ইভটিজিং একটি মারাত্মক ভাইরাসের নাম
প্রকাশ | ১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
হাসনাইন রিজেন
আড়ালিয়া গ্রামের মতিন মিয়া একজন হতদরিদ্র মানুষ। দিন আনে দিন খায়। এক ছেলে এক মেয়ে নিয়ে তার সংসার। মেয়ে বড়, নাম তার মায়া। ছেলে ছোট, নাম মামুন। মতিন মিয়ার অনেক ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও দরিদ্রতার কারণে পড়াশোনা করতে পারেননি। এখন তার ইচ্ছা তার সন্তানদের উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করবেন। মেয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর উচ্চশিক্ষার জন্য গ্রামের সুনামধন্য একটি কলেজে ভর্তি করালেন। দিনকাল ভালোই চলছিল। মেয়ে পড়াশোনা করে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে বাবা-মায়ের দরিদ্রতা দূর করবেন। দরিদ্র হওয়ার কারণে প্রায় সময় তাকে কলেজে হেঁটে যাতায়াত করতে হয়। সুন্দরভাবে কেটে গেল তার কলেজ জীবনের প্রথম বর্ষ।
প্রথম বর্ষ শেষ হওয়ার পর তার জীবনে নেমে এলো ভয়াবহ এ কালো অধ্যায়। কলেজে যাতায়াত পথে সোহান নামের একটা ছেলে মাঝে মাঝে মায়াকে বিরক্ত করা শুরু করে। প্রথম প্রথম সোহানকে দুই একবার বোঝানোর পর কিছু দিনের জন্য মায়ার সামনে সে আর আসেনি। মায়া ভেবে নিল হয়ত সে আর আসবে না। কিন্তু ঘটনা ঘটলো তার উল্টো। সোহান এখন নিয়মিতই মায়ার যাতায়াতের পথ আটকে তাকে বিরক্ত করা শুরু করল।
মায়া এই ঘটনা তার মায়ের সঙ্গে শেয়ার করল। মা তার বাবার সঙ্গে কথাটা শেয়ার করার পর মতিন মিয়া সোহানের বাবাকে বিষয়টা অবগত করলেন। সোহানের বাবা বিষয়টা জানার পর সোহান কিছু দিন চুপ ছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে বিষয়টা আবার বাড়তে লাগল। মতিন মিয়া খুবই দুশ্চিন্তায় পড়ে গেলেন। সোহানের পরিবার সমাজে প্রভাবশালী হওয়ায় সরাসরি কোনো অ্যাকশনেও যাওয়া গেল না। সোহানের উত্ত্যক্ত করা দিন দিন বেড়ে গেল। সে মায়াকে প্রতিনিয়ত বিশ্রীভাবে উত্ত্যক্ত করতে লাগল। এক সময় মায়া এটা সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করল। ভেঙে গেল মতিন মিয়ার স্বপ্ন। ইভটিজিংয়ের শিকার হয়ে হারিয়ে গেল মায়ার মতো সুন্দর একটা জীবন। এই ঘটনা শুধু আড়ালিয়া গ্রামের ঘটনা নয়, এই রকম অপরাধ বাংলাদেশের প্রতিটা গ্রামে অহরহ ঘটছে।
নারী উত্ত্যক্তকরণ বা প্রকাশ্যে যৌন হয়রানি, পথেঘাটে উত্ত্যক্ত করা বা পুরুষ দ্বারা নারী নির্যাতনের নির্দেশক একটি শব্দ। ইংরেজিতে 'ইভ' শব্দটি বাইবেলের ইভ (ঊাব) বা পবিত্র কোরআনে 'হাওয়াকে' বোঝায়। অন্যদিকে, টিজিং শব্দটির আভিধানিক অর্থ 'পরিহাস বা জ্বালাতন'। সুতরাং, 'ইভ' বলতে বুঝায় নারী বা রমণী এবং 'টিজিং' বলতে বুঝায় উত্ত্যক্তকরণ বা বিরক্ত করা। এক সময় সমাজের বখে যাওয়া একটি ক্ষুদ্র অংশ নারী উত্ত্যক্তকরণের সঙ্গে জড়িত থাকলেও এখন উঠতি বয়সী তরুণ, কিশোর যুবকরা তো আছেই, অনেক মধ্যবয়সীরাও এর সাথে জড়িত হয়ে পড়ছে।
আধুনিক সমাজে 'ইভ টিজিং' শব্দটি 'যৌন হয়রানি' (ঝবীঁধষ ঐধৎধংংসবহঃ) হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। 'ঙীভড়ৎফ উরপঃরড়হধৎু'-তে এজন্য 'ইভ টিজিং' শব্দটির অর্থ করা হয়েছে 'ঐধৎধংংসবহঃ ড়ভ, ড়ৎ ংবীঁধষষু ধমমৎবংংরাব নবযধারড়ৎ :ড়ধিৎফ ড়িসবহ ড়ৎ মরৎষং'. 'যৌন হয়রানি' হচ্ছে সেই ধরনের কর্মকান্ড ও আচরণ যা মানুষের যৌনতাকে উদ্দেশ্য করে মানসিক ও শারীরিকভাবে করা হয়। নারী উত্ত্যক্তকরণ বা ইভটিজিং একটি কাব্যিক শব্দ- যা মূলত ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও নেপালে ব্যবহৃত হয়। এটি তারুণ্যে সংঘটিত এক ধরনের অপরাধ। এটি এক ধরনের যৌন আগ্রাসন যার মধ্যে রয়েছে যৌন ইঙ্গিতবাহী মন্তব্য, প্রকাশ্যে অযাচিত স্পর্শ, শিস দেওয়া বা শরীরের সংবেদনশীল অংশে হস্তক্ষেপ। অশ্লীল মন্তব্য, গা ঘেঁষে দাঁড়ানো, উসকানিমূলক হাততালি, উদ্দেশ্যপূর্ণ যৌন আবেদনময়ী গান, কবিতা ও ছড়া পাঠ, অশ্লীল চিত্র প্রদর্শন, বিকৃতভাবে ডাক দেওয়া, ইচ্ছার বিরুদ্ধে কু-প্রস্তাব, ব্যক্তিত্বে আঘাত লাগে এমন মন্তব্য, অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি, প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না দিলে হুমকি, কর্মস্থলে নেতিবাচক পরিবেশ সৃষ্টি করা ইত্যাদি। কখনো কখনো একে নিছক রসিকতা গণ্য করা হয়- যা অপরাধীকে দায় এড়াতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। অনেক নারীবাদী সংগঠন ইংরেজিতে আরো উপযুক্ত কোনো শব্দ দিয়ে 'ইভ টিজিং'কে প্রতিস্থাপনের দাবি জানিয়েছেন। তাদের মতে 'ইভ' শব্দের ব্যবহার নারীর আবেদনময়তাকে নির্দেশ করে যে কারণে উত্ত্যক্ত হওয়ার দোষ নারীর ওপর বর্তায় আর পুরুষের আচরণ আগ্রাসনের পরিবর্তে স্বাভাবিক হিসেবে ছাড় পায়। নারী উত্ত্যক্তকারীরা নানান সৃজনশীল কৌশলে মেয়েদের উত্ত্যক্ত করে থাকে। ফলে এ অপরাধ প্রমাণ করা কঠিন। এমনকি অনেক নারীবাদী সংগঠন একে ছোটোখাটো ধর্ষণ' বলেও আখ্যায়িত করেছেন।
ইভটিজিং নিঃসন্দেহে একটি সর্বব্যাপী জঘন্য সামাজিক অপরাধ। এ সমস্যা আজ শুধু বাংলাদেশের একার নয়, এটি আন্তর্জাতিক সমস্যাও বটে। এ থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার চেষ্টা সবারই করা উচিত।
এক গবেষণায় দেখা যায় ১৩-১৮ বছরের নারীরাই হয়রানির শিকার হন। কিশোরীরা সর্বপ্রথম নিকটাত্মীয় (চাচাতো, মামাতো, ফুফাতো ভাই ও অন্যান্য) বা মহলস্নার সদস্য দ্বারা ইভটিজিংয়ের শিকার হয়ে থাকেন। স্থানগুলো নারীর জন্য সবচেয়ে নিরাপদ থাকার কথা ছিল। কিন্তু হয়নি। নারীর চাকরি, সামাজিক কর্মকান্ড, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড, অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতালসহ সব স্থানে নির্বিঘ্নে নিরাপত্তার সঙ্গে বিচরণ করতে পারে, এমন পরিবেশ তৈরি করতে হবে। কারণ আমাদের মোট জনশক্তির অর্ধেক নারী। অর্ধেক জনশক্তিকে ব্যবহার উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। বৃহৎ জনশক্তি ব্যবহারহীন হয়ে পড়ে থাকতে দেওয়া মঙ্গলজনক নয়। সেজন্য প্রয়োজন নিরাপত্তার সঙ্গে নারীর বিচরণ করতে পারার নিশ্চয়তা।
বাংলাদেশ সংবিধানের ৩৬নং অনুচ্ছেদে সব ব্যক্তিকে আইনগত বাধা-নিষেধ ব্যতীত চলাফেরার স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়েছে। অনুচ্ছেদ-৩২ এ বলা হয়েছে, 'আইন ব্যতীত জীবন ও ব্যক্তি-স্বাধীনতা হইতে কোনো ব্যক্তিকে বঞ্চিত করা যাইবে না। নিরাপদে চলাচল ও জীবনযাপন, জীবিকা নির্বাহ প্রতিটি মানুষের সাংবিধানিক অধিকার।' এ অধিকার সবার। নারী-পুরুষে কোনো ভেদাভেদ নেই। ভেদাভেদ শুধু দৃষ্টিভঙ্গিতে। তাই সবার দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করে নারীর সব সেক্টরে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে দেশের উন্নতিতে অবদান রাখার সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। তারপরও যদি কেউ ইভটিজিং করে থাকেন। তাহলে তাদের প্রতিহত করতে হবে। মনে রাখতে হবে, আজকের ইভটিজার আগামী দিনের ধর্ষক।
যে কারণে ইভটিজিং হয় :
১. নৈতিকতার অভাব। ২. সৎসঙ্গের অভাব। ৩. ইসলামী আইনের বাস্তবায়ন না থাকা। ৪. ইন্টারনেটের মাধ্যমে নগ্নতার সয়লাব। ৫. ডিশের মাধ্যমে পশ্চিমা কালচার, সংস্কৃতির আমদানি। ৬. মেয়েদের বিশেষভাবে সাজিয়ে অঙ্গভঙ্গির কসরত করানো। ৭. নারীদের প্রায় সব ব্যবসায়ের আকর্ষণীয় মডেল হিসেবে উপস্থাপন আবশ্যক মনে করা। ৮. মেয়েদের শালীন পোশাক না পরা ইত্যাদি।
ইভটিজিং প্রতিরোধের উপায় :
জোরে এবং স্পষ্টভাবে 'না' বলতে শিখুন। কয়েকটি বাক্য প্রস্তুত করুন (যেমন 'আমার দিকে তাকানো বন্ধ করুন') এবং এটি প্রতিফলিত না হওয়া পর্যন্ত নিজেকে বলার অভ্যাস করুন। যদি আপনি হয়রানির শিকার হন, তাহলে বারবার এটি পুনরাবৃত্তি করুন, যতক্ষণ না আপনি সর্বজনীন স্থানে ব্যবহার করতে আত্মবিশ্বাসী বোধ করেন। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাসের যোগাযোগ করতে শিখুন।
ইভটিজিং যে বা যারা করবে তাদের আইনের হাতে সোপর্দ করার পদক্ষেপ নিন। সর্বোপরি ইভটিজিং বা নারী উত্ত্যক্তকরণের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। কোনো ধরনের ইভটিজিংয়ের ঘটনা ঘটলে সবাইকে ভিকটিমের পাশে দাঁড়াতে হবে এবং সঙ্গে সঙ্গেই প্রতিকারের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতা নিতে হবে।
ইভটিজিং রোধে, যে আইনগুলো বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করি-
১. নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০২ এর ধারা-১০ এ বলা হয়েছে, 'যদি কোনো ব্যক্তি অবৈধভাবে তার যৌন কামনা চরিতার্থের উদ্দেশ্যে তার শরীরের যে কোনো অঙ্গ বা কোন বস্তু দ্বারা কোনো নারী বা শিশুর যৌন অঙ্গ বা অন্য কোনো অঙ্গ স্পর্শ করে বা কোনো নারীর শ্লীলতাহানি করে। তাহলে এই কাজ হবে 'যৌন পীড়ন' এবং তার জন্য ওই ব্যক্তি অনধিক ১০ বছর কারাদন্ড কিন্তু অনূ্যন ৩ বছর সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত হইবে এবং তার অতিরিক্ত অর্থদন্ডে দন্ডিত হইবেন।'
২. দন্ডবিধি-১৮৬০ ধারা-২৯৪ এ বলা হয়েছে, 'কোনো ব্যক্তি যদি অন্যের বিরক্তির সৃষ্টি করে; (ক) কোনো প্রকাশ্য স্থানে কোনো অশ্লীল কাজ করে। অথবা (খ) কোনো প্রকাশ্য স্থানে বা কোনো প্রকাশ্য স্থানের সন্নিকটে কোনরূপ অশ্লীল সঙ্গীত, কবিতা বা কথা, গীত করে আবৃত্তি করে বা উচ্চারণ করে। তবে সেই ব্যক্তি ৩ মাস পর্যন্ত যে কোনো মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদন্ড অথবা অর্থদন্ড অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন।'
৩. দন্ডবিধির ধারা-৩৫৪ মতে, 'কোনো ব্যক্তি যদি কোনো নারীর শ্লীলতাহানির উদ্দেশ্যে তার ওপর আক্রমণ করে বা অপরাধমূলক বলপ্রয়োগ করে অথবা এইরূপ করার ফলে সংশ্লিষ্ট নারী শালীনতাহানি হতে পারে জানা সত্ত্বেও তার ওপর উপরোক্ত আক্রমণ বা অপরাধমূলক বলপ্রয়োগ করে। তবে সেই ব্যক্তি ২ বছর পর্যন্ত যে কোনো মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদন্ড অথবা অর্থদন্ড অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন।'
৪. দন্ডবিধির ধারা-৫০৯ এ বলা হয়েছে, 'কোনো ব্যক্তি যদি কোনো নারীর শ্লীলতাহানির উদ্দেশ্যে সে নারী যাতে শুনতে পায় এমন কোনো কথা বলে বা শব্দ করে অথবা সেই নারী যাতে দেখতে পায় এমনভাবে কোনো অঙ্গভঙ্গি করে বা কোনো বস্তু প্রদর্শন করে অথবা অনুরূপ নারীর গোপনীয়তার অধিকার লঙ্ঘন করে। তবে সে ব্যক্তি এক বছর পর্যন্ত যে কোনো মেয়াদের বিনাশ্রম কারাদন্ড অথবা অর্থদন্ড অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন।'
ইভটিজিংয়ের শিকার হলে করণীয়:
ইভটিজিংয়ের শিকার হলে সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ডায়াল করলে পুলিশি সহায়তা চাইবেন। আপনার আশপাশেরর্ যাব ব্যাটালিয়নে জানাতে পারেন। উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং সংশ্লিষ্ট থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর লিখিতভাবে এবং সশরীরে হাজির হয়ে লিখিত বা মৌখিকভাবে অভিযোগ দাখিল করতে পারেন। জেলা পর্যায়ে বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে অবহিত করতে পারেন।র্ যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকেও জানাতে পারেন। আশা করি, ইভটিজিংয়ের প্রতিকার পাবেন। আসুন সবাই ইভটিজিংয়ের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলি।
বর্তমানে ইভটিজিং বাংলাদেশের অন্যতম গুরুতর সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি একজন মহিলার স্বাধীনতা এবং চলাফেরার অধিকারকে মারাত্মকভাবে লঙ্ঘন করে, ১৩-১৮ বছর বয়সি ৯০% মেয়ে ইভটিজিং দ্বারা প্রভাবিত হয়। এটি এমন একটি উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে পৌঁছেছে যে ইভটিজিংয়ের কারণে গত তিন বছরে অনেক মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। অনেক মেয়ে শিক্ষার্থী তাদের পড়াশোনা ছেড়ে বাড়িতে থাকতে বাধ্য হয়। এই ভয়াবহ পরিস্থিতি এড়াতে অভিভাবকরা তাদের স্কুল-কলেজগামী মেয়েদের বিয়ে দিয়ে
দিচ্ছেন। আমরা চাই না মায়ার মতো আর কোনো মেয়ের জীবন অকালে জরে যাক। আসুন সবাই ইভটিজিংয়ের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলি। আমাদের কন্যা, জায়া ও জননীদের পথচলা নিরাপদ করায় সবাই এগিয়ে আসি।