আমি দাঁড়িয়ে আছি শতায়ু বৃক্ষের নিচে
\হযে কিনা স্নেহ দিয়েছে, আদর দিয়েছে, মায়া দিয়েছে
সতেজ বাতাস দিয়েছে, ছায়া দিয়েছে
শূন্যতায় এঁকেছে ভালোবাস।
আমি একটি শতায়ু বৃক্ষের কথা বলছি,
যে কিনা ঝড়ো হাওয়ার দিনে
অনেক অনেক পাখিকে আশ্রয় দিয়েছে।
আমি শতায়ু বৃক্ষের ভালোবাসার কথা বলছি
তার অহংকারের কথা বলছি
যা উদ্ভাসিত সত্যের মতো মূর্তিমান
যে কিনা বাতাসের কণ্ঠ ছুঁয়ে অবিরত গাইছে গান।
আমি একটি শতায়ু বৃক্ষের কথা বলছি
যার সাথে আমার দাদুর সখ্যতা ছিল
গ্রামের সহস্র মানুষের আত্মীয়তা ছিল
\হযেখানে দিদির শৈশব কেটেছে
আলোছায়ার ঝলমলে দুপুর
স্মৃতির আয়নায় ভেসে ওঠে।
সবই আজ গল্পের মতো, দিদির স্মৃতির পাতায় স্বচ্ছ জলে অবিকল ছবি হয়ে উদ্ধৃত।
আমার আত্মজাকে শতায়ু বৃক্ষের কাছে নিয়ে এসেছি।
বৃক্ষ, সে শুধু বৃক্ষ নয়-পরম্পরার অভিজ্ঞান, প্রাণ-প্রকৃতির অভিভাবক।
\হযে কিনা বিপদের আশ্রয়স্থল।
শতায়ু বৃক্ষ, প্রতিদানে তোমাকে কি দিয়েছি?
কিছু-ই দেইনি। শুধু নিয়েছি।
স্থির করেছি শতায়ু বৃক্ষকে নিয়ে উৎসব করব
জন্মশতবার্ষিকী করব
যেখানে তার জন্মের ইতিহাস, বেড়ে উঠা, অবদান,
শত শত অভিজ্ঞান, সম্পর্কের বুনন, কত কিছুই না উঠে আসবে।
উৎসবের দিনে যারা আসবে। খালি হাতে না-ই বা আসলে, হৃদয়ে নিয়ে এসো বরণ মালা। তবেই হবে প্রতিদান, হৃদয়ের শ্রদ্ধার্ঘ্য।
শতায়ু বৃক্ষকে বাঁচিয়ে রাখি। ধরণিকে করি নির্মল।
হে বৃক্ষ, তুমি সুস্থ থাকো, ভালো থাক।
তোমার ভালো থাকার ভিতরেই আমার ভালো থাকা।