বস্নাকহোলের অন্ধজলে একবুক সাগর শূন্যতায়
এখনো আমি সেই আগের মতোন, ডানপিটে কিশোর
ঝড় নেই, বাদল নেই আর কোনো দিকে ভ্রম্নক্ষেপ নেই
হিমগিরির মতো অচল দাঁড়িয়ে আছি তোমার আঙিনায়
এখনো তাকিয়ে আছি তোমার নীল নয়নের অপেক্ষায়
জান, কখনো স্মৃতিরা উদ্বেল হয়
কাতর কণ্ঠে কাঁদে আসমানের নীলসিয়া
ডানাহারা পাখির মতোন আমিও ভাসি বাতাসে।
কখনো তুলোর পেঁজার মতো মরুভূমির বালুকার মতো
মহাসাগরের ধূসর ফেনার মতো
আমার অপেক্ষার কাল প্রহর তবুও শেষ হয় না!
তবুও আশার বসতি বুকের খাঁ খাঁ জমিনে
একফোঁটা বৃষ্টির কোমল ছোঁয়ার মতোন
তেপান্তরের মাঠের সেই পঙ্খীরাজ ঘোড়ার মতোন
অমাবশ্যা রাতে হঠাৎ জ্বলে ওঠা ধূমকেতুর মতোন
অকূল পাথারে ভাসতে ভাসতে কুঁড়িয়ে পাওয়া খড়কুটোর মতো
আমার সব শূন্যতা, আমার অপূর্ণতার সব তিমির
সুবেহ সাদিকের মতো, চতুর্দশী চাঁদের মতো
গড়ে তোলে স্মৃতির মিনার!
মুহূর্তেই ভুলে যাই না পাওয়ার কষ্ট, শূন্যতা শক্তি দেয়
সাহস দেয়, অমরত্বের ঠিকানা দেয়
একহাঁটু জলে দাঁড়িয়ে কপালে এঁকে দেয় বিজয় তিলক
আমি হাসব কি কাঁদব; বুঝতে পারছিলাম না
হঠাৎ অপার বিস্ময়ে চেয়ে দেখি একজোড়া নীলপদ্ম হাতে
তুমি সেই আগের মতোই আমার দিকে তাকিয়ে!!