গুণহীন, মানহীন আমি, তুচ্ছ দীনহীন অতি,
আমাকে সম্মান দানে কার্পণ্য, তাই যত বাঁধা-বিপত্তি,
সারাক্ষণ ভাবি, আমি অতিশয়, নিজ পরিচয়,
যেখানে হাত দেই, সাগর শুকায়, পরাজয়, শুধু পরাজয়!
কেন এমন হয়? কি কারণ? পাই না কোন সমীকরণ!
যে ছিল মোর প্রিয়তমা, যার লাগি সঁপেছি জীবন-যৌবন!
দিবস-যামিনী করি, কত না অসাধ্য সাধন, পর্বাতারোহণ,
ভূমি কর্ষণ, বীজ বপন, জল সিঞ্চন, শস্য ফলন, অর্থ উপার্জন!
কত দিন, এ পাড়া ও পাড়া, মসজিদ-মন্দির-দরিদ্র জনে,
করিয়াছি শস্য বিতরণ, দুঃস্থ, অসহায়, এতিমের শিরে হাত রেখে
স্তুতি বাক্য বর্ষণে হয়েছি স্নাত অবিরত ফুলে ফুলে ঢাকিয়াছে মেঠো পথ!
প্রাণ সঞ্চারী আবেগময়ী কিশোর-কিশোরীর দল
অকৃত্রিম শ্রদ্ধা-তোড়ন, দেবদারু, নারিকেল, সুপারি পত্র-পলস্নবে গড়েছে তোড়ন
আনন্দ, হিলেস্নাল, গীতিময় সুরের ঝংকারে মেতেছে চারিধার,
কুড়ি, হয়ত দুই কুড়ি, অশ্বারোহী, সারি সারি, পদ ফেলি,
করি অঙ্গ ভঙ্গি, হ্রেসাধ্বণি,
এখনও কর্ণ মূলে বাজে, সেই ধ্বনি, সেই সোনালি ধানক্ষেত, সমতল ভূমি,
মোর অবিস্মরণীয় অভ্যর্থনা, কি করে ভুলি??
বহুকাল, বহুযুগ হয়েছে অতীত!
কেশদাম বিবর্ণ, শীর্ণ, শরীর
আঁখিদ্বয় অকাল ধুসর,
ঝাপসা হয়ে আসা দৃষ্টিতে চেয়ে থাকি শূন্যতার দিকে
স্বর্গ-দূত কথা বলে, রজনী গভীর!!
তাই বুঝি এই সব খাঁটি অর্বাচীন বুলি,
প্রতিদিন, অনুুক্ষণ আমি ভাবি, আমি শুনি!
অকর্মণ্য, আকাজের ঢেঁকি!
যাহারে বেশি ভালোবাসি, তাহার ইথারের বাণী,
অশালকুষ্মান্ড আমি!! অসহ্য যন্ত্রণা! তবু আমি হাসি!!
শুধু হাসি! শুধু হাসি!!