মায়েদের সুরক্ষা নিশ্চিত হোক

প্রকাশ | ০৭ মে ২০২৪, ০০:০০

মাহমুদুল হক আনসারী
প্রতি বছর এই দিবসটি ধাত্রী দিবস হিসেবে বিশ্বে পালন করা হয়। মা ও মেয়ের সুরক্ষায় এ দিবসটি। যাদের জন্য দিবস, আদৌ তারা জানে কি সেটিও প্রশ্ন অনেকের। মা, বাচ্চার সুরক্ষা, নিশ্চিত করে যে মহিলা গর্বের সন্তান নিরাপদে প্রসব করে সুস্থ সুরক্ষা নিশ্চিত করেন, তিনিই ধাত্রী। সমাজে তাকে ধাত্রী মা, হিসেবেও ডাকা হয়। আমাদের সমাজে আজ থেকে এক যুগ পূর্বে ও ধাত্রী দিয়ে গর্ভবতী মহিলাকে সুস্থ সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রতিটি পাড়া মহলস্না ও সমাজে প্রশিক্ষিত ধাত্রী ছিল। তারাই যেখানে সংবাদ পেলে ছুটে যেত। ধাত্রীরা স্থানীয় চিকিৎসকের সহযোগিতা নিত। এক সপ্তাহ বা আরও অধিক সময় ধরে অপেক্ষা করত। পর্যবেক্ষণ করতে থাকত ধাত্রী মা। সেই দিনে এত উন্নত চিকিৎসা ছিল না। লতাপাতার রস, আর হুজুরের পানি পড়া দিয়ে গর্ভবতী নারীর ডেলিভারি হয়েছে। এখন আধুনিক চিকিৎসার সঙ্গে ওষুধ আবিষ্কার হয়েছে, জনগণ আর ধাত্রীর কাছে যায় না। ধাত্রী বুঝলেও মানুষ মেডিকেল, হাসপাতাল, আর ক্লিনিকে ছুটছে। পূর্ব থেকেই মেডিকেল ও ক্লিনিকমুখী রোগী ও স্বজনরা। ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে ক্লিনিক ও হাসপাতাল। নার্স ডাক্তার অপরিপক্ব। রোগীর চিকিৎসা বুঝতে না পারলেও রোগকে ধরে রেখেছে। সরকারি পরিবার পরিকল্পনা ও হাসপাতাল, কমিউনিটি হাসপাতাল এখন বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রামেগঞ্জে গড়ে উঠেছে। উপজেলা হাসপাতাল, ইউনিয়ন কমিউনিটি হাসপাতাল গর্ভবতী মা, ও নবজাতকের সুরক্ষায় ব্যাপকভাবে অবদান রাখছে। তবে সেই চিকিৎসার মাঝে কিছু কিছু দুর্নীতি পাওয়া যায়। ডাক্তার, নার্সের যোগসাজশে ওষুধপত্র বাইরে বিক্রি করে দেয়। হাসপাতালে মেডিসিন থাকলেও রোগীকে দেয়া হয় না। ওষুধ বাহির থেকে নিয়ে আসতে বলে। কোনো কোনো ডাক্তার নিজের প্রাইভেট চেম্বারে রেফার করে। তবে যতদূর জানা যায়, এখনো বাচ্চা ডেলিভারি সরকারি হাসপাতালে সুনাম ধরে রেখেছে। জনগণ আশাবাদী এই সরকারি হাসপাতাল আরো সুনামের সঙ্গে চিকিৎসা সেবা প্রদান করবে। সরকারি ও বেসরকারি চাকিৎসায় দুর্নীতির বহু প্রতিবেদন হয়েছে। অপচিকিৎসার অপরাধে বেশ কিছু সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগ করে শাস্তির ব্যবস্থা করেছে। তবুও এই অপরাধ বন্ধ হচ্ছে না। চিকিৎসা ব্যবস্থাকে জনবান্ধব করতে সরকারের চেষ্টার ত্রম্নটি নেই। অসাধু কতিপয় দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষের কারণে জনগণ শতভাগ সুফল পাচ্ছে না। ধাত্রী দিবসে মা, নবজাতক, পরিবার পরিজনকে আরো সচেতন হতে হবে। ধাত্রীদের কর্মের সম্মান আর স্বীকৃতি দেওয়া চাই। আবহমান কাল থেকে ধাত্রীরাই নিবেদিত হয়ে মানবজাতির এই সেবা প্রদান করে আসছেন। এখনো যেসব এলাকায় ধাত্রী সক্রিয় তাদের প্রতি সমাজ ভালোবাসা জানাচ্ছে।