অফিসে নারী কী করবেন?

প্রকাশ | ১৩ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

জান্নাতুল এ্যানি
আজকাল অফিসে নারী-পুরুষ সমানভাবে কাজ করছেন। নারীরা পুরুষদের থেকে কোনো অংশেই কম নয়। এমনকি অফিসের বড় বড় পদেও নারীরা তাদের জায়গা করে নিয়েছেন। চেষ্টা আর যোগ্যতা থাকলে সাফল্য আসবেই। তবে এর সঙ্গে মেনে চলতে হবে কিছু আদবকায়দা। নারীদের জন্য কর্মক্ষেত্রে এগুলো মেনে চলা খুবই জরুরি। অফিসে নারীরা কী করবেন, কী করবেন না তার একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে জীবনধারাবিষয়ক আইডিভা ওয়েসাইটে। আপনি চাইলে এই পরামর্শগুলো একবার দেখে নিতে পারেন। সব সময় নিজের পুরো নাম বলবেন- অফিসে যখন নিজেকে পরিচয় করিয়ে দেবেন তখন অবশ্যই নিজের পুরো নাম বলবেন। পরিবার বা বন্ধুরা কী নামে ডাকে সেগুলো অফিসে না বলাই ভালো। অফিসের সহকর্মী হোক কিংবা বাইরের ক্লায়েন্ট হোক, সবার কাছেই নিজের পুরো নাম বলবেন। দাঁড়িয়ে হাত মেলান আপনি যদি ডেস্কে বসে থাকেন, তখন কেউ একজন আপনার সঙ্গে পরিচিত হতে এলে তখন অবশ্যই দাঁড়িয়ে তার সঙ্গে হাত মেলাবেন এবং ছোট করে নিজের পরিচয় দেবেন। ই-মেইলে নিজের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি রাখুন নিজের ই-মেইলে ছোট করে হলেও পরিচয় লিখে রাখুন। নাম, পদবি, কোন সংস্থা ও কোন বিভাগে কাজ করছেন তা লিখে রাখুন। যাতে, যার কাছেই মেইল পাঠান সে আপনার পরিচয় জানতে পারে এবং সেই অনুযায়ী সাড়া দেয়। অফিসে থাকা অবস্থায় বারবার চুলের ভেতর হাত দেবেন না। অনেকেরই চুলে বারবার আঙুল দেওয়ার অভ্যাস আছে। হয়ত কোনো প্রেজেন্টেশন দিচ্ছেন অথবা কোনো অফিসিয়াল মিটিংয়ে আছেন তখন চুলের ভেতর ভুলেও হাত দেবেন না। এতে অন্যের মনোযোগ নষ্ট হতে পারে এবং আপনাকেও অন্যমনস্ক মনে হবে। তাই অফিসে চুল পরিপাটি করে বেঁধে আসার চেষ্টা করুন। ই-মেইলে শুধু 'সরি' লিখবেন না অনেক সময় কাজ দেরিতে শেষ হতে পারে। এ ক্ষেত্রে ক্লায়েন্টকে শুধু 'আই এম সরি' এই কথাটি না লেখাই ভালো। এর পরিবর্তে 'আই অ্যাপোলোজাইস ফর...' এভাবে মেইল পাঠাতে পারেন। এটা ফরমাল উপায়ে দুঃখিত হওয়া বোঝায়। অফিসে রাগ করে ব্যক্তিগত বিষয়ে কথা বলবেন না। অফিসে অনেক বিষয়েই আপনার রাগ হতে পারে। তবে সাবধান, সহকর্মীর ব্যক্তিগত কোনো বিষয় নিয়ে কথা বলবেন না। এটা কোনো পেশাদারি আচরণ না। অফিসে পরিপাটি পোশাক পরুন কোনো পার্টি পোশাক অথবা বাসায় পরার মতো পোশাক অফিসে না পরাই ভালো। সব সময় পরিপাটি পোশাক পরে অফিসে আসার চেষ্টা করুন। আর অতিরিক্ত মেকআপও এড়িয়ে চলুন। অন্যের কথার মাঝে কথা না বলাই ভালো অফিস কোনো কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস না, যেখানে বন্ধুদের কথার মাঝে যা ইচ্ছাতাই বলতে পারবেন। অফিসে অন্যের কথার মাঝে কথা না বলাই ভালো। আগে কথা শুনুন, এরপর উত্তর দিন। কোনো মেইল পাঠানোর আগে কয়েকবার পড়ুন যখন আপনি কোনো মেইল লিখবেন তখন বারবার পড়ে দেখুন ঠিক আছে কিনা। সেটা সহকর্মীকে হোক, বসকে হোক কিংবা ক্লায়েন্টকে হোক। ভুল থাকলে সেই মেইল কখনোই পাঠাবেন না। প্রয়োজন হলে অন্যের সাহায্য নিন। তবুও সঠিক মেইল পাঠানোর চেষ্টা করুন। অফিসে অযথা ঝামেলায় জড়াবেন না সহকর্মীর সঙ্গে খুব বেশি বন্ধুত্বও ভালো না আবার শত্রম্নতাও ভালো না। কোনো বিষয়ে অযথা ঝামেলায় জড়াবেন না। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানলে এতে দুজনেরই ক্ষতি হতে পারে। তাই সব সময় ঝামেলা এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।