জয়িতা সুমা ভৌমিক
প্রকাশ | ৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
জিহাদ হোসেন রাহাত
সুমা ভৌমিক। জন্মেছেন দেশের দক্ষিণের জনপদ সয়াল্যান্ডখ্যাত লক্ষ্ণীপুরে। সংস্কৃতিমনা এই নারী স্থানীয় পর্যায়ে ছড়াচ্ছেন সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য ও সংস্কৃতির আলো। এক কথায় লক্ষ্ণী জনপদে লক্ষ্ণী জয়িতা হিসেবে চালাচ্ছেন নিজের সৌন্দর্যময় সাংস্কৃতিক কর্ম। আলো ছাড়ানো সুমা ভৌমিকের জন্মস্থান জেলার রায়পুরের দেনায়েতপুর গ্রাম। বাবা মানিক লাল ভৌমিক ও মা যমুনা ভৌমিকের কোলের সুমা যুগ পেরিয়ে যেন আজ মেঘনার বুকে সংস্কৃতির ঢেউ। শিশু-কিশোরীদের নিয়ে তিনি চালাচ্ছেন নাচ, আবৃত্তি, গানসহ সঙ্গীতাঙ্গনের সপ্তর্ষি কালচারাল একাডেমি নামীয় একটি প্রতিষ্ঠান। সংস্কৃতিবান্ধব এই নারী রয়েছেন সেটির পরিচালক হিসেবে নিয়োজিত। অবশ্য মূল পেশা হিসেবে তিনি বেছে নিয়েছেন শিক্ষকতাকে। উপজেলার চরপাতা মুজিবুল হক একাডেমির সহকারী শিক্ষক পদে চাকরির পাশাপাশি জাতীয় রবীন্দ্র সম্মিলন পরিষদের সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য ও দুর্নীতি দমন কমিশনের উপজেলা সদস্য হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন তিনি। এসব ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি সংগঠন-প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন এই নারী। স্বামী শিব প্রসাদ নাথের সঙ্গে এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে সংসার জীবনেও সুখী সুমা। এককথায় সুমা পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে একসঙ্গে রাখছেন ইতিবাচক ভূমিকা। কর্ম জীবনের দীর্ঘ সময়ে উপজেলা, জেলা ও জাতীয় পর্যায়েও বেশ আলোচিত হয়েছেন এই নারী। সম্প্রতি গত ৯ ডিসেম্বর, ২০২৩ বেগম রোকেয়া দিবসে শিক্ষা ও সাফল্য অর্জনকারী নারী হিসেবে 'জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ' শীর্ষক কার্যক্রমের আওতায় উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে জয়িতা পুরস্কার লাভ করেন তিনি। কেবল জয়িতা পুরস্কার ও সুনামে সীমাবদ্ধ নেই সুমার জীবন। ইতোমধ্যে সঙ্গীতাঙ্গনের একজন হিসেবে তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনের শিল্পী তালিকায় লিখিয়েছেন নিজের নাম। লক্ষ্ণীপুরের এই জয়িতা নিজের কর্মের মাধ্যমে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজ জন্মস্থান ও জন্মভূমিকে উপস্থাপন করে চলেছেন যুগোধিক সময় ধরে। ধর্ম-বর্ণের ঊর্ধ্বে গিয়ে মানবতাই ধর্ম নামীয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মাধ্যমে আর্ত-মানবতার সেবায় শ্রম দিচ্ছেন লক্ষ্ণীপুরের এই জয়িতা।