বিশ্বের কোথায় ধর্ষণের শাস্তি কেমন
প্রকাশ | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
মিনহাজুর রহমান মাহিম
পারিবারিক শিক্ষার অভাব, অসুস্থ মনমানসিকতা ও ভাবনা, দুর্বল আইনকানুনসহ নানা ধরনের মূল্যবোধের অবক্ষয়ের কারণে আমাদের সমাজে, রাষ্ট্রে এবং পৃথিবীতে প্রতিনিয়ত নিকৃষ্ট কাজ বেড়েই চলেছে। তন্মধ্যে ধর্ষণ একটি, যা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন দেশে পালাক্রমে বেড়েই চলেছে।
জেনে নেওয়া যাক পৃথিবীর কোন দেশে ধর্ষণের শাস্তি কেমন :
যুক্তরাষ্ট্র :বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধর রাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্রে সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদন্ড থেকে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে বিভিন্ন শাস্তি রয়েছে।
সৌদি আরব : সৌদি আরবে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি শিরশ্ছেদের মাধ্যমে মৃতু্য।
সংযুক্ত আরব আমিরাত : এ রাষ্ট্রে শাস্তি হিসেবে রায়ের সাত দিনের মধ্যে ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
আফগানিস্তান : রায়ের চার দিনের মধ্যে আসামির মাথায় গুলি করে মৃতু্যর মাধ্যমে রায় কার্যকর করা হয়।
মিসর : জনসম্মুখে ফাঁসি দিয়ে ধর্ষকের মৃতু্যদন্ড দেওয়া হয়।
ইরান : ধর্ষককে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে অথবা গুলি করে মৃতু্যদন্ড কার্যকর করা হয়। কখনো ধর্ষিতার অনুমতি নিয়ে ১০০ দোররা বা যাবজ্জীবন শাস্তি নিশ্চিত করা হয়।
চীন : চীনে ধর্ষকের যৌনাঙ্গ কেটে দেওয়া হয় অথবা মৃতু্যদন্ড দেওয়া হয়।
গ্রিস : ধর্ষককে আগুনে পুড়িয়ে মৃতু্যদন্ড দেওয়া হয়।
উত্তর কোরিয়া : ধর্ষককে গুলি করে মৃতু্যদন্ড দেওয়া হয়।
ভারত : ভারতে ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান মৃতু্যদন্ড থাকলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ৭ থেকে ১৪ বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়।
নরওয়ে ও ইসরাইল : এই রাষ্ট্রগুলোয় ৪ থেকে ১৫ এবং ৪ থেকে ১৬ বছরের কারাদন্ডের শাস্তির বিধান রয়েছে।
বাংলাদেশ : বাংলাদেশে ১৭ই নভেম্বর ২০২০ এ ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃতু্যদন্ডের আইন পাস করা হয়।
পরিসংখ্যান
পুলিশ সদর দপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, ২০১৮ সালে ৩ হাজার ৯৪৯টি, ২০১৯ সালে ৫ হাজার ৮৭২টি, ২০২০ সালে ৬ হাজার ৫৫৫টি ও ২০২১ সালে ৬ হাজার ৩৪১টি ধর্ষণের মামলা করা হয়েছে। এদিকে গত পাঁচ বছরে রাজধানী ঢাকায় ৩ হাজার ৪২টি ধর্ষণ মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে নারী ২ হাজার ৪৭০ জন এবং শিশু ৫৭২ জন। ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ধর্ষণ মামলা হয়েছে ৫২৩টি। এর মধ্যে নারী ৪৩০ জন এবং শিশু ৯৩ জন। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
তাই ধর্ষণসহ সব ধরনের সামাজিক সমস্যা দূরীকরণে আমাদের সমাজের সব সচেতন নাগরিককে একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে এবং আইনের সঠিক বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।