ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তার জীবন

প্রকাশ | ১৮ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

নন্দিনী ডেস্ক
চা বাগানের শ্রমিকদের জীবন নিয়ে বরাবরই কৌতূহল অন্য শ্রেণি-পেশার মানুষের। চা বাগানের জীবনও যেন এক বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো। বহু বাগানের শ্রমিকরা মূলত বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর। বংশ পরম্পরায় মূলত এদের পরিবারগুলো থেকেই নতুন নতুন বাগান শ্রমিক উঠে আসে। চা বাগানের শ্রমিকদের নিয়ে এমন অনেক গান, কবিতা, চলচ্চিত্র, নাটক, গল্প-উপন্যাস আছে বাংলার সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে। কিন্তু শ্রমিকদের ভাগ্য ও জীবনমান বরাবরই সমাজের একেবারেই পিছিয়ে পড়া অংশের মানুষদের মতো। পরিবারগুলোতে শিক্ষার আলো পৌঁছায় না বললেই চলে, থাকেন স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে, চিকিৎসা নেই সুব্যবস্থা। দেশের চা বাগানগুলোতে প্রায় দেড় লাখ শ্রমিক কাজ করেন, যাদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি নারী। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগের পর চা বাগানের শ্রমিকদের মজুরি ও জীবন মানোন্নয়নে তেমন কোনো কার্যকর উদ্যোগ দেখেননি এই শিল্পের শ্রমিকরা। তারা জানান, বর্তমান মজুরি জীবন ও সংসার পরিচালনার জন্য খুবই সামান্য। তবে বাগান মালিকরা শ্রমিকদের মজুরি ও জীবন মানোন্নয়নে নিজেদের ভূমিকার কথা বেশ গৌরবের সঙ্গে দাবি করেন। সব বঞ্চনা, ঝুঁকি-অনিশ্চয়তা মেনে নিয়েই বাগান আঁকড়ে জীবন কাটান শ্রমিকরা।