শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১

২০২৩ এর বিজ্ঞানের চমক

২০২৩ সাল বছরজুড়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ছিল জয়জয়কার। পদার্থবিজ্ঞান এবং রসায়নে কোয়ান্টাম জগতে ব্যাপক অগ্রগতি দেখা দিয়েছে। জিন গবেষণাসহ নানান বিষয়ে উন্নতি লাভ করেছে বিজ্ঞানী এবং গবেষকরা। ২০২৩ সালে বিজ্ঞানের নানান সাফল্য তুলে ধরা হলো
টি এইচ মাহির
  ১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
২০২৩ এর বিজ্ঞানের চমক

পদার্থবিজ্ঞান : বছরজুড়ে পদার্থবিজ্ঞানে ছিল নানান চমক। নাসার জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ আবিষ্কার করেছে মহাবিশ্বের অতীত আলোর। মহাবিশ্বের বিভিন্ন গুরত্বপূর্ণ গ্যালাক্সির ছবি তুলে এনেছে এই টেলিস্কোপ। তাছাড়া এই টেলিস্কোপ থেকে পাওয়া তথ্য সাহায্য করবে বিজ্ঞানীদের।

পরমাণুর কেন্দ্রে থাকা নিউক্লিয়াসের প্রোটনকে দেখতে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। নিউট্রিনো নামে এক ধরনের অতি পারমাণবিক কণার সাহায্যে প্রোটনকে দেখতে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তাছাড়া এসএক্স-এসটিএম (ঝঢ-ঝঞগ) নামে এক ধরনের এক্স-রে ব্যবস্থার সাহায্যে পরমাণুর ইলেক্টন বিন্যাস করেছেন তারা। বলা হচ্ছে টিকা গবেষণায় এই এক্স-রে কাজে আসবে।

কোয়ান্টাম জগতে ও ব্যাপক সাফল্য নিয়ে এনেছে বিজ্ঞানীরা। কোয়াসি কণা নামে এক ধরনের কিউবিট কোয়ান্টাম কম্পিউটারের টপোলজিত গবেষণায় ব্যবহার করা হয়েছে। কোয়ান্টাম কম্পিউটার জগতে অনেক এগিয়ে গেছেন বিজ্ঞানীরা। তাছাড়া বস্ন্যাকহোলের সংঘর্ষের ফলে তৈরি হওয়া তরঙ্গ খুঁজে পেয়েছেন পদার্থবিদরা।

পদার্থবিজ্ঞানে ২০২৩ সালে পদার্থবিজ্ঞানী অ্যান লিয়ের, পিয়েরে আগোস্তিনি ও ফেরেন্স ক্রাউজ নোবেল পেয়েছেন ইলেকট্রনের নড়াচড়া, আলোক স্পন্দন পর্যবেক্ষণ করে।

জীববিজ্ঞান : ২০২৩ সালে জীববিজ্ঞানে জিন গবেষণা করে বানানো হয়েছে একটি সফটওয়্যার। বিজ্ঞানীরা জানান ভেরকো নামের এই সফটওয়্যারের সাহায্যে সহজে নির্ণয় করা যাবে বিভিন্ন রোগ। অন্যদিকে প্রথমবারের মতো বিজ্ঞানীরা মাছির মস্তিষ্কের পূর্ণ মানচিত্র তৈরি করেছেন। মস্তিষ্কের কার্যক্রম এবং ভবিষ্যৎ গবেষণায় কাজে দিবে এই মানচিত্র গবেষণা।

মস্তিষ্কের অন্যতম কার্যক্রম চেতনা বা স্নায়ু অনুভূতি নিয়ে গবেষণা করেও সাফল্য পেয়েছেন গবেষকরা। যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব সাসেক্সের স্নায়ুবিজ্ঞানী অনিল সেথের মতে চেতনা এক ধরনের 'নিয়ন্ত্রিত হ্যালুসিনেশন'। তিনি চেতনা নিয়ে থিওরিও উপস্থাপন করেছেন।

তাছাড়া ২০২৩ সালে করোনাভাইরাসের ভ্যাক্সিন তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় নিউক্লিওটাইড বেস মডিফিকেশন বা পরিমার্জনের পদ্ধতি আবিষ্কারের জন্য নোবেল পেয়েছেন হাঙ্গেরীয় বিজ্ঞানী ক্যাতালিন ক্যারিকো ও মার্কিন বিজ্ঞানী ডক্টর ওয়াইজম্যান।

রসায়ন : রসায়নে ২০২৩ সালে বেশ কিছু গুরত্বপূর্ণ আবিষ্কার নিয়ে এনেছেন বিজ্ঞানী এবং গবেষকরা। জলবায়ু সংকটের অন্যতম গিনিপিগ হচ্ছে সমুদ্র। সেখানে প্রতিবছর দূষণ হচ্ছে। সমুদ্রে প্রতিবছর কার্বন ডাই অক্সাইড জমে সমুদ্রকে অমস্নীয় করে তুলেছে। তাই বিজ্ঞানীরা সমুদ্রের পানি থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড অপসারণ করে তা থেকে জ্বালানি তৈরি করার উপায় খুঁজে পেয়েছেন। বিজ্ঞানীদের পরিধানযোগ্য সেন্সর টেলিমেডিসিন ক্ষেত্রকে আরও উন্নত করেছে। বছরজুড়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জোয়ার রসায়নেও হাওয়া লাগে। রসায়নে জিপিটি ভাষার মডেল উদ্ভাবন ওটচঅঈ এর সেরা দশের তালিকায়।

পস্নাস্টিক দূষণ কমাতে ডিপোলিমারাইজেশন পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছে। সম্প্রতি সুইস ফার্ম এৎ৩হ একটি নতুন পস্ন্যান্ট ঘোষণা করেছে, যা এই পদ্ধতি ব্যবহার করে বার্ষিক ৪০ কিলো টন চঊঞ রিসাইকেল করবে।

অন্যদিকে রসায়নে কোয়ান্টাম ডট আবিষ্কার করে নোবেল পেয়েছেন আলেক্সি ইয়াকিমভ, মুঙ্গি বাওয়েন্ডি ও লুই ব্রম্নস।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে