নাকদড়ি ছেঁড়া ষাঁড় তেড়ে আসে লম্ফঝম্প দিয়ে
তাগড়া ত্রাসে সন্ত্রস্ত পায়রারা উড়াল দেয় নিরুদ্দেশে
ঘুঘুদল নৃত্য ছেড়ে প্রাণভয়ে দ্রম্নত লুকোয় সরষেক্ষেতে
তীক্ষ্ন দাঁতে পয়মাল মাঠের সবুজ ভালোবাসা
এ কেমন ইচ্ছেসুখ! বলো, এ কেমন স্বাধীনতা!
অরক্ষিত রক্তবিল যেন জলৌকার সুরক্ষিত গোলাবাড়ি
লালপদ্ম নীল হয়, কান্ডে তার শুষ্ক মরুভূমি
খলসে নেই, পুঁটি নেই; বক নেই, নির্বাক ডাহুক ডাহুকি
শ্যাওলার দামে দমবন্ধ বিলের জীবনে পরাজয়ের গস্নানি।
অনুক্ষণ হানা দেয় সংসারের মৌচাকে দুবৃত্ত
কাফন-মোড়া ইজ্জত মড়িঘরে শুয়ে থাকে নিত্য
বেজন্মা পেশিওয়ালা পাগলা কুকুর হয়ে ছুটে
'ঘা খাওয়া অধিকার' প্রতিনিয়ত মাথা কোটে মরে।
লুঠেরা জাগ্রত সদা
তলস্নাটে তলস্নাটে লুট হয় স্বাধীনতা,
লুট হয় নাগরিক, জ্বালার জলে নগর ভাসে
দসু্যদের হুইসিলে 'মানবিক বন্দর' থরথর কাঁপে।
সভ্য বলে দাবি করি অথচ নিরুদ্দেশ সভ্যতা
কেউ মারে, কেউ মরে; কেউবা নির্বিঘ্ন, কেউবা শৃঙ্খলে বাঁধা এ কেমন স্বাধীনতা।