বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ফাজানা ইসলাম অর্পি। তিনি একজন সফল উদ্যোক্তা কবি ও আবৃত্তিকার। তার জন্ম পাবনা জেলার ঈশ্বরদীর আলোবাগে। পিতা-মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম। মাতা-হাসিনা বেগম। তার লেখাপড়া রাজশাহীর সূর্যকণা কিন্ডারগার্টেন, শহীদ নজমূল হক উচ্চ বিদ্যালয় এবং ঢাকা মেডিকেল ইনস্টিটিউটে। এই ইনস্টিটিউট থেকে তিনি বিএসসি ও এমএসসি করেছেন অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে। এরপর তিনি অধ্যায়ন করেছেন চায়না হাইনান ইউনিভার্সিটি, হাইকোতে। সম্প্রতি তিনি যুক্তরাজ্যে লেখাপড়া করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিনি ইতোমধ্যে সামাজিক উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে। এসএফসি নামে একটি ননরেজিস্টার বেসরকারি সংস্থার উদ্যোক্তা তিনি। এটি পাবনায় অবস্থিত এবং ৬১ জন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী এর সঙ্গে যুক্ত। এটি পাকশি পাড়ায় অবস্থিত। নদী তীরবর্তী বন্যাকবলিত এলাকার সাধারণ ও দুস্থ মানুষকে সহযোগিতা করা হতো, সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে। প্রায় দুশ' পরিবারকে সহযোগিতা করা হয়েছে। তিনি ছিলেন ওই সংস্থার সভাপতি। এখানে একটি স্কুলও প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তিনি। স্কুল ভালোভাবে চলতে থাকলে তাকে সভাপতির পদ থেকে বাদ দেয়া হয়। এরপর ২০১৪ সালে ঢাকায় চলে আসেন তিনি। ঢাকায় এসে উদ্যোক্তা হিসেবে নতুনভাবে আবির্ভূত হন তিনি। ঢাকার সলিমুলস্নাহ রোডে প্রতিষ্ঠা করেন, সুপার শপ ও মাল্টি শপ। এরপর তিনি অস্টেলিয়ায় চলে যান শিক্ষা সংক্রান্ত কাজে। ফিরে এসে তিনি একটি নার্সিং কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন যৌথ উদ্যোগে। নাম দেয়া হয় ইম্পেরিয়াল নার্সিং। প্রথম দিকে ছাত্রী সংখ্যা ছিল ৩৬, বর্তমানে রয়েছে ১৬৫ জন ছাত্রী। এ আগে করোনার সময় এসটি ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি কিন্ডাগার্টেন প্রতিষ্ঠা করেন। এ ছাড়াও অংশীদারত্বের ভিত্তিতে রংপুরে একটি বিরিয়ানি হাউস প্রতিষ্ঠা করেছেন তিনি। সব কাজেই তিনি সফলতার পরিচয় দিয়েছেন। তার শখ গ্রামে একতলা একটি বাড়ি করা। বাড়িটির ছাদ থাকবে খোলা। সেখানে থাকবে প্রকৃতির বিপুল হাতছানি। প্রকৃতিতে উদারভাবে মেলে ধরবে নিজেকে, আর তিনি আপস্নুত মোহিত মুগ্ধ হবেন। নিজিকে আবিষ্কার করবেন নতুনভাবে।
তিনি পারিবারিক আদর্শ লালন করেই বেড়ে উঠেছেন। পরে এই আদর্শ ছড়িয়ে দিয়েছেন সমাজের সর্বত্র, সাধারণ মানুষের মধ্যে। শিল্প-সাহিত্য-সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে ধারণ করেই তিনি পথ চলতে চান। তিনি সমাজের নানা কর্মকান্ডের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছেন, দীক্ষা নিয়েছেন। পারিবারিক শিক্ষাই ব্যক্তিত্ব বিকাশ ও চরিত্র গঠনের মূল ভিত্তি, এ কথা তিনি বিশ্বাস করেন, মেনেও চলেন।
উদারনৈতিক মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে সমাজের সাধারণ মানুষ তার দ্বারা উপকৃত হচ্ছে। তিনি সমাজে আলো ফেলতে চান তার কাজের দ্বারা। কাজটি তার জন্য কঠিন, তবে অসম্ভব নয়।