নোবেল না পাওয়া বিখ্যাত লেখকরা

প্রকাশ | ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০

বাসার তাসাউফ
২০২৪ সালের সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে ১০ অক্টোবর। এবার কে পাবেন সাহিত্যে আরাধ্য নোবেল পুরস্কার- বরাবরের মতো এ নিয়ে জল্পনা-কল্পনার শেষ ছিল না। অনেকের ধারণা ব্যর্থ করে দিয়ে নোবেল কমিটি প্রতি বছরের মতো এবারও এমন একজনের নাম ঘোষণা করেছে- যাকে নিয়ে তেমন আলোচনায় ছিল না। এমনটি প্রতি বছরই হয়ে থাকে। তবু পাঠকরা অনুমান করতে পছন্দ করে। কেউ কেউ তো বাজিও ধরে ফেলে। যুক্তরাজ্যের প্রিমিয়ার বেটিং আউটলেট 'ল্যাডব্রোকস' নোবেল পুরস্কার জেতার সম্ভাবনাময় লেখকদের একটি তালিকা তৈরি করেছিল। এই তালিকায় কান জু টানা দ্বিতীয়বারের মতো শীর্ষে ছিলেন। গতবারও তার নামটা প্রথমে ছিল। দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন অস্ট্রেলিয়ান ঔপন্যাসিক জেরাল্ড মুরনানে। গত বছর দ্বিতীয় স্থানে থাকা নরওয়ের লেখক ও নাট্যকার ইয়োন ফসে পুরস্কার পেয়েছিলেন। তৃতীয় অবস্থানে ছিলেন জাপানের পাঠকনন্দিত লেখক হারুকি মুরাকামি। তার নামটি প্রায় প্রতি বছরই পাঠকদের পছন্দের তালিকায় থাকে। আরেক বিখ্যাত লেখক সালমান রুশদির নামও থাকে পাঠকের পছন্দ তালিকায়। কিন্তু নোবেল কমিটির পছন্দের সঙ্গে কখনো পাঠকের পছন্দ মিলে না, পাঠকনন্দিত এসব লেখকও পুরস্কার পায় না। নোবেল পুরস্কার পেলে যে কেউ গর্বিত হয়। নিজেকে ধন্য মনে করে। না পেলেও আশায় থাকে। এ বছর না হোক, পরের বছর...? আসলে মানুষ বাঁচে কয় বছর? হয়তো আরও অনেক বিখ্যাত লেখকের মতো মুরাকামি, সালমান রুশদি কিংবা কান জু নোবেল পুরস্কার না পেয়েই পৃথিবী থেকে বিদায় নেবে। প্রতিটি বোধ-বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের মনেই নোবেল পুরস্কার পাওয়ার প্রত্যাশা থাকে। কেউ পায়। কেউ আবার পেয়েও গ্রহণ করে না। জর্জ বার্নাড শ, বার্ট্রান্ড রাসেল, আলবার্ট আইনস্টাইন ও মাদার তেরেসার মতো ব্যক্তিত্বকে পুরস্কার দিতে পেরে নোবেল কমিটি ধন্য হয়েছে। আবার এমন কিছু ব্যক্তিত্ব আছে যাদের পুরস্কার দেওয়ার মতো সৌভাগ্য হয়নি কমিটির। যাদের পুরস্কার দিতে না পারা নোবেল কমিটির একরকম ব্যর্থতা প্রমাণিত হয়েছে তাদের মধ্যে আছেন লিও টলস্টয়ের (১৮২৮-১৯১০) মতো বিখ্যাত লেখক। ১৯০১ সালে প্রথম সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বিচারকরা তার নৈরাজ্যবাদ ও অদ্ভুত ধর্মীয় মতাদর্শের কারণে পুরস্কারের জন্য অযোগ্য মনে করেছিলেন। ১৯০২ সালে আবার মনোনীত হয়েছিলেন। সেবারও প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, টলস্টয়ের লেখা বড় বেশি বাস্তববাদী, আদর্শবাদী নয় এবং রাশিয়া ও সুইডেনের মধ্যকার অনেক পুরোনো দ্বন্দ্ব 'ওয়ার অ্যান্ড পিস', 'আনা কারেনিনা' বিশ্বসাহিত্যের সেরা দুটি উপন্যাস। যে কোনো একটিই পুরস্কার নোবেল জেতার জন্য যথেষ্ট ছিল। আমেরিকান উপন্যাসের জনক মার্ক টোয়েন (১৮৩৫-১৯১০) নোবেল পুরস্কারের জোরালো দাবিদার ছিলেন। কিন্তু তাকে পুরস্কারটি দেওয়া হয়নি। অথচ তার 'টম সয়ার' ও 'হাকলবেরি ফিন'র মতো উপন্যাসগুলো নোবেল পাওয়ার মতো সাহিত্যকর্ম। ফরাসি লেখক এমিল জোলা (১৮৪০-১৯০২) উপন্যাস লিখেছেন ৩০টিরও বেশি। এবং এর যে কোনো একটিই পুরস্কার পাওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল। নোবেল পুরস্কারের শুরুর বছর থেকে কয়েক বছরের মধ্যেই তাকে সম্মানজনক এ পুরস্কারটি দিতে পারত। নরওয়ের সেরা লেখক ও আধুনিক নাট্যেতিহাসের অন্যতম নক্ষত্র হেনরিক ইবসেনকে (১৮২৬-১৯০৬) শেক্সপিয়রের পর নাটকের জগতে সবচেয়ে প্রতিভাবান নাট্যকার বলা হয়। ইবসেনের অন্যতম সৃষ্টি 'এ ডলস হাউস', 'হেড্ডা গেবলার', 'পিলারস অব সোসাইটি'র মতো বই। তিনিও নোবেল পুরস্কার পাননি। আন্তন চেখভকে (১৮৬০-১৯০৪) আধুনিক ছোটগল্পের জনক এবং নাট্যসাহিত্যের পুরোধা। চেখভকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়নি। তাকে নোবেল না দেওয়ার পক্ষে যুক্তি ছিল, সুইডেন ও রাশিয়ার মধ্যে পুরনো রাজনৈতিক সমস্যা। মার্সেল প্রোস্ত (১৮৭১-১৯২২) বিশ শতকের সবচেয়ে বড় উপন্যাস 'হারানো সময়ের খোঁজে' (ইন সার্চ অব লস্ট টাইম)-এর এই ফরাসি লেখক নোবেল পাননি। সাত খন্ডে লেখা এই উপন্যাসটিতে চৈতন্যপ্রবাহ রীতি (স্ট্রিম অব কনশাসনেস) ব্যবহার হয়েছিল। এ রীতি শুরুর একেবারে প্রথমদিকেই। তার লেখায় বিভিন্ন বিতর্কিত বিষয় এনেছেন এ রকম অদ্ভুত অজুহাতে তাকে নোবেল দেওয়া হয়নি। জেমস জয়েস (১৮৮২-১৯৪১) বিশ্বসাহিত্যের সেরা পাঁচজন ঔপন্যাসিকের অন্যতম একজন। 'ইউলিসিস', 'ফিনেগেনস ওয়েক', 'এ' পোট্রেট অব দ্য আর্টিস্ট আয্যজ এ ইয়াং ম্যান' ও ছোটগল্প সংগ্রহ 'দি ডাবলিনার্স' আধুনিক ও উত্তরাধুনিক সাহিত্যের সংযোগ সড়ক স্বরূপ। নতুন ধারা ও নতুন বর্ণনারীতির, বিশেষ করে চৈতন্য প্রবাহ রীতি নির্মাণে তিনি অগ্রদূতের ভূমিকা পালন করেন। জেমস জয়েস প্রভাবিত সাহিত্যিক স্যামুয়েল ব্যাকেট (১৯০৬-১৯৮৯) ও সল বেলো (১৯১৫-২০০৫) নোবেল পুরস্কার পেলেও তাকে এ পুরস্কারটি দেওয়া হয়নি। ভার্জিনিয়া ওলফ (১৮৮২-১৯৪১)-এর লেখিকাকে কেন নোবেল দেওয়া হয়নি। অথচ তিনি বিখ্যাত উপন্যাস 'মিসেস ডালোওয়ে', 'টু দ্য লাইটহাউস' এবং নাতিদীর্ঘ প্রবন্ধ 'এ রুম অব ওয়ানস ওউন'র মাধ্যমে নোবেল পুরস্কারের জন্য অবস্থান তৈরি করে রেখেছিলেন। তাকে নোবেল না দিয়ে নোবেল কমিটি শুধু নিজেদের অপমানিত করেনি, অপমান করেছে নারী জাতির মেধা ও মননকেও। রবার্ট ফ্রস্ট (১৮৭৪-১৯৬৩) কেন নোবেল পেলেন না? এ প্রশ্নের জবাব অজানা। কবিতার জন্য চারবার পুলিৎজার বিজয়ী এবং অক্সফোর্ড, কেমব্রিজ, প্রিন্সটন, হার্ভার্ডসহ প্রায় সব প্রথমসারির বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে যুক্ত ৪০টিরও বেশি সম্মাননা ডক্টরেটধারী এ লেখকের নোবেল অপ্রাপ্তি মেনে নিতে হয়েছে তার পাঠককে। এজরা পাউন্ড (১৮৮৫-১৯৭২) হলেন গত শতকের সবচেয়ে বিতর্কিত কবি-সাহিত্যিকদের মধ্যে অন্যতম একজন। অনেকে ধারণা করেন, ফ্যাসিবাদী ইতালির রাষ্ট্রপ্রধান মুসোলিনিকে সমর্থন কিংবা ইহুদিবিদ্বেষী মনোভাব তাকে নোবেল পুরস্কার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। তিনি মডার্নিস্ট বা আধুনিকবাদী সাহিত্য আন্দোলনের পুরোধা। অসংখ্য কবি-সাহিত্যিকের প্রতিষ্ঠার পেছনে তার অবদান আছে। ভস্নাদিমির নবোকভের (১৮৯৯-১৯৭৭) এমন একজন লেখক ছিলেন যে, সেই সময়ের ১০০ ঔপন্যাসিকের তালিকা করা হলে সবার ওপরে তার নামটি লিখতে হতো। তার বিখ্যাত উপন্যাস 'ললিতা' অবলম্বনে হলিউডে চলচ্চিত্রও নির্মিত হয়েছে। 'পেইল ফায়ার' (চধষব ঋরৎব) তার আরেকটি বিখ্যাত সাহিত্যকর্ম। তিনিও নোবেল পাননি। অ্যালেক্সি ম্যাক্সিসোভিচ পেশকভ (১৮৬৮-১৯৩৬) একজন বিখ্যাত রুশ ঔপন্যাসি। ম্যাক্সিম গোর্কি তার ছদ্ম নাম। এ নামেই তিনি পৃথিবীজুড়ে বিখ্যাত। 'মা' তার সবচেয়ে বিখ্যাত উপন্যাসের নাম। দুনিয়া কাঁপানো অক্টোবর সমাজতান্ত্রিক বিপস্নবের পূর্বেকার উত্তাল রাশিয়ার জনজীবন এই উপন্যাসের পটভূমি। একটি উপন্যাস একটি জাতির বিবেককে বদলে দিয়েছে, এমন উদাহরণ বিশ্বসাহিত্যে আর নেই। পেলাগেয়া নিলভনা নামের একজন অতিসাধারণ মেয়ে মানুষ কি করে সময়ের প্রয়োজনে ধীরে ধীরে রূপান্তরিত হন একজন রাজনীতি সচেতন ব্যক্তিতে, বুঝতে শেখেন সারাজীবন কি করুণভাবে কাটিয়েছেন শ্রেণীগত নির্যাতন ও লিঙ্গ অবস্থানের অসহায় সময়; তা চমৎকার ভাবে বর্ণনা করেছেন গোর্কি এই উপন্যাসটিতে। সাধারণ মানুষ মাক্সিম গোর্কিকে রুশ সাহিত্যের প্রথম লেখক হিসেবে নোবেল পুরস্কার পাওয়া ইভান বুনিনের চেয়েও ওপরে স্থান দিয়েছে। গোর্কি নোবেল পুরস্কার না পেলেও এটাই তার বড় পুরস্কার। আর্থার মিলার (১৯১৫-২০০৫) যুক্তরাষ্ট্রের একজন নাট্যকার এবং প্রাবন্ধিক ছিলেন। তার পুরো নাম আর্থার অ্যাশার মিলার। ইহুদিবিরোধী মতবাদ সম্পর্কে লেখা ফোকাস তার একটি অন্যতম নাটক। তার লেখা প্রথম নাটক 'দ্য ম্যান হু হ্যাড অল দ্য লাক' ১৯৪৪ সালে ব্রডওয়েতে মঞ্চস্থ হয়েছিল। এর তিন বছর পর 'অল মাই সন্স' মঞ্চস্থ হলে নিউইয়র্ক ড্রামা ক্রিটিকস সার্কেল অ্যাওয়ার্ডে সেরা নাটকের পুরস্কার পেয়েছিল। ত্রম্নটিপূর্ণ যোদ্ধাস্ত্র নির্মাণের একটি কারখানাকে ভিত্তি করে তৈরি হয় নাটকটির গল্প। ১৯৪৯ সালে মিলারের সবচেয়ে জনপ্রিয় নাটক 'ডেথ অব এ সেলসম্যান' নাটকটি মঞ্চস্থ হয়েছিল। তার সবচেয়ে জনপ্রিয় নাটকগুলোর মধ্যে আছে অল মাই সন্স (১৯৪৭), ডেথ অব এ সেলসম্যান (১৯৪৯), দ্য ক্রুসিবল ও এ ভিউ ফ্রম দ্য ব্রিজ (১৯৫৫)। প্রথম দুটি নাটক লেখার জন্য তিনি নিউ ইয়র্কের নাটক সমালোচনা সমিতির পুরস্কার লাভ করেন। ডেথ অব এ সেলসম্যান বইটির জন্য তিনি নাটকে পুলিৎজার পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৮০ সালে মিলার সেন্ট লুইস বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি অ্যাসোসিয়েটস থেকে সেন্ট লুইস সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়া, তিনি ১৯৯৯ সালে ডরথি ও লিলিয়ান গিশ পুরস্কার, ২০০২ সালে প্রিন্স অস্টুরিয়াস পুরস্কার এবং ২০০৩ সালে জেরুসালেম পুরস্কার অর্জন করেন। এত পুরস্কার পেলেও তিনি নোবেল কমিটির সুদৃষ্টি অর্জন করতে পারেননি। স্পেনের সেই প্রতিবাদী কবি ফেদেরিকো গার্সিয়া লোরকাকে (১৮৯৮-১৯৩৬) স্প্যানিশ রীতি অনুসারে পিতৃ বংশের পদবি আগে গার্সিয়া আর মাতৃবংশের পদবি পরে লোরকা নিয়ে তার নামকরণ করা হয়েছিল ফেদেরিকো দেল সাগ্রাদো কোরাজন দে জেসাস গার্সিয়া লোরকা। দীর্ঘ এই নামের জাল কেটে বেরিয়ে এসে পরিচিতি হয়েছিলেন ফেদেরিকো গার্সিয়া লোরকা নামে। সেই সময়ে আধুনিক শিল্প সাহিত্যের ক্ষেত্রে, ইউরোপিয়ান মুভমেন্টের ফলে সুররিয়েলিজম, ফিউচারিজম ও সিম্বলিজম একটি বিশেষ জায়গা করে নিয়েছিল। স্পেনেও তৎকালীন কবিরা স্প্যানিশ সাহিত্যের ক্ষেত্রে এই মুভমেন্ট করতে জেনারেশন ২৭ নামে সংগঠন গড়ে তোলেন এবং সার্থকতার সঙ্গে স্প্যানিশ সাহিত্যে এর প্রয়োগ শুরু করেন। এতে করে স্প্যানিশ সাহিত্য এই নতুন ধারায় ব্যাপক উৎকর্ষ লাভ করে। ফ্রানজ কাফকা (১৮৮৩-১৯২৪) অস্ট্রো-হাঙ্গেরিয়ান বিখ্যাত লেখক। তার কালোত্তীর্ণ বইগুলোর মধ্যে আছে 'রায়', 'দি স্টোকার', 'রূপান্তর', 'দন্ড উপনিবেশে', 'অ্যাকাডেমির জন্য একটি প্রতিবেদন', 'প্রথম দুঃখ', 'এক ছোটখাটো মহিলা', 'এক অনশন-শিল্পী' এবং 'গায়িকা জোসেফিন অথবা ইঁদুর-জাতি' 'এক গ্রাম্য ডাক্তার' ইত্যাদি। কাফকা বিংশ শতাব্দীর বিশ্বসাহিত্যের সবচেয়ে প্রভাবশালী লেখকের অভিধা পেয়েছেন। এটি মোটামুটি প্রতিষ্ঠিত সত্য যে, আধুনিক বিশ্বসাহিত্যের প্রধানতম তিন স্তম্ভের একটি কাফকা অন্য দুজন জেমস জয়েস ও হোরহে লুইস বোরহেস। আধুনিক সাহিত্যের মানদন্ড নির্ধারণ করলে কাফকার সমান আর কেউই নেই। শেক্সপিয়ারের পরে আর কোনো লেখককে নিয়ে এতটা লেখালেখি হয়নি, যতটা হয়েছে কাফকাকে নিয়ে। মধ্য নব্বই দশকের আগেই তাকে নিয়ে লেখা হয়েছে ১০ হাজার বই। তার সাহিত্যকর্ম শত বছর ধরে, একইভাবে প্রাসঙ্গিক এবং সমাজ ও রাজনীতির বিবর্তনের ধারায় সেই প্রাসঙ্গিকতা বরং বেড়েই চলেছে। কাফকা নোবেল পুরস্কার পায়নি এমনটি নয়, আসলে তাকে নোবেল কমিটি পুরস্কার দিতে পারেনি। আর্জেন্টিনার হোর্হে লুইস বোর্হেসের (১৮৯৯- বাবা হোর্হে গিইয়ের্মো বোর্হেস ছিলেন একাধারে আইনজীবী ও দার্শনিক। মা আসেবেদো দে বোর্হেস ধর্মপ্রাণ ক্যাথলিক। তার বাবা হোর্হে গিইয়ের্মো বোর্হেসের ব্যক্তিগত লাইব্রেরিতে অগাধ বইয়ের সম্ভার ছিল। আর সেখানেই হোর্হে লুইস বোর্হেস মাত্র ১১ বছর বয়সেই পড়ে ফেলেছিলেন শেক্সপিয়রের চিঠি, ইংরেজি সাহিত্যের বই। 'লা বিসেরা ফাতাল' বোর্হেসের প্রথম লেখা ছিল ছোটগল্প- যা পরবর্তী সময়ে ইংরেজিতে অনুবাদ হয়েছিল 'দ্য ফাটাল হেলমেট' নামে। তিনিও নোবেল পুরস্কার পাননি। এছাড়া, ডি এইচ লরেন্স, হেনরি জেমস, চিনুয়া আচেবেকে নোবেল পুরস্কারের জন্য যোগ্য মনে করেনি!