপের সঙ্গে মোবাইল ফোনের সাদৃশ্য। খুব বেশিদিন আগের ঘটনা নয়, যে সময় নতুন ল্যাপটপ কিনতে পারাটা বেশ আগ্রহের বিষয় ছিল। সে রকমই ঘটছে, বর্তমানে স্মার্টফোনের বেলায়। প্রযুক্তিতে থাকবে নেটওয়ার্ক কানেক্টেড, থাকবে অনেক সেন্সর এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবেই নিয়ন্ত্রিত হবে সেই জিনিস। তারই অপেক্ষায় এখন প্রযুক্তি নির্মাতারা।