নারীকে সম্মান করতে হবে

প্রকাশ | ১৪ মে ২০২৪, ০০:০০

নন্দিনী ডেস্ক
নারীর পরিচয় তুমি নারী, তুমি মমতার ভান্ডারি, তুমি জননী তুমি নারী। নারীর শাশ্বত এ রূপ আমরা আজীবন ধরেই দেখেছি। নারীও যে রুদ্ররূপ ধারণ করে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে জানে। নিজের দক্ষতা ও যোগ্যতা দিয়ে সমাজে সম্মানজনক অবস্থানে জায়গা করে নিতে পারে তা এখন দেখছে বিশ্ববাসী। নারী আজ স্বয়ংসিদ্ধা। তারা এখন কারও ওপরে নির্ভরশীল নয়। উল্টে তাদের ওপরই দাঁড়িয়ে আছে পরিবার। আবার কখনো তাদের ওপরেই নির্ভর করছে কোনো দেশের ভাগ্য বা কোম্পানির ভবিষ্যৎ। 'বিশ্বে যা-কিছু মহান সৃষ্টি চির-কল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর। বিশ্বে যা-কিছু এল পাপ-তাপ বেদনা অশ্রম্নবারি, অর্ধেক তার আনিয়াছে নর, অর্ধেক তার নারী।' তাই নারীর প্রতি সহানুভূতি নয়, সম্মান প্রদর্শন করুন। যে জাতি নারীদের সম্মান করতে পারে না, সে জাতির উন্নতি অসম্ভব। নারীদের সম্মান জানাতে, তাদের যোগ্যতা ও মেধাকে কুর্নিশ জানাতে বাছাই করা কিছু উক্তি : * এভাবে বসতে নেই, ওভাবে চলতে নেই, এটা বলতে নেই, ওটা করতে নেই! ব্যাস অনেক হয়েছে। এভাবে আর মেয়েদের দমিয়ে রাখা যায় না। * দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে তো বেড়ালও বাঘ হয়ে যায় আর আমরা তো মানুষ। যুগ যুগ ধরে অত্যাচার সহ্য করে এবার আমরাও ঘুরে দাঁড়িয়েছি। * তোমার ডানায় আগুন, দীর্ঘ হোক তোমার উড়ান। * এই পৃথিবী সুষ্ঠুভাবে মেয়েরাই চালাতে পারে। * যারা মেয়েদের পায়ের তলায় থেঁতলে দেয় তারা কেউ পুরুষ নয়। তারা মানুষও নয়। * যে লক্ষ্ণী আর সরস্বতীর মতো শান্ত সে চন্ডীর মতো আগুন হয়েও জ্বলতে পারে। * ছেলেরা খালি মেয়েদের দোষ দেয়। অথচ বিপদে পড়লে কখনো মা আবার কখনো স্ত্রীর আঁচলের তোলায় লুকিয়ে পড়ে। * একটা অসুরকে বধ করতে গিয়ে কিন্তু নাকানি চোবানি খাচ্ছিলেন দেবতারা। সেই তো একটা মেয়ে এসেই বাঁচাল। * আজকের দুনিয়ায় এমন কোনো কাজ নেই যা মেয়েরা পারে না। * আমি যদি আত্মরক্ষার জন্য ক্যারাটে শিখি তাহলে তোমাকেও সহবত শিখতে হবে। * আঠারোয় পা দিলেই বিয়ের চিন্তা না করে বাবা মায়ের উচিত মেয়েদের যোগ্য করে তোলা। * তোমার শরীর নয়, যেদিন সবাই তোমার মন বুঝবে সেদিনই হবে যথার্থ নারী দিবস। * বিকশিত হোক তোমার মন। * আগে নিজের বাড়িতে নিজের মা ও বোনকে একজন মানুষ হওয়ার সম্মান দিন। তারপর বাইরে বেরিয়ে বাকি মেয়েদের দিকে তাকাবেন। * মেয়েরা যখন শক্তিরূপা হয়ে ওঠে তখন পৃথিবীতে অনেক বড় পরিবর্তন আসে। * এই পৃথিবী আমার বিষয়ে কী ভাবছে আমি জানি না। আমি ভাবছি আমি সেরা আর সেটাই সত্যি। * নারীবাদী হওয়া মানে মেয়েদের শক্তিশালী করা নয়, তারা এমনিতেই শক্তিশালী। * মেয়েদের শুধু অন্যের ভালো স্ত্রী হয়ে ওঠা শেখালে চলবে না। তাদের সবার আগে যোগ্য করে তুলতে হবে। * বাধা এলে তার মুখোমুখি দাঁড়াব। আমাদের মধ্যে আছে অনন্ত শক্তির আধার। * আমরা নিজেদেরও খুব ভালোবাসি! * আমি স্ত্রী-জাতির সেই সমস্ত প্রতিনিধিদের ধন্যবাদ জানাতে চাই- যারা কোনো না কোনোভাবে আমার জীবনকে সুন্দর করে তুলেছে বিভিন্ন সময়ে। * আজকের দিনে কারও পক্ষে বলা সম্ভব নয় যে, আমরা নারীরা পুরুষদের থেকে পিছিয়ে আছি, সব ক্ষেত্রে আমরা পুরুষদের টক্কর দেওয়ার ক্ষমতা রাখি। তাই আপামর নারীজাতিকে আমি জানাতে চাই যে, নিজেকে কখনো দুর্বল ভেবো না, কারণ তুমি নারী শক্তির অংশ। * জগতের যেখানেই যে জাতি নারীর অসম্মান করবে, সেই জাতিরই পতন নিশ্চিত। নারীদের সম্মান কর। * জীবন যদি রামধনু হয়, তবে তুমি হলে তার রঙের বাহার, জীবনে যদি নাম আঁধার, তুমি হয়ে ওঠো তার আশার আলো। আন্তর্জাতিক মহিলা দিবসের অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল। * তারা চায় মুক্ত আকাশ, তারা চায় উড়তে। ডানার দাবি তারা জানায় না কখনো, কারণ ইচ্ছেশক্তি তাদের রক্তে। * তিনি আমার বাবাকে খুব ভালোবাসেন। আমাদের যত্ন নেন। সংসার তাকে ছাড়া অচল হয়ে পড়ে। তিনিই আমার দেখা সবচেয়ে সবল নারী। * নারীদের সম্মান করতে শেখ। কারণ তাদের ছাড়া আমাদের জীবন অসম্ভব হয়ে পড়ত। * পৃথিবীর প্রাণ তুমি। তোমার থেকে সৃষ্ট আমি আজ তাই তোমারে প্রণাম করি। * সব সফল ও স্বাধীন মহিলাদের অতীতে একটি বাচ্চা মেয়ে আছে যে বারংবার পড়ে গিয়ে উঠে দাঁড়িয়েছে এবং বুঝতে শিখেছে যে কারো ওপর নির্ভর করে বেঁচে থাকার নাম জীবন না। * আমরা নারী, যে কোনো কাজ আমরাও পারি! * মেয়েদের কারও কাছে কিছু প্রমাণ করার নেই। যদি আমাদের শক্তি এই দুনিয়া বুঝতে না পারে, তাহলে তাদের বদলের দরকার আছে। আমাদের নয়। * নারী শব্দটাই তো শক্তির সঙ্গে জড়িত। তাই আলাদা করে নিজেকে শক্তিশালী প্রমাণ করার দরকার নেই। * কখনো প্রেয়সী আবার কখনো চামুন্ডা কালীও হয়ে উঠতে পারি আমরা। আমাদের অনেক রূপ। * সময় বিশেষে আমরাই হয়ে ওঠি দশভুজা। * আমরাই একমাত্র যারা প্রাণের সৃষ্টি করতে পারি। এর চেয়ে গর্বের আর কী আছে? * আলাদা করে নারী দিবসের কোনো মাহাত্ম্য আমার কাছে নেই। আমি মনে করি, বছরের সব কটা দিনই আমার। * তোমার মতো নারী খুঁজে পাওয়া খুব মুশকিল। তুমি অনন্যা, তোমার জন্য রইল অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। * তুমি দারুণ, তুমি আলাদা, তুমি সুন্দর আর তাই তো তুমি নারী। * তুমি নিজেও জান না, তোমার মধ্যে কতটা ক্ষমতা লুকিয়ে আছে। সবাইকে নিজের আলোয় আলোকিত করেছ তুমি। * নিজেকে এতটাই যোগ্য করে তোলো যে তোমাকে ভিড় অনুসরণ করতে না হয়, উল্টে ভিড় তোমায় অনুসরণ করুক। * তোমার এতটাই ক্ষমতা আছে যে, একবার হাসলেই এই পৃথিবী সুন্দর হয়ে যায়। * সব সময় আনন্দে থাক, কখনো কোনো অবস্থাতেই ভেঙে পড় না। * এই বিশ্বে যা যা সেরা জিনিস আছে, সব যেন তুমি পাও। এই কামনাই করি। * এই পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর ফুল আর সবচেয়ে বর্ণময় কবিতার চেয়েও আকর্ষণীয় তুমি। * তুমি আমার ক্ষমতার উৎস, তুমি আমার ভালোবাসার অনন্ত নদী। * একজন আদর্শ নারী হয়ে ওঠো। হয়ে ওঠো সবার অনুপ্রেরণা। * মেয়েরা সব সময়ই কোমল হৃদয় হয়। তারা ভালোবাসার মানুষকে সব সময় মনের গভীরে স্থান দেয়। * নারী হলো পরিবারের স্তম্ভ, তার অনুপ্রেরণা ছাড়া কোনো কিছু সম্ভব নয়। তাই তাকে জানাই অনেক অনেক শুভেচ্ছা। * নিজেকে সব সময় স্পেশ্যাল ভাববে, জানবে তুমি সবার চেয়ে এগিয়ে আছ। * ছেলেদের জন্য পৃথিবীতে সব চাইতে মূল্যবান হলো মেয়েদের হাসি। * যে গর্ভ তোমাকে ধারণ করেছে সে গর্ভধারিণী মায়ের প্রতি কর্তব্য কর ও শ্রদ্ধা নিবেদন কর। * মেয়েরা গণেশের মতো, মা দুর্গার চারপাশে পাক দিয়ে যে জগৎ দেখে তাতেই তৃপ্তি আর পুরুষরা কার্তিকের মতো সারা পৃথিবী ঘুরে আসে অথচ কি দেখে তা তারাই জানে না। * নিম্নমধ্যবিত্ত বা মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে আসা মেয়েগুলো তাদের সব রকম কনজারভেটিভ ধারণা বুকে পুষে রেখে এমন ভাবভঙ্গি করে যেন পৃথিবীর সব ছেলেই তাদের দিকে হামলে পড়ছে। * ভদ্র ছেলেদের জন্য মেয়েদের মনে কখনো প্রেম জাগে না। যা জাগে সেটা হলো সহানুভূতি। * মেয়েরা প্রথমবার যার প্রেমে পড়ে তাকে ঘৃণা করলেও ভুলে যেতে পারে না। পরিষ্কার জল কাগজে পড়লে দেখবেন শুকিয়ে যাওয়ার পড়েও দাগ রেখে যায়। * নারীর বয়স তার দেহে পুরুষের বয়স তার মনে। * পুরুষের বুদ্ধি খড়গের মতো, শান বেশি না দিলেও কেবল ভাড়েই অনেক কাজ করতে পারে। মেয়েদের বুদ্ধি কলম-কাটা ছুরির মতো, যতই ধার দাও না কেন, তাতে বৃহৎ কাজ চলে না। * নিজেদের অধিকারের ব্যাপারে সামান্য সচেতন হলে মেয়েরা নিশ্চয়ই বুঝত যে জগতে যত নির্যাতন আছে মেয়েদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় নির্যাতন হলো, মেয়েদের সুন্দরী হওয়ার জন্য লেলিয়ে দেওয়া। * শুধু পরনারীর সঙ্গ নিয়ে সারা জীবন কাটানো যায় না। * পুরুষ শেষ অবধি চায় না মেয়ের মধ্যে পুরুষের অনুকরণ যেমন মেয়ে চায় না মেয়েলি পুরুষ। * একজন পুরুষ সর্বদা অর্থ উপার্জনের ধান্ধায় থাকে আর একজন মহিলা তার দেহগঠন নিয়ে ব্যস্ত থাকে। * নারী দাসী বটে, কিন্তু সেই সঙ্গে নারী রানিও বটে। * মেয়েদের চরিত্রের মাধুর্য পাওয়া যায় কুমারী অবস্থায়। * সাধারণত স্ত্রীজাতি কাঁচা আম, ঝাল লঙ্কা এবং কড়া স্বামীই ভালোবাসে। যে দুর্ভাগ্য পুরুষ নিজের স্ত্রীর ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত, যে কুশ্রী অথবা নির্ধন তা নয়, সে নিতান্ত নিরীহ। * যে পুরুষ অসংশয়ে অকুণ্ঠিভাবে নিজেকে প্রচার করতে পারে সেই সমর্থ পুরুষ সহজেই নারীর দৃষ্টি আর্কষণ করতে পারে। * বধূ তোমার গরবে গরবিনী নাম রূপসী তোমার রূপে হেন মনে হয় ও দু'টি চরণ সদা নিয়ে রাখি বুকে। * যখন রাত আসে তখন ঘুম আসে, যখন ঘুম আসে তখন স্বপ্ন আসে, যখন স্বপ্ন আসে তখন তুমি আস, যখন তুমি আস তখন ঘুমও আসে না, স্বপ্নও আসে না। * কোনো কালে একা হয়নি কো জয়ী, পুরুষের তরবারি, প্রেরণা দিয়েছে, শক্তি দিয়াছে, বিজয়লক্ষ্ণী নারী। * একজন মেয়ে একজন পুরুষকে বিয়ে করে পুরুষটির চরিত্রের জন্য, তারপর সারা জীবন চেষ্টা করে সেই চরিত্রটি বদলাবার। * আমাকে বিক্রির টাকা হক্কের টাকা আর আমার রোজগারের টাকা নোংরা টাকা। * পৃথিবীর ইতিহাসে, কোনো অন্ধকার সমাজে যখনই কোনো নারী পুরুষতন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে উঠেছে, নিজের স্বাধীনতার কথা বলেছে, ভাঙতে চেয়েছে পরাধীনতার শেকল, তাকেই গালি দেওয়া হয়েছে পতিতা বলে। * হে নারী, কেউ যদি তোমাকে ধর্ষণ করতে আসে, তুমিও তাকে ধর্ষণ করে দাও। পুরুষদের দেখিয়ে দাও, ধর্ষণ শুধু তারা নয়, তোমরাও পার। * নারীর হৃদয় সাপের, বুদ্ধি গাধার, রূপটা দেবীর, চোখটা ধাঁধার। * তুমি আমাকে শিক্ষিত মা দাও, আমি তোমাকে শিক্ষিত জাতি দেব।