ডায়েরি
লোকালয় সুন্দর লাগছে শেষ বিকেল বেলা
ভালো লাগছে গ্রাম-গ্রাম শহরের ছবি
ওদিকে পার্কের নিচু ঘাসে উজবুক প্রেম
এদিকে গ্যাসবেলুনের ঊর্ধ্বমুখী রঙিন তামাশা
আমার গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে একটা বিড়াল
সূর্য নেমে গেছে গাছগাছালির ভেতর
ভালোবাসার নির্জন পথে বিষকাঁটালির ঝোপ
সন্ধ্যা ঘন হলে অনুপ, কামাল আসবে স্বপ্নসহ
এখন আমার আঙুল পুড়ছে তামাকের আগুনে
এখন ইছামতির ঢেউয়ের মাথায় জ্বলছে ফসফরাস
কী ঘটে
যখন উজ্জ্বল আলোসকল হঠাৎ নিতে যায়
আমাদের খড়খুটো বিশ্বাসগুলো স্ফীত হয়
অনেক ওপরে উঠে গ্যাসবেলুন
ফেটে যাওয়ার আগে কী ঘটে যখন শহরের
সেরা ধনী লোকটিও মানে বোঝে না
উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের
অবহেলা তার সীমা ছাড়িয়ে গেলে
টানটান করে বাধা ধৈর্য্য ছিঁড়ে যায়
যখন বহুতল ভবনের ছাদ থেকে মাতালের
খিস্তি খেউড়ের ভেতর এসে পড়ে
অপ্রস্তুত চাঁদ তখন কী হয়
দিশাহারা নিঃসঙ্গ পথিকের মাথার ভেতর?
আমার মন
অন্ধকারে কথা বলে উঠেছে 'শাশ্বত'
হৃদয়ের বাতাবিলেবু দুলে উঠেছে অন্ধকারে
সকাল হওয়ার পর আমি ভেবেছি
আপাতঃসত্য, সূর্য আর মিথ্যার মাঝখানের কুহক
ভেবেছি ঢেউয়ের চড়ায় ওঠা জলযান
নির্জন বেগুনি দ্বীপ, তিমির চোয়াল...
আমার চোখ এসব জানে না
আমার মন কেবল জানে অস্পষ্টতার বেদনা
গাধা
পৃথিবীর বোঝা নিয়ে পার হয় বামনির হাঁটুপানি
সে ধুলায় গড়াগড়ি খায়
ভার বহনের কথা বেমালুম ভুলে গিয়ে
গান করে আর হাঁটে পূর্ণিমার দিকে ঊর্ধ্বমুখ
পাড়ি দেয় জীবনের ধুধু মাঠ
আমাদের চোখে পড়ে তাকে
যখন সে লম্বা কান নাড়ায়
তার কান নাড়ানোর ভেতর দিয়ে
সে কী বলতে চায় সূর্যাস্তবেলা?
ওভাবে কি নাকচ করে দেয়া যায় জীবন ঝামেলা?