অপকর্মের সমুদ্রে তিনি বেশ শান্তি ও স্বস্তিতে ডুবে থাকলেও
তার কোনো চিহ্নই শরীর মনে ও চলনে-বলনে রাখেননি কোনোদিন।
অফিসের টেবিলেই তার অদৃশ্য পাকসাফের সেই স্নানের সমুদ্র।
অনর্থের শরীর ছুঁয়ে প্রতিদিন অসংখ্যবার তিনি তৈয়্যমুম করেন।
তারপর আবারও নিশ্চিন্তে নেমে পড়েন রক্তপাতহীন খুনের মহড়ায়।
প্রতিদিন তার হিসাবের দৈর্ঘ্য প্রস্থ ও উচ্চতা দীর্ঘায়িত হতে থাকে।
স্ত্রী-পুত্র-কন্যা ও স্বজনের কাছে তিনি হয়ে ওঠেন পারিবারিক টাকশাল।
কিন্তু, প্রতিদিন ঘরে ফিরে আয়নার সম্মুখে দাঁড়িয়ে তিনি আঁতকে ওঠেন
তার মুখের ওপর বসে থাকা তারই অপকর্মের চাকায় থঁ্যাতলানো
কোনো অসহায় মানুষের মেঘঢাকা মুখ, রক্তাক্ত চিবুক দেখে।