এক ফালি চাঁদ, গায়ে মাখা খাঁদ, নির্ঘুম রাতে;
জোছনার আলো, কার মুখে ঢালো, শুয়ে ডান কাতে?
বসে বসে একা, কার পানে দেখা, নির্জন ছাদে?
শির শির হাওয়া, কার আসা যাওয়া, কার লাগি কাঁদে?
চুপচাপ-মূক, ভেঙে যায় বুক, বিচু্যত তলে;
লাল লাল আঁখি, একা জেগে থাকি, চোখ ভেজা জলে!
এই বসে থাকা, কার ছবি আঁকা, বিশ্বাসী মনে;
জোছনার চাঁদ, নয় কোনো ফাঁদ, প্রিয়তম ক্ষণে।।
মরার মতো জীবন
বেগম! রাত পোহাতে আর কত দেরি?
রাত পোহালেই দসু্য দানবের হাতে-পায়ে পরাবো শৃঙ্খল বেড়ি।
আসলে কে আপনি, মহারাজ?
সত্যি করে বলবেন কি, আপনার আসল পরিচয় আজ?
আমায় চিনিতে, খোঁপা ও বিনিতে, খুঁজো উঁকুনের ঢেলা!
জাহাপনা মিছে, উঁকুনের পিছে! রাজ্যে যে আজ আগুন আগুন খেলা।
বেগম আমার সংশয়ে আছে, মরার মতো জীবিত বাঁচে!
এই বেঁচে থাকা, রাজকোষ ফাঁকা, তুষ আগুনের আঁচে!
বাইষ্যালি চাঁদ জোছনা
বাইষ্যালি চাঁদ, মন কাড়া ফাঁদ, পূর্ণিমা আজ;
কার তরে সাজি, মনমরা আজি, নাই কোনো কাজ?
ধান কাঁটা ভুঁইয়ে, খালি পা ছুঁইয়ে, কুর্নিশে দেহ;
কে হেঁটে যায়? চুপচাপ চায়, দেখিল না কেহ।
গাছ সারি সারি, নাই ঘর বাড়ি, ভুঁই ভরা জল;
তুলো তুলো মেঘ, বাতাসের বেগ, করে খল খল।
শিয়ালের পাল, খালি মুখ গাল, নাই কোনো ঠাঁই;
বাইষ্যালি চাঁদ, জোছনার ফাঁদ, খাই দাই চাই!