লজ্জা

প্রকাশ | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

মাহবুব দুলাল
আমাকে কেউ কিছুই বলেনি, তাচ্ছিল্য করেনি- তবু লজ্জা পাচ্ছি আমি- কী নিদারুণ লজ্জা! উঠতে লজ্জা, বসতে লজ্জা হাটতে লজ্জা, ঘরে-বাইরে লজ্জা পাচ্ছি; যেন এ বিবেকেরই এক লজ্জা বটে। আমি তো বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসি ভালোবাসি শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের ভালোবাসি বাঙলার এই সবুজ লতা-পাতা ঘাস, ভালোবাসি সংস্কার আন্দোলনের শহীদদের; আহতদের। তবে লজ্জা পাচ্ছি কেন? লজ্জা পাচ্ছি- তোমার মন্ত্রী এমপি, ব্যবসায়ীদের কু-কীর্তির কথা জেনে- রাজনীতি তো নয়; নয় মানবনীতিরও পরিচয় কোনো। নিয়তির অমোঘ নিয়মেই ভেঙেছে তোমার গড়া স্বার্থের শৃঙ্খল আকাশে সাদা মেঘের ভেলায় বাতাসে বাতাসের দোলায় গুলির শব্দ-আর্তনাদ আর আর্তনাদ এখনো ক্ষণে ক্ষণে ৫ আগস্টের প্রতিধ্বনি শুনছি, শুনবো- আজীবন জাতিও শুনবে; স্বপ্নেও আতকে উঠবে- ভয়ে ও লজ্জায়। এ দেশের মানুষের ছোট আশা পূরণে দুরাশা, দিনে ও রাতের ছায়ায় লড়েছে এক শ্রেণির নিরস্ত্র মানুষ- ছিল চেপে ধরা নীরবতা মানবতার কান্না; শুনতেই পাওনি। গোধূলী শেষে রাখালের বাঁশির সুর পৌঁছেনি তোমার কানে- দিনেও রাতের ছায়া দেখেছে এ বিস্তীর্ণ জনপদের অসংখ্য মানুষ বাংলার কষ্টের বাগানে তোমার প্রতিহিংসার ইতিহাস জেনে আমি বেশ লজ্জা পাচ্ছি। কঠিন ঘটনার জন্ম হয় দেশে প্রতিহিংসার আগুনে শুধু জামায়াত- বিএনপি পুড়েনি, পুড়েছে জনগণও সাথে পুড়েছে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযোদ্ধা, পুড়েছে শিল্পী, বুদ্ধিজীবী দেশবোদ্ধা। ১৬ বছরের শাসনে ক্রোধ ছিল ছিল না সম্মান- ছিল লজ্জা, এখন জেনে বুঝে অন্যদের সাথে আমিও লজ্জা পাচ্ছি- লজ্জা পাচ্ছি তোমার বিস্তর ডুবে যাওয়ায়। আন্দোলনের ট্রমা এখন রাজনীতিতে নেই ছড়িয়ে পড়েছে জাতি ও সমাজ গড়া শিক্ষকের মাঝে; ভয়ংকর সে দৃশ্য- শিক্ষার্থী শিক্ষকের শরীরে তুলেছে হাত এতে জাতির যায়নি কো জাত- লজ্জা পাচ্ছি। এদেশের মানুষের প্রতিদিনের কামনায় সূঁচ হতে চেয়েছে; কাঁচি নয়। জাতির পঞ্চাশ বছরে এমন ঘটনা ঘটেনি জাতির পিতার শোক দিবস পালন হয়নি বাংলায় এবার; আমি লজ্জা পাচ্ছি লজ্জা পাচ্ছে জাতির পিতাকে ভালোবাসে যারা।