শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১

সৈয়দ ওয়ালীউলস্নাহর চাঁদের অমাবস্যা

জীম হামযাহ
  ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
সৈয়দ ওয়ালীউলস্নাহর চাঁদের অমাবস্যা

সৈয়দ ওয়ালীউলস্নাহর 'চাঁদের অমাবস্যা' উপন্যাসের শেষ দিকে খুব সংক্ষিপ্ত দৃশ্যে পুলিশের চরিত্র অল্পতে ব্যাপ্তভাবে ফুটে উঠেছে। পুলিশ জনগণের বন্ধু হয়ে কাজ করবে, সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে থাকবে, তাদের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধী আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি হয়ে শাস্তি পাবে এটাইতো স্বাভাবিক। কিন্তু পুলিশ দেখা যায় প্রায় বিক্রি হয়ে যায় এখানকার ক্ষমতাবান টাকাওয়ালাদের কাছে। সত্য উদ্ঘাটনের চেয়ে তারা টাকায় বিক্রিত দাসদের মতো আচরণ করে অশুভ শক্তির স্বপক্ষে। টাকা ও প্রভাবের কাছে বিক্রি হয়ে সত্যকে ঢেকে ফেলে মিথ্যার আবরণে। বিচারপ্রার্থী বিচার পাবার বদলে উল্টো নাজেহাল হতে হয় কখনো তাকে।

'চাঁদের অমাবস্যা' উপন্যাসে দেখানো হয়েছে কীভাবে টাকা, ক্ষমতা ও প্রভাব প্রতিপত্তির কাছে ন্যায়নীতি, ইনসাফ এমনকি নারীর মর্যাদা ও সম্মান ভূলুণ্ঠিত হয়ে যায়।

সৈয়দ ওয়ালীউলস্নাহর 'চাঁদের অমাবস্যা' উপন্যাসে খুব বেশি চরিত্রের ভিড় নেই। উপন্যাসের পস্নটও বিস্তৃত নয়। মানসিক দ্বন্দ্ব ও যুক্তি তর্কের সংঘর্ষে মূল ঘটনাকে কেন্দ্র করে তরতর করে এগিয়ে গেছে কাহিনী।

এখানে বলতে গেলে তিনটি চরিত্রই মূল। তার মধ্যে বলিষ্ঠ বা প্রধান চরিত্র যুবক শিক্ষক আরেফ। তারপরই কাদের। মাঝে মাঝে কাছে থেকে কখনো দূর থেকে এসে উপস্থিত থেকেছেন বড়বাড়ীর প্রধান মুরুব্বি দাদা সাহেব।

দাদা সাহেব সরকারি চাকরি থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে বাড়িতে বসে ধর্মকর্মে বেশ মন দিয়েছেন। অন্য সবাই ধর্ম মেনে চলুক এটাও তার বিশেষ কামনা। এককালে তাদের জমিদারি ছিল, অনেক প্রতিপত্তি ছিল। এখন সেসব না থাকলেও নাম যশটা এখনো ধরে রাখতে পেরেছেন। দান খয়রাতও করেন এবং গেরামে একটি স্কুলও পরিচালনা করেন বড়বাড়ীর প্রধান মুরুব্বি দাদা সাহেব। আভিজাত্য, মুরুব্বি মুনশিয়ানার সবই আছে দাদা সাহেবের মাঝে।

কাদের হচ্ছে দাদা সাহেবের কনিষ্ঠতম ভ্রাতা। এই কাদেরের একটা রহস্যময় চরিত্র বড়বাড়ীতে। কোনো কাজকর্ম করে না। অলস অকর্মা সেই সঙ্গে অসামাজিকও বটে। সে খুবই আত্মকেন্দ্রিক, কারো সঙ্গে তার মেলামেশা বা ওঠাচলা নেই। কোথায় থাকে, কী করে তা অনেকেরই অজানা। তার আত্মকেন্দ্রিক চলাফেরা, ঝুটঝামেলা থেকে মুক্ত, সমাজ সংসার থেকে নিরাসক্ত বিধায় তার মাঝে একটা দরবেশ দরবেশ ভাব আছে এমনটা ধরা যায়। দাদা সাহেব ভাবতেন তার এ ভাই আসলেই একটা দরবেশ। তার মাঝে আধ্যাত্মিক ব্যাপার স্যাপার আছে, সে, সেসবেই মশগুল।

এই ধ্যান-ধারণা আমাদের সমাজে এখনো আছে। কারো মধ্যে যদি দেখা যায় সমাজ সংসার থেকে উদাসীন নিরাসক্ত, কারো সাতে-পাঁচে নেই; আত্মকেন্দ্রিক চরিত্রের মানুষ মনে করে তার মাঝে কিছু একটা আছে। সে মানুষ যদি মাথায় টুপি দিয়ে একটু দাড়ি রেখে ফেলে তাকে হুজুর বা মোলস্না, মেসাব, পীর ডাকতে শুরু করে। মানুষের এই ডাকাডাকিতে সে যদি আরও একটু ভাব বজায় রেখে চলতে পারে তাহলে তার ভক্তেরও অভাব হয় না, তেলের বোতল, পানির বোতল আসেতে থাকে তার সামনে। সে সত্যিকারের পীর বা মোলস্না হয়ে ওঠে সমাজে, হোক সে যত বড় মূর্খ!

কাদের তেমনই প্রায়। বাহির থেকে সে দরবেশ মনে হলেও তার ভেতরের যে লম্পট, প্রতারক, দুশ্চরিত্র সেটা ছিল লোক সমাজে অপ্রকাশিত।

সৈয়দ ওয়ালীউলস্নাহর 'চাঁদের অমাবস্যা' উপন্যাসের মূল চরিত্র হচ্ছে যুবক মাস্টার আরেফ। আরেফ বড়বাড়ীতে আশ্রিত। লজিংয়ে থাকে। সেখানে থেকে খেয়ে গেরামের ওই স্কুলে শিক্ষকতা করে যেটা পরিচালনা করেন বড়বাড়ীর দাদা সাহেব। লজিংয়েও সে কয়েকটা ছাত্র পড়িয়ে তিন বেলা খাবার হালাল করে। আরেফ খুব বিনয়ী এবং ভীতু চরিত্রের। তার জীবনে বড় কোনো স্বপ্ন বা চাওয়া নেই। মাস শেষে দরিদ্র ফেমেলিতে মাকে কিছু টাকা দিতে পারে তাতেই সে সন্তুষ্ট। তার কোনো স্বপ্ন থাকলে সেটা সে স্কুলকে কেন্দ্র করে। স্কুলে শিক্ষকতা করে, বড়বাড়ীতে থাকে-খায় এসবই দাদা সাহেবের বদান্যতা। তার প্রতি তার ভক্তির শেষ নেই। বড়বাড়ীর মানসম্মানের প্রতি তার আলাদা একটা সমীহ। এমন সন্তর্পণে চলে যাতে কোনো বেয়াদবি প্রকাশ না পায়। খুব দুর্বল ও ভীরুচিত্তের মানুষ সে। একটু ভয় পেলে সে কাঁপতে থাকে। কথা বলে খুব অল্প। কথা বলার চেয়ে সে বেশি ভাবতে চেষ্টা করে। ভেতরে ভেতরে সে কল্পনা এবং ভাবপ্রবণ মানুষ। আবার খুব যুক্তিবাদী। কোনো বিষয় সে উল্টে পাল্টে নানাভাবে দেখে ভাবে। তার মনের মধ্যে যুক্তির ভাঙা গড়া ব্যাপক। এ ভাঙা গড়ার মধ্য দিয়ে চরম সত্যটা দৃঢ়ভাবে মাথা তুলে দাঁড়ায় তা বুঝা যায় কাদেরের ঘটনায়।

সেদিন রাতের ঘটনা তার পরের রাতের ঘটনা তারপর তার মনোজগতের তোলপাড় ভাবনা ও যুক্তির সংঘর্ষ ভাঙা গড়ার মধ্যদিয়েই এগিয়ে গেছে কাহিনী যেখানে বাস্তবে বহু চরিত্র বা পস্নট এসে ভিড় জমাতে পারেনি।

যুবক মাস্টার সে রাতে আলোয়ানটা গায়ে জড়িয়ে তার শারীরিক প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হয়। কাজ শেষে ঘরে ঢুকতে যেয়েও প্রবেশ না করে দাঁড়িয়ে থাকে জাম গাছের তলে। সে দেখতে পায় চতুর্দিকে জ্যোৎস্নার অপরূপ লীলাখেলা। সে মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে আছে। হঠাৎ তার চোখে পড়ে কে যেন ওদিকে যাচ্ছে খুব দ্রম্নত। যখন বুঝল সে কাদের তখন তার মনে কৌতূহল জাগে, এত রাতে এত দ্রম্নত কাদের কোথায় যায়? আজ সে দেখবে কোথায় যায় কাদের! এই ভেবে সে কাদেরের পিছু ধরে চুপিচুপি। কিন্তু খানিক পরে সে কাদেরকে আর দেখতে পায় না, হারিয়ে ফেলে। তারপর মাস্টারের মনে নতুন প্রশ্ন জাগে, সে কি আসলেই কাদের? সেটা নিশ্চিত হওয়ার জন্য মনের কৌতূহলে খুঁজতে শুরু করে। জ্যোৎস্নাজ্জ্বল রাতে সে খুঁজতে খুঁজতে মাঝি বাড়ির কাছে বাঁশঝাড় পর্যন্ত চলে আসে। বাঁশঝাড়ের মধ্যে মানুষের গলার নিচু আওয়াজ শুনে আরও খানিক এগিয়ে সজোরে বলে- কাদের মিয়া নাকি?

আবার সুনসান নীরবতা। কোনো সাড়াশব্দ নেই। তারপর হঠাৎ কোনো নারী কণ্ঠের চাপা চিৎকার শোনা গেলেও পরক্ষণে আবার নীরবতা। যুবক শিক্ষক আরেফ ভয়ে কাঁপতে থাকে। এক সময় সে বাঁশঝাড়ের মধ্যে আবিষ্কার করে- 'কোনো জন্তু-জানোয়ার নয়, সাপখোপ বা মাঠালি ইঁদুর নয়, কোনো পলাতক দুষ্ট ছাত্রও নয়। বাঁশঝাড়ের মধ্যে আলো-আঁধার। সে আলো-আঁধারের মধ্যে একটি যুবতী নারীর মৃতদেহ। অর্ধ-উলঙ্গ দেহ, পায়ের কাছে এক ঝলক চাঁদের আলো!'

\হসেই অবস্থা থেকে যুবক পালিয়ে আসার সময় কিছুদূর গিয়ে দেখে তার সামনে কাদের! 'সে যেন মাটি ফুঁড়ে উঠেছে!'

ভোররাতে এসে তারই দরজার সামনে কাদের এসে তাকে প্রশ্ন করে, সে দৌড়ে কেন পালিয়েছিল, বাঁশবনে কী করছিল? আরেফ কাদেরের প্রশ্নের কোনো উত্তর দিতে পারে না এমনকি কাদেরকেও কোনো প্রশ্ন করার সাহস তার হয় না!

পরদিন রাতে আবার কাদের তার কাছে আসে এবং বাহানা করে বাঁশঝাড়ে নিয়ে অর্ধ অনাবৃত মৃত নারীদেহটি মাস্টার আরেফের সাহায্যে পাশের নদীতে ভাসিয়ে দেয়।

ঘটনার পর থেকে মাস্টারের মনে যে ঝড় উঠেছে তা আর থামে না। মনের তোলপাড়ে নানাভাবে সে বিভক্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে। কোনো একজায়গায় এনে মনকে কেন্দ্রীভূত করতে পারে না। নানা জিজ্ঞাসা এসে ভিড় করে মনের মাঝে। কিন্তু প্রশ্ন করতে সাহস হয় না। যদিও কয়েকটি প্রশ্ন সাজিয়ে রাখে তারপরও সেগুলো উপস্থাপন করতে পারে না ঠিকঠাক। নানা জিজ্ঞাসার মাঝেও সে কাদেরকে অপরাধী সাব্যস্ত করতে তার মন সায় দেয় না। বরং মন তার পক্ষে সায় দেয় যে, কাদের এমনটি করতে পারে না। কাদের এমন কাজ করবে এমনটি ভাবাও যে তার অন্যায়! মনকে প্রবোধ দিতে যায় তখন মন থেকে আবার পাল্টা প্রশ্ন তাকে আঘাত করে।

আবার দেখা যায় দরিদ্র মাঝিবাড়ির এই গৃহবধূর মৃতু্য নিয়েও পাড়ায় খুব একটা আলোচনা নেই। যা একটু আলোচনা শুনে তা স্কুলে অন্যান্য মাস্টারদের মুখে। একটা যুবতীর মৃতদেহ নাকি নদীতে ভাসতে দেখেছে জাহাজের সারেং। এর বাইরে এ ঘটনায় খুব একটা হৈচৈ দেখা যায় না। স্কুলে মাস্টাদের আলোচনায় উল্টো ওই নারী সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করতে দেখা যায়। বাড়ির লোকরা ধরে নিয়েছে এটা জিনের কান্ড। মাঝিবাড়ির লোকরা বিষয়টি সে ভাবে মেনে নিয়েছে। কিন্তু ঘটনার পর থেকে যে কাদেরের মনেও শান্তি নেই। সে তো আর পেশাদার খুনি নয়। তার মনে ভয়, যদি ঘটনা ফাঁস হয়ে যায়! তার মনের মাঝেও তোলপাড়। সে তোলপাড়ে মাস্টারের কাছে ঘটনা বলেও দেয়, এও বলে যে এটা অনিচ্ছাকৃত। এটা একটা নিছক দুর্ঘটনা। চিৎকার থামাতে যেয়ে সে গলা চেপে ধরেছিল।

আরেফ লক্ষ্য করে যে এ ঘটনা ফাঁস হলে তাদের মানসম্মানের ভয় ছাড়া আর কোনো অনুশোচনা নেই এবং ওই নারীটির প্রতিও কাদেরের মনে কোনো ভালোবাসা ছিল না ভোগের বস্তু ছাড়া। তখন কাদেরের প্রতি তার ঘৃণা হয় এবং মাস্টার আরেফের মনে অনুশোচনার অনুতাপ জেগে ওঠে। মনে হয় যে, এ ঘটনার জন্য সেও দায়ী। সে যদি সেখানে উপস্থিত না হতো তাহলে এমনটি ঘটতো না। আরেফ এও জানে যে এটা যদি প্রকাশ করে তাহলে সে মাথা গুঁজার ঠাঁইসহ স্কুলটা তাকে হারাতে হবে- যেটা তার একমাত্র অবলম্বন। সে নানাভাবে তার মনোজগতে ঘটনার বাঁক পরিবর্তন করতে চাইলেও পারে না, চরম সত্যটাই ফনা তুলে ফুঁসে উঠে নানা যুক্তি তর্কের ভিড়ে।

পাপকর্ম মনের শান্তি নষ্ট করে দেয়। কাদের নিজেও একটা আতঙ্কে ভুগছে যদি আরেফ ঘটনাটা প্রকাশ করে দেয়। যদিও তেমন কোনো সম্ভাবনা আপাতত দেখা যাচ্ছে না তবুও সে সন্দেহ মুক্ত নয়। তাছাড়া আরেফের রহস্যময় নীরবতা- যা তাকে আশ্বস্ত করতে পারেনি। চতুর কাদের এটা শুরুতেই তার ভাবনায় রেখেছিল। এ জন্য লাশ সরানোর কাজে আরেফকে সে সচেতনভাবে ব্যবহার করে- যাতে তার মুখ বন্ধ রাখা যায় এবং সুযোগমতো অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা যায়। তাইতো সে এসে আরেফকে নানা ভয়ভীতি দেখাতে থাকে। সে বুঝাতে চায় সম্পূর্ণ ঘটনার দায় আরেফে ওপর চাপিয়ে দেবে। তার কাছে সাক্ষীও আছে। কাদের আরেফকে বলে- 'ক'জন সাক্ষী চাই? তারা বলবে কোথায় আপনাকে দেখেছে।'

আরেফ তার বিবেকের দায়বদ্ধতার কাছে আটকে গেছে। এই ঘটনা তাকে নিস্তার দিচ্ছে না। কোনোভাবেই মুক্তি পাচ্ছে না। সে যদিও ভীত অসহায় কিন্তু জীবনের অভিজ্ঞতা তাকে দৃঢ় করে তোলে, তার সত্যোচ্চারিত মন নানা দুশ্চিন্তার ভিড়ে বিদ্রোহ করে। এটা প্রকাশ করলে তার পরিণাম কী হবে সেটাও সে জানে। তাই দাদা সাহেবের কাছে ঘটনা বলার আগে সে এ বাড়ি ত্যাগ করার জন্য তার বাক্স পত্রও গুছিয়ে নেয়।

ইতস্ততভাবে যখন দাদা সাহেবকে ঘটনা বলে তখন দাদা সাহেবও 'থ'! যেন তারও বিশ্বাস হচ্ছে না কাদের এমনটা করবে। তাই তিনি যুবক শিক্ষককে দীর্ঘ নীরবতার পর বলেন, 'বুঝলাম না, পরিষ্কার করে বলেন।'

সেদিনই আরেফ বড়বাড়ী ত্যাগ করে। দাদা সাহেবকে ঘটনা বলে ক্ষান্ত হয়নি, দুক্রোশ দূরে থানায় চলে যায় তার কর্তব্যের তাগিদে।

'চাঁদের অমাবস্যা' উপন্যাসের শেষে দেখা যায় অপরাধী কাদেরের কোন শাস্তি হয় না। সত্য প্রকাশ করতে যেয়ে উল্টো জেরার মুখে পড়তে হয় যুবক মাস্টার আরেফকে। পুলিশ তাকে বলে, 'যার ক্ষতি করতে চান, তার ক্ষতি করা সহজ হবে না।... বোধ হয় অপরাধ স্বীকার করেন, না হয় আজগুবি কথাটা ছাড়েন!' দেখা যায়, থানায় গিয়ে উল্টো আরেফকে বিপাকে পড়তে হয়, নাজেহাল হতে হয়।

'চাঁদের অমাবস্যা' উপন্যাসটি প্রকাশিত হয় ১৯৬৪ সালে। এটা তৎকালীন সমাজ বাস্তবতায় রচিত হলেও সে বাস্তবতা আজও রহিত হয়নি। উপন্যাসটি সেই সময়কে অতিক্রম করে এসে এই সময়ে আরও প্রাসঙ্গিক। পড়লে মনে হবে এটা যেন এখনকার সমাজের বাস্তব রচিত। চরিত্র পস্নট কিছুই যেন পরিবর্তন হয়নি। হয়ত তখন বড়বাড়ীতে ইলেক্ট্রিসিটি ছিল না, এখন আছে। বস্তুগত পরিবর্তন ছাড়া অবস্তুগত সবকিছু আছে আগের মতো। এখনও সমাজ জিম্মি হয়ে আছে অশুভ শক্তির হাতে। যেখানে সত্যের গলাটিপে ধরা হয় আর মিথ্যার জয়জয়কার।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে