আমাদের ধরণীকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে পরিবেশকে বাঁচাতে হবে। বর্তমান প্রজন্ম সে বিষয়ে অনেক বেশি সচেতন। দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তাই গড়ে উঠেছে বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠন। তেমনি একটি সংগঠন 'গ্রিন এক্সপেস্নার সোসাইটি'। যারা কাজ করে থাকে।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) একমাত্র পরিবেশবাদী সংগঠন হিসেবে। সম্প্রতি গ্রিন এক্সপেস্নার সোসাইটির আয়োজনে সপ্তাহব্যাপী 'গ্রিন ফেস্টিভ্যাল' অনুষ্ঠিত হয়। গত ৩ মার্চ হতে ৭ মার্চ পর্যন্ত উক্ত কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
কার্যক্রমের প্রথম দিনেই ক্যাম্পাসের তিনটি মূল পয়েন্টে সচেতনতামূলক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান 'গ্রিন সাস্ট মুভমেন্ট' পরিচালিত হয়।
দ্বিতীয় দিনের কার্যক্রম চলে জিন্দাবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। 'পরিবেশ দূষণ এবং নিয়ন্ত্রণে করণীয়' প্রতিপাদ্যকে সামনে নিয়ে 'স্কুল ক্যাম্পেইন' এবং কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। স্কুলটির চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এতে অংশগ্রহণ করে।
গ্রিন ফেস্টিভ্যালের তৃতীয় দিনের কার্যক্রম হিসেবে আয়োজন করা হয় সেমিনার। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাইমেট অ্যান্ড ডিজেস্টার বিভাগের তত্ত্বাবধানে সেমিনারটি আয়োজন করা হয়। সেমিনারের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল- 'নলেজ শেয়ারিং সেশন উইথ ক্লাইমেট ভলেন্টিয়ারস অন ক্লাইমেট অ্যান্ড ডিজেস্টার ম্যানেজমেন্ট ইন সিলেট সিটি'।
সপ্তাহব্যাপী কার্যক্রমের মধ্যে অন্যতম ছিল- চিত্র প্রদর্শনী। 'গ্রিন ফটোগ্রাফি কনটেস্ট' এর নির্বাচিত প্রথম ৩০ জনের ছবি নিয়ে ক্যাম্পাসের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে তিন দিনব্যাপী ফটো এক্সিবিশন সম্পন্ন হয়। শেষ দিন বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার এবং সার্টিফিকেট বিতরণের মাধ্যমে গ্রিন ফেস্টিভ্যাল ইভেন্ট এর সমাপ্তি ঘটে।
গ্রিন ফেস্টিভ্যাল সম্পর্কে সংগঠন এর সভাপতি কাজী দানিয়েল মামুন বলেন, পরিবেশকে বাঁচিয়ে রাখতে, সুন্দর রাখতে আমাদের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা এবং ইচ্ছাশক্তি প্রয়োজন। সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে সচেতন থাকলে দূষণমুক্ত পরিবেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
গ্রিন ফেস্টিভ্যালের সুন্দরভাবে আয়োজনের জন্য সংগঠন এবং সংগঠন এর বাইরে যারা বিভিন্ন কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত ছিল, তাদের সবাইকে তিনি আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।