বস্নাডব্যাগের এ্যাপে 'রক্তদাতার তথ্যদান'
প্রকাশ | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
টি এইচ মাহির
সম্প্রতি বস্নাডব্যাগ সংঘটন নতুন একটি ক্যাম্পেইন শুরু করেছে। সারাদেশ থেকে বস্নাড ডোনার সংগ্রহ করবে বস্নাডব্যাগ। গত ফেব্রম্নয়ারি ১, ২০২৪ ইং তারিখ হতে 'রক্তদাতার তথ্যদান' ক্যাম্পেইনটি ২৯ ফেব্রম্নয়ারি, ২০২৪ ইং পর্যন্ত চলমান থাকবে। বস্নাডব্যাগের নিজস্ব চ্যাটবটে মাত্র সাতটি ধাপে রক্তদাতারা তাদের তথ্য দিবেন। এই তথ্য ব্যবহার করা হবে বস্নাডব্যাগ অ্যাপে রক্তের আবেদনের ক্ষেত্রে। রক্তযোদ্ধারা ও আগ্রহী ব্যক্তিরা সহজেই মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামে বস্নাডব্যাগের চ্যাটবট ব্যবহার করে তাদের ও অন্য আগ্রহী/রক্তযোদ্ধাদের তথ্য দান করতে পারবে এবং পরে তাদের আগ্রহের ভিত্তিতে ছবি প্রদানের মাধ্যমে, 'প্রাউড বস্নাড ডোনার' প্রোফাইল ফ্রেমসহ একটি ছবি সঙ্গে সঙ্গেই তৈরি করে নিতে পারবেন। নিজের নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, সর্বশেষ রক্তদানের তারিখসহ সাতটি তথ্য দিয়ে এই ক্যাম্পেইনের ডোনার হতে পারবেন রক্তদাতারা। রক্তদাতাদের দেওয়া এই তথ্যগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা অন্য কোথাও প্রচার করা হবে না। বস্নাডব্যাগের টেলিগ্রাম : যঃঃঢ়ং://ঃ.সব/নষড়ড়ফনধমথনড়ঃ, হোয়াটসঅ্যাপ :যঃঃঢ়ং://ধি.সব/৮৮০১৭৬৫৬৯৪০২৮, মেসেঞ্জার : যঃঃঢ়ং://স.সব/নষড়ড়ফনধম.ড়ৎম, ইনস্টাগ্রাম :যঃঃঢ়ং://রহংঃধমৎধস.পড়স/ নষড়ড়ফনধম.ধঢ়ঢ়-এর মাধ্যমে রক্তদাতার তথ্য প্রদান করতে পারবেন।
বস্নাডব্যাগ একটি অলাভজনক সংস্থা। রক্তদানকে একটি নিরাপদ ইকোসিস্টেমে আনতে ২০২২ সালে বেসিস ন্যাশনাল আইসিটি অ্যাওয়ার্ড অর্জন করে বস্নাডব্যাগ। এ ছাড়া ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক দ্য রেজলু্যশন প্রজেক্ট আয়োজিত 'এশিয়া প্যাসিফিক রিজিওনাল ২০২৩'-এর সোশ্যাল ভেঞ্চার চ্যালেঞ্জ জিতেছে বাংলাদেশের তিন তরুণের প্রকল্প 'বস্নাডব্যাগ'। এতে ফেলোশিপ পেয়েছেন রিজওয়ানুল হক ও ফজলে রাব্বি নামের দুই তরুণ। বস্নাডব্যাগ প্রকল্পের প্রতিনিধি হিসেবে ফেলোশিপ অর্জন করেছেন তারা। রিজওয়ানুল হক বস্নাডব্যাগের একজন প্রতিষ্ঠাতা। বর্তমানে তিনি ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি চট্টগ্রামে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা করছেন। বস্নাডব্যাগের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ফজলে রাব্বি পড়াশোনা করছেন ফুলপুর সরকারি কলেজে। বস্নাডব্যাগের আরেক প্রতিষ্ঠাতা ফাতিন সাদাব লিয়ান আছেন ঢাকা থেকে। এছাড়াও বস্নাডব্যাগের সঙ্গে সংযুক্ত আছেন বাংলাদেশ এবং বিদেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। উদ্যামী এই তরুণদের সঙ্গে বিভিন্ন শিক্ষা সংগঠন এবং প্রতিষ্ঠান।