ঈদ মানে অন্যরকম এক আনন্দ। নতুন পোশাক, মজার মজার খাবার, ইচ্ছেমতো ঘুরে বেড়ানো। সারা দিন নিজেকে সাজিয়ে-ঘুচিয়ে রাখা। সোজা কথা ঈদের দিন সবাই থাকেন উজ্জ্বল। তাই ঈদের দিন নিজেকে আকর্ষণীয় করে তুলতে আগেই কিছু কাজ করে রাখা দরকার। যেমন : ফেসিয়াল, চুলে নতুন কাট, মেনিকিউর, পেডিকিউর, ভ্রু পস্নাক, হেয়ার ট্রিটমেন্ট ইত্যাদি। এতে সৌন্দর্যটা ফুটে ওঠে খুব সুন্দরভাবে। ঈদের সময় এমনিতেই ব্যস্ত সময় কাটে, তার মধ্যেও সাজুন স্নিগ্ধ ও সুন্দর করে। আপনার ত্বক যদি তৈলাক্ত হয়, তাহলে ওয়াটার পাউডার বেসড মেকআপ ব্যবহার করুন। আর শুষ্ক ত্বকে ক্রিম বেসড মেকআপ ভালো। দিনের সাজে উজ্জ্বল থাকার জন্য হালকা ফাউন্ডেশন ব্যবহার করতে পারেন, তবে ঘেমে যাওয়ার প্রবণতা থাকলে এ ফাউন্ডেশন এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। ভ্রূ আঁকার জন্য কালো বা ব্রাউন পেন্সিল ব্যবহার করতে পারেন। চোখের সাজটায় মনোযোগ দিন। শেড দিন প্রথমে লাইট কালারে। এরপর, এর কোণায় রুপালি-সোনালি-ব্রোঞ্জ রঙের শেড দিয়ে হালকা হাইলাইট করুন, বেশি চকচকে নয়। আইশ্যাডো পোশাক অনুযায়ী হতে পারে কিংবা কন্ট্রাস্ট স্মোকি বা দু-তিন শেডের হতে পারে। তবে পাপড়ির ওপরে থাকবে সবচেয়ে গাঢ় শেড এবং ক্রমান্বয়ে তা ওপরের দিকে হালকা হয়ে বেস্নন্ড হবে। শেডগুলো একটির সঙ্গে অন্যটি এমনভাবে মিশে যাবে যেন মনে হয় একই শেডে নয় রং। এরপর চোখের মেকআপে পরিপূর্ণতা দেওয়ার জন্য কাজল ব্যবহার করুন। পেন্সিল দিয়ে রেখা টানার পর আঙুলের সাহায্যে সেটি মিশিয়ে দিন। চোখের নিচেও কাজল দিন। গাঢ় কোনো শেড দিয়ে তা বেস্নন্ড করুন যেন অনেকক্ষণ স্থায়ী হয়। আইলাইনারও ব্যবহার করতে পারেন। চোখের মেকআপের ক্ষেত্রে দিনের ও রাতের তফাত থাকে। দিনের মেকআপ করুন ত্বকের রংঘেঁষা আইশ্যাডো বাদামি বা কালো কাজল বা পেন্সিলের রেখা। রাতের মেকআপে পোশাক অনুযায়ী আইশ্যাডো, হাইলাইটার ব্যবহার করুন। এখন বিভিন্ন রঙের কাজল পাওয়া যায়, ব্যবহার করতে পারেন। চোখকে আরো আকর্ষণীয় করার জন্য মাশকারা ব্যবহার করুন। বস্নাশন যেমন আপনার ত্বকে আগে রঙের ছোঁয়া, তেমনি মুখের হাড়ের গড়ন সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলতে সাহায্য করে। ঠিকমতো ব্যবহারে গোলমুখ লম্বা করতে, গাল ভাঙা মুখও ভরাট দেখায়। বস্নাশন ব্যবহার করার সময় খেয়াল করবেন, বস্নাশনের রংটি যেন আপনার পোশাক, লিপস্টিক, আইশ্যাডোর রঙের সঙ্গে মানানসই হয়। ক্রিম বস্নাশন লাগাতে হবে আঙুলের ডগা দিয়ে। লিকুইড মেকআপ লাগানোর পর এবং ফেস পাউডার লাগানোর আগে। যদি আপনার ডিম্বাকৃতি আকারের মুখ হয়, তাহলে হাড়ের সবচেয়ে উঁচু জায়গায় বস্নাশন লাগিয়ে মিলিয়ে দিন। যদি গোলমুখ হয় তাহলে বস্নাশন লাগানোর সময় এমনভাবে লাগাতে হবে যেন ব্রাশের টানটি চোয়ালের হাড় থেকে গালের ওপর দিকে উঠে যায়। থুঁতনির এক কেন্দ্রে সামান্য একটু বস্নাশনের বিন্দু লাগিয়ে ঘষে দিন। চৌকোনা মুখে বস্নাশন লাগাবেন চোয়ালের দুই পাশ থেকে গালের মাঝখান বরাবর। লিপস্টিক লাগানোর আগে লিপ লাইনার দিয়ে আউটলাইন করে দিয়ে লিপ ব্রাশে লিপস্টিক দিয়ে ভরে দিন। খেয়াল রাখবেন যেন আউটলাইন আলাদা করে দেখা না যায়। হালকা গহনা আর পারফিউম দিয়ে আপনি তৈরি হোন। মেহেদির শখ থাকলে আগের দিন রাতেই তা দিয়ে নিন আকর্ষণীয় ডিজাইনে। পার্লারে গিয়েও দিতে পারেন। চুল খোলা বা হালকা পনিটেল করে সাজ শেষ করুন। সারাদিন কর্মব্যস্ত থাকার পরও নিজেকে রাখতে হয় গোছানো। তাই দিনে হালকা সাজলেও রাতে নিজেকে একটু গর্জিয়াস লুক দিন। ঈদের সাজসজ্জার প্রয়োজনীয় জিনিস ক্রয় করুন। গুছিয়ে রাখুন। রূপচর্চায় জরুরি কাজগুলো আগেই পার্লারে সময় নিয়ে সেরে ফেলুন। নিজেকে সুন্দর রাখুন।