আবারও মানুষ হতে চাই
কেঁচো কিংবা শিরদাঁড়াহীন সরীসৃপের এক জীবন কাটলো
আবারও মানুষ হতে চাই- কর্মভূমিতে ঋজু হয়ে দাঁড়াতে চাই।
কবে জানি মানুষ হয়ে জন্মেছিলাম তাও ভুলে গেছি-
সে কি পঁচিশ বছর আগে কিংবা প্রাগৈতিহাসিক কোনো এককালে?
সময় এসেছে খুঁজে নিতে চাই আপন পুরনো শিরদাঁড়া,
যেটি অনিচ্ছায় বন্ধক দেয়া ছিল ঊধ্বর্তনের অদৃশ্য লকারে
খাকি কিংবা ডিপগ্রিণ মুখোশে নিজেকে ঢাকার আগে।
পঁচিশ বছর পরে দেশপ্রেমিক ছাত্র-জনতা- সৈনিক
শিখিয়ে দিল অপূর্ব মন্ত্র-
মেরুদন্ডসহ বাঁচো,
মানুষের মতো বাঁচো,
মানুষ হয়ে বাঁচো।
\হ
আশঙ্কা, বেহাত-বিপস্নবের
লুটেরাদের জার্সি বদল হয়, বদল হয় না স্বভাব।
বায়ান্ন, ঊনসত্তর, একাত্তুরেও সগৌরবে লুট হয়েছিল বিপস্নব
পঁচাত্তরের সিপাহি-জনতার বিপস্নবও লুট হয়েছিল- জলপাই অন্ধকারে,
একাশির সামরিক বিদ্রোহ ব্যর্থ হয়েছিল বিশ্ব বেহায়ায়,
নব্বইয়ের গণ-অভু্যত্থান দুই হাজার ছয়ের এক /এগারোর
সামরিক প্রতারণায়- ভাগ্য বদল হয়নি সর্বসাধারণের।
আজ জেগেছে ছাত্র, জেগেছে জনতা
জাগো আজ আবালবৃদ্ধবনিতা,
জাগো আজ সারা বাংলা জাগো
প্রতি বিপস্নবীরা কূটকৌশলে তৎপর-
তোমার-আমার হাজার বছরের লালিত শত-সহস্র
শহীদের রক্তরঞ্জিত বিপস্নবের ফল-ফসল লুটে নিতে-
লক্ষণ বিচারে আশঙ্কা আমার-
আবারো বেহাত হবে বুঝি শতাব্দীর এই রক্তাক্ত বিপস্নব!