সাহিত্য ছাড়া ভাষা শিক্ষা অসম্পূর্ণ। সাহিত্য সৃষ্টিই হচ্ছে ভাষা থেকে, একটি ভাষার পূর্ণ ও ফলিত রূপ হচ্ছে সাহিত্য। কাজেই যিনি নিজ মাতৃভাষা ব্যতীত অন্য একটি ভাষা শিখছেন তাকে ওই ভাষার সাহিত্য পাঠ করতে হয় তার সংস্কৃতি ও ব্যবহৃত রূপের সঙ্গে সরাসরি পরিচিত হওয়ার জন্য। ভাষা এমন একটি বিষয় যা ধরে ফেলতে হয়, পিকআপ করতে হয়, নিজে ব্যবহার করতে হয়, এটি শেখানোর বিষয় নয়, নিজেকেই শিখতে হয়, পারিপার্শ্বিকতা থেকে শিখতে হয়। আর তাই সাহিত্য যদি কারিকুলামের অংশ হিসেবে রাখা হয়, তাহলে ভাষা শেখাটা আরও উন্নত, বাস্তবধর্মী ও আনন্দময় হয়। আমাদের নতুন কারিকুলামে ইংরেজি বিষয়ে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকেই কিছুটা সাহিত্যের পাঠ সংযোজন করা হয়েছে। আমাদের মনে রাখতে হবে কারিকুলাম যেভাবেই হোক না কেন, ইংরেজি আমাদের পড়াতেই হবে শিক্ষার্থীদের ভাষিক উন্নয়ন ও বিশ্লেষণধর্মী ক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে। ষষ্ঠ শ্রেণিতে জুলিয়া কার্ণির খরঃঃষব ঞযরহমং এবং ঔবংংরপধ গপউড়হধষফ এর খরঃঃষব জবফ কবিতা নির্বাচন করা হয়েছে। খরঃঃষব ঞযরহমং -একটি অনুপ্রেরণামূলক কবিতা। বর্তমানে বেঁচে থাকার গুরুত্ব এবং ছোট ছোট মহৎ ও সৎ কাজের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে কবিতাটিতে। জুলিয়া কার্ণি বলতে চেয়েছেন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিষয় পৃথিবী পরিবর্তনে বিশাল ভূমিকা রাখে। প্রতিটি বড় কাজের পেছনে ছোট কাজের যে গুরুত্ব কতখানি সেটি আমাদের বুঝতে হবে। আমাদের প্রতিদিনকার জীবনে ঘটে যাওয়া ছোট ছোট ঘটনা এবং আমাদের কৃত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মহৎ এবং সহানুভূতিশীল কাজের গুরুত্ব অপরিসীম। এমনকি একটি সুন্দর কথা, একটি সহানুভূতির কথা অন্যের ওপর এবং সমাজে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে। আর এভাবেই আমাদের নিজেদের, চারপাশের মানুষদের এবং সমাজ ও রাষ্ট্রকে বাসযোগ্য স্থানে পরিণত করতে পারে। কবি এখানে সরাসরি প্রকৃতির উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়েছেন যে, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পানির কণাই সাগর ও মহাসাগর গড়ে তোলে। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বালুকণা বিশাল জমি, বিশাল মরুভূমি তৈরি করে। আমাদের জীবনের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মুহূর্তগুলো মাস, বছর ও যুগ তৈরি করে। ঔবংংরপধ গপউড়হধষফ-এর খরঃঃষব জবফ কবিতায় একটি ছোট মেয়ের সরলতা ও নির্দোষতা এবং একটি নেকড়ের বিশ্বাসঘাতকতার কথা তুলে ধরেছেন। আমাদের চারদিকে দেখতে পাই যারা সহজ-সরল তাদের সেই সরলতার সুযোগে চতুর ও দুষ্ট প্রকৃতির লোকেরা তাদের স্বার্থ উদ্ধার করে। লিটল রেড নামে ছোট একটি বালিকা মাথায় লাল ক্যাপ পরে জঙ্গলের মধ্য দিয়ে তার অসুস্থ দাদিমাকে দেখতে যাচ্ছিল। তার হাতে ছিল রুটিভর্তি একটি ঝুড়ি। পথিমধ্যে এক নেকড়ের সঙ্গে তার দেখা। সে বালিকাটিকে জিজ্ঞেস করল, সে কোথায় যাচ্ছে। উত্তরে সে তার সহজ-সরল ভঙ্গিতে বলল, তার দাদিমা অসুস্থ এবং তাকে সে দেখতে যাচ্ছে। নেকড়েটি কৌশলে তার কাছ থেকে তার দাদিমার ঘরের সন্ধান নিল। সেখানে গিয়ে সে তার দাদিমা ও তাকে হত্যা করে গলধকরণ করল। সমাজে দুষ্টু লোকেরা এ ধরনের কাজই করে থাকে। ষষ্ঠ শ্রেণিতে উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের ট্রাজেডি করহম খবধৎ সম্পর্কেও একটু ধারণা দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, নাটক এক ধরনের সাহিত্যিক গঠন যা মঞ্চে দেখানো হয়। অতএব নাটক পড়ার চেয়ে দেখার বিষয়ই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। একটি নাটকে চরিত্র, কথোপকথন এবং পস্নট থাকে। পস্নট হচ্ছে ঘটনার ধারাবাহিকতা অর্থাৎ শুরু, ক্লাইমেক্স ও শেষ এবং সেটিং অর্থাৎ ঘটনা কোথায় সংঘটিত হচ্ছে। একটি নাটক কয়েকটি অ্যাক্ট এবং দৃশ্যে বিভক্ত। কিং লিয়ার শেক্সপিয়ারের বিখ্যাত ট্রাজিক নাটকের মধ্যে একটি যেখানে দেখানো হয়, কিং লিয়ার তার তিন কন্যার মধ্যে প্রথম দুই কন্যাকে রাজ্য ভাগ করে দেন এবং তৃতীয় কন্যাকে সম্পদ থেকে বঞ্চিত করেন। কারণ প্রথম দুই কন্যা রাজাকে চাটুকারিতায় তুষ্ট করেন কিন্তু তৃতীয় কন্যা প্রকৃতপক্ষেই তার বাবাকে ভালোবাসতেন তবে তিনি তা মুখে প্রকাশ করেননি। আর তাই রাজা তাকে সব সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করে নির্বাসনে পাঠান। কিন্তু রাজার প্রথম দুই কন্যাই তাকে প্রত্যাখ্যান করে বাড়ি থেকে বের করে দেন। ফলে রাজা পাগল হয়ে পথে পথে ঘুরছিলেন। এ খবর পেয়ে তার তৃতীয় কন্যা কর্ডেলিয়া নির্বাসন থেকে এসে রাজাকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন কিন্তু তাদের সবাইকে পরিশেষে মৃতু্যবরণ করতে হয়। শিক্ষার্থীরা এখানে বিশ্ব্যখ্যাত নাট্যকরা শেক্সপিয়ারের সঙ্গে এবং তার লিখিত নাটকের সঙ্গে একটু পরিচিত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। সপ্তম শ্রেণিতে- জঁফুধৎফ করঢ়ষরহম-এর ওভ কবিতাটিতে ধৈর্য এবং অধ্যবসায় যে জীবনে কতটা গুরুত্বপূর্ণ সে কথাই বলা হয়েছে। কবিতায় পাঠকদের ধৈর্য ধরতে বলা হয়েছে, জীবনে বিফলতাকে গ্রহণ করতে এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য অধ্যবসায় চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে। আরও বলা হয়েছে, বিফলতা ও নৈরাশ্যকে গ্রহণ করা এবং দৃঢ় সংকল্প করার মধ্যেই আমাদের সাফল্য নিহিত আছে। আমাদের বিশাল বিশাল অর্জন অনেক সময় নিঃশেষ হয়ে যেতে পারে, আমরা স্বভাবতই তখন হতাশায় নিমজ্জিত হই। কিন্তু হারানোর বেদনাকে ভুলে নতুন করে আমাদের কাজ শুরু করতে বলা হয়েছে। সবকিছু হারানোর পরও আমরা যদি মনোবল ধরে রাখতে পারি এবং আমাদের সংকল্প যদি থাকে দৃঢ় তাহলে আমরা সামনে এগুতে পারি, বিজয়ী হতে পারি। এরপর উড়ঁমযষধং গধষষড়ধপয এর ইব :যব ইবংঃ ড়ভ ডযধঃবাবৎ ণড়ঁ অৎব কবিতাটি পাঠ্য করা হয়েছে। এখানে কবি আমাদের বলেছেন যে, বড় কিছু করতে না পারার হতাশায় আমরা যেন সবকিছুতে হাল ছেড়ে না দিই। সফলভাবে বাঁচতে হলে কাজ করে যেতে হবে। এ কবিতায় সবার জন্য বিশেষ করে তরুণদের জন্য বেশকিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যা আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে খুবই প্রয়োজন। কবি বলতে চেয়েছেন এবং তরুণদের উদ্বুদ্ধ করতে চেয়েছেন, আমরা যা কিছুই করি সেটিতেই সর্বশ্রেষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করতে হবে। কোনো কাজই অন্যটির চেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। কোনো কাজ নিয়েই আমাদের লজ্জিত হওয়া উচিত নয় বরং গর্ব করতে হবে। আমরা যে কাজই করি না কেন সেই কাজকেই মনে-প্রাণে ভালোবেসে সর্বোত্তম উপায়ে করার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। তাহলেই সাফল্য আসবে। আমরা সবাই নেতা হব না, নেতা না হয়েও অনেক মহৎ কিছু করা যায়, বড় কিছু করা যায়। সব মানুষ সবকিছু হবে না, এক হবে না, এক ধরনের হবে না। তবে যে যে স্থানে আছে, সেটিতে সর্বোচ্চটি হওয়ার জন্য বলা হচ্ছে। পাহাড়ের চূড়ায় পাইন গাছের মতো শক্ত হতে না পারলে ক্ষতি নেই, উপত্যকায় ছোট ছোট তৃণ আকারে জন্মে উচ্চমার্গীয় হলেই হলো। জঙ্গল না হলে ঘাস হলেও যেন সবোৎকৃষ্টটি হই। মহাসড়ক হতে না পারলেও ছোট একটি মেঠো পথ হতে পারি, সূর্য হতে না পারলে তারকা হওয়ার চেষ্টা করতে পারি, এভাবে প্রতিটি ক্ষেত্রেই যা হয়েছে, যতটুকু হয়েছে সেইটুকুতেই শ্রেষ্ঠ হওয়ার তাগিদ দেওয়া হয়েছে এই কবিতার মাধ্যমে। এবং উৎ. ঝবঁংং এর গু ইড়ড়শং কবিতায় কবি শিশু ও বইয়ের মধ্যে গভীর সম্পর্ক বর্ণনা করেছেন। বই একটি শিশুর খুব ভালো বন্ধু হয়ে উঠতে পারে। যখন একটি শিশু কোনো মজার বই পড়ে, সে তার কল্পনার রাজ্যে হারিয়ে যায়। সে এই বইয়ের মধ্যেই তার কল্পনার রাজত্ব দেখতে পায়, যেখানে থাকে তার কল্পনার পরীরা এবং তারা তাকে আশ্চর্র্যজনক দেশে নিয়ে যায়। বইয়ের প্রতিটি পাতায় সে রূপকথার যোদ্ধা আর বামনদের খুঁজে পায়। আমরা এই কবিতাটি থেকে উপলব্ধি করতে পারি যে, প্রতিটি শিশুরই মেধা ও সৃজনশীলতা বিকাশের জন্য বই পড়া জরুরি কারণ বই পাঠককে রাস্তার মতো নতুন ও দুঃসাহসিক কাজের দিকে নিয়ে যায়। সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের কমেডি অং ণড়ঁ খরশব ওঃ-এর সঙ্গেও পরিচিত করানো হয়েছে। এখানে ভালোবাসা, বিয়ে এবং আকাঙ্ক্ষার কথা বলা হয়েছে। এটি একটি রোমান্টিক কমেডি যেখানে প্রথম দর্শনেই ভালোবাসার কথা বলা হয়েছে। এখানকার ডায়ালগগুলো শিক্ষার্থীদের করালে একদিকে যেমন তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়বে তেমনি ইংরেজি বলারও উন্নতি হবে। শিক্ষককে বার বার পড়ে তাদের পড়তে বলতে হবে এবং বিশেষ করে যে দু'-চারজন একটু ভালো পড়তে পারেন তাদের দ্বারা আগে পড়াতে হবে। শেক্সপিয়ারের ট্র্যাজেডি ও কমেডি নিয়ে গভীরে গেলেও তারা অনেকেই বুঝবে না। সেক্ষেত্রে সংক্ষেপে কমেডি মানে হচেছ হাস্য রসাত্মক নাটক আর যেখানে খুনাখুনির বিষয় আছে সেটি হচ্ছে ট্র্যাজেডি বা বিয়োগান্তক নাটক---এভাবে বলা যেতে পারে। অষ্টম শ্রেণিতে রোমান্টিক কবি ইউলিয়াম ওয়ার্ডওয়ার্থের- ও ডধহফবৎবফ খড়হবষু অং ধ ঈষড়ঁফ, জঁফুধৎফ করঢ়ষরহমুএর ঞৎঁব জড়ুধষঃু, ডরষষরধস ঝযধশবংঢ়বধৎব-এর কবিতা ঝযধষষ ও ঈড়সঢ়ধৎব ঞযবব :ড় ধ ঝঁসসবৎ্থং উধু? এবং তার নাটক ঞযব গবৎপযধহঃ ড়ভ ঠবহরপব নির্বাচন করা হয়েছে। জড়নবৎঃ ঋৎড়ংঃ-এর ঞযব জড়ধফ ঘড়ঃ ঞধশবহ এবং ঊসরষু উরপশরহংড়হ এর ঝঁপপবংং ওং ঈড়ঁহঃবফ ঝবিবঃবংঃ -কবিতার সঙ্গে পরিচিত করানো হয়েছে। ও ডধহফবৎবফ খড়হবষু অং ধ ঈষড়ঁফ কবিতাটির দুটি স্তবক নির্বাচন করা হয়েছে। কবিতাটির মূল বিষয়বস্তু হচ্ছে কবি একদিন উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরছিলেন যাকে তিনি একখন্ড মেঘের সঙ্গে তুলনা করেছেন। এটি একটি সিমিলি। শিক্ষার্থীরা সিমিলির সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। কোন বিষয়কে আরও ভালোভাবে বোঝানোর জন্য কবি সাহিত্যিকরা সিমিলি ব্যবহার করে থাকেন। কবি ড্যাফোডিল ফুলের সৌন্দর্যে অভিভূত। অসংখ্য ফুল হাসছে, নাচতেছে এবং মাথা দোলাচ্ছে। এটি আবার এক ধরনের পারসোনিফিকেশন অর্থাৎ মানুষের মতো ড্যাফোডিলস ফুলগুলো মাথা নাড়াচ্ছে। ড্যাফোডিল ফুলের এই সৌন্দর্য কবিকে স্থায়ী শান্তি এনে দিয়েছে। তিনি যখন মনমরা অবস্থায় থাকেন এবং একা একা বিছানায় শুয়ে থাকেন তখন ড্যাফোডিলসের সৌন্দর্য, মাথা ঝাঁকানো ও নেচে যাওয়া কবির মনে এক অপূর্ব আনন্দের সঞ্চার করে। জঁফুধৎফ করঢ়ষরহম-একটি অসাধারণ কবিতা হচেছ 'ঞৎঁব জড়ুধষঃু' যেখানে নম্রতা, ভদ্রতা এবং জীবনের সাধারণ সুখ ও স্বাচছন্দ্যগুলোকে উপভোগ করার কথা বলা হয়েছে। আমরা যত ব্যস্ত কিংবা গুরুত্বপূর্ণ হই না কেন, জীবনের ক্ষুদ্র ও সামান্য সুখগুলোকে উপভোগ করা শিখতে হবে। সেবার রাণী বিলকিস এবং এশিয়ার রাজা সলোমনের কথা বলা হয়েছে। তারা প্রজাপতির সঙ্গে কথা বলতে পারতেন, তাদের ভাষা বুঝতেন। তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে পারতেন। ডরষষরধস ঝযধশবংঢ়বধৎব এর ঝযধষষ ও ঈড়সঢ়ধৎব ঞযবব :ড় ধ ঝঁসসবৎ্থং উধু?-একটি সনেট যেখানে কবি বলেছেন সৌন্দর্যের ক্ষমতা যা সাধারণ তুলনাকে অতিক্রম করতে পারে। গ্রীষ্মের দিনের মতো প্রাকৃতিক সৌন্দর্য হারিয়ে যায় তবে সেই সৌন্দর্যের বর্ণনা, তার লিখিত রূপ কিন্তু হারিয়ে যায় না। সেই সৌন্দর্য মানুষকে, পাঠককে উপভোগ করতে হয়। রূপকের মাধ্যমে কবি মানুষের যৌবনের সৌন্দর্যকে প্রকাশ করেছেন যা গ্রীষ্মের দিনের মতো ক্ষণস্থায়ী। গ্রীষ্মের দিনের মতো যৌবনের সৌন্দর্যও উজ্জ্বল ও ঝকঝকে। কবিতায় ভালোবাসা এবং সৌন্দর্য চিরদিনের জন্য বন্দি করে রাখা যায়। এমনকি মানুষ যদি বৃদ্ধ হয় এবং মারাও যায়, কবিতার লাইনে, কবিতার চরণে তাকে স্থান দেওয়া যায় এবং তিনি মৃতু্যর পরও বেঁচে থাকেন। ইউলিয়াম শেক্সপিয়ারের দ্য মার্সেন্ট অব ভেনিস নাটকে অ্যান্টোনিও নামে এক বণিক তার প্রিয় বন্ধু বাসানিওর জন্য শাইলক নামে এক ইহুদি মহাজনের কাছ থেকে অর্থ ঋণ নেন। তিনি ছিলেন নীতিহীন, সুদখোর ও কূটবুদ্ধিসম্পন্ন। অ্যান্টোনিওর ঘনিষ্ঠ বন্ধু বাসানিও অর্থের অভাবে তার পছন্দের মেয়ে পোর্শিয়াকে বিয়ের প্রস্তাব দিতে পারছিলেন না। বন্ধুর মনোবাসনা পূরণ করার জন্যই তিনি শাইলকের কাছ থেকে কঠিন এক শর্তে অর্থ ধার নেন। উপযুক্ত সময়ে অর্থ ফেরত দিতে না পারলে বাসানিওর শরীর থেকে এক পাউন্ড মাংস নেওয়ার কথা বলেন শাইলক। বাসানিও সেই অর্থ দিয়ে পোর্শিয়াকে বিয়ে করেন কিন্তু সময়মতো অর্থ ফেরত দিতে না পারায় শর্তানুযায়ী শাইলক তার শরীর থেকে এক পাউন্ড মাংস কেটে নেওয়ার কথা বলেন। বিচারক নিজেও এই কাজটি না করার জন্য শাইলককে অনুরোধ করেন কিন্তু শাইলক অনমনীয় ভাব দেখান যা পোর্শিয়া জানতে পারেন। পোর্শিয়া উকিলের ছন্দবেশে বিচারালয়ে আসেন এবং শাইলককে শর্ত দিলেন, অ্যান্টোনিওর শরীর থেকে এক পাউন্ড মাংস কেটে নেবেন কিন্তু তাতে এক ফোটা রক্তও যাতে বের না হয় কারণ দলিলে রক্তের কোনো উলেস্নখ ছিল না। এতে ধূর্ত শাইলক বিপদে পড়ে যান এবং বিচারে হেরে যান। এখানে ছদ্মবেশ, উপস্থিত বুদ্ধি, বন্ধুকে সাহায্য করা বিষয়গুলো ফুটে ওঠে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কবি রবার্ট ফ্রস্টের কবিতা ঞযব জড়ধফ ঘড়ঃ ঞধশবহ যেখানে কবি আমাদের মনের একটি আবেগের কথা বলেছেন। যেই আবেগের কারণে আমরা সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগি বিশেষ করে যখন একাধিক পথ বা সুযোগ সামনে থাকে। আমরা বুঝতে পারি না কোন পথটি আমাদের অনুসরণ করা উচিত আর কোনটি নয়। এভাবে আমাদের জীবনে অনেক সুযোগ আসে, অনেক বিকল্প পথের সন্ধান আমরা পাই কিন্তু কোনটি গ্রহণ করব আর কোনটি করব না সেই সিদ্ধান্ত ঠিকভাবে নিতে পারি না। পরে আমাদের পস্তাতে হয় কিংবা আনন্দিত হতে হয় কারণ যদি আমরা বিকল্প পথটি ধরতাম তাহলে হয়তো এভাবে হতো না কিংবা অন্যভাবে হতো। আমরা কোনোভাবেই জানি না কোন পথটি বন্ধুর আর কোনটি সমতল। ১৮৬৪ সালে প্রকাশিত ঊসরষু উরপশরহংড়হ-গীতিকবিতা হলো 'ঝঁপপবংং ওং ঈড়ঁহঃবফ ঝবিবঃবংঃ্থ যেখানে বলা হয়েছে যে, যারা কোনো কিছু পাওয়ার জন্য তীব্র আকাঙ্ক্ষা করে কিন্তু সেই কাঙ্ক্ষিত বিষয়টি বা বস্তুটি তাদের কাছে ধরা দেয় না, তারাই বোঝেন যে জীবনে সাফল্য অর্জন করা কতটা মধুর আর কতটা আনন্দের! নবম শ্রেণিতে অষভৎবফ, খড়ৎফ ঞবহহুংড়হ এর ' ঈৎড়ংংরহম :যব ইধৎ, ঔড়যহ কবধঃং-এর ঙহ :যব এৎধংংযড়ঢ়ঢ়বৎ ধহফ ঈৎরপশবঃ ্তুঊসরষু উরপশরহংড়হ এর ্তু ঐড়ঢ়ব্থ রং :যব :যরহম রিঃয ভবধঃযবৎং, ঝ.ঞ. ঈড়ষবৎরফযমব- ওভ ও ঐধফ ইঁঃ ঞড়ি খরঃঃষব ডরহমং এবং ডরষষরধস ঝযধশবংঢ়বধৎব এর গধপনবঃয নির্বাচন করা হয়েছে। অষভৎবফ, খড়ৎফ ঞবহহুংড়হএর কবিতা 'ঈৎড়ংংরহম :যব ইধৎ' মৃত্যকে জীবনের অবিচেছদ্য অংশ হিসেবে গ্রহণ করার কথা এবং তার পরবর্তী জীবনে শান্তিপূর্ণ অবস্থান প্রত্যাশার কথা বলা হয়েছে। কবিতায় কবি তার ইহজগৎ থেকে পরজগতে যাত্রার কথা বর্ণনা করতে গিয়ে রূপকের আশ্রয় নিয়েছেন যেটি সাহিত্যের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। সমুদ্রযাত্রা এবং বালির বাধের রূপক ব্যবহার করা হয়েছে। তিনি বলেছেন, মৃতু্য যেহেতু আসবেই অতএব মৃতু্যকে ভয় করে কোনো লাভ নেই বরং হাসিমুখে আলিঙ্গন করতে হবে। মৃতু্য এক ধরনের শান্তি, সান্ত্বনা এবং মানুষের ধর্ম বিশ্বাসের ওপর প্রতিষ্ঠিত। কবি তাই চেয়েছেন নিরাপদে নিশ্চিতে এ পৃথিবী ত্যাগ করতে এবং অনন্তের পথে পাড়ি জমাতে যেখানে স্রষ্টার সঙ্গে মানুষের দেখা হবে। 'ঈৎড়ংংরহম :যব ইধৎ'-এ নিয়মিত প্যাটার্নের রাইম স্কিম যেমন এবি এবি ব্যবহৃত হয়েছে। ঔড়যহ কবধঃং-এর ঙহ :যব এৎধংংযড়ঢ়ঢ়বৎ ধহফ ঈৎরপশবঃ কবিতায় বলা হয়েছে, প্রকৃতির সান্ত্বনাদায়ক ভালোবাসা সব ঋতুতে, সব আবহাওয়ায় বিরাজমান। গ্রীষ্মের দাবদাহে যখন পাখিরা গান গাইতে পারে না, শীতের তীব্রতায় যখন জল জমে বরফ হয়ে যায়, তখনও কিন্তু ফড়িং ও ঝিঁঝিপোকা গান গেয়ে চলে। রূপক অর্থে বোঝানো হচ্ছে যে, প্রকৃতির সৌন্দর্য সর্বদাই বয়ে চলে এবং সৌন্দর্যের অনুভূতি আমাদের কঠিন সময়, দুঃসময়ও সান্ত্বনা দিয়ে থাকে। উরপশরহংড়হ এর ্তুঐড়ঢ়ব্থ রং :যব :যরহম রিঃয ভবধঃযবৎং কবিতায় বলা হয়েছে, আমাদের হৃদয়ে আশার বসবাস, এই আশা আমাদের ক্ষমতায়িত করে এবং জীবনে যা কিছু ঘটে সেগুলোকে সহ্য করার ও গ্রহণ করার ক্ষমতা প্রদান করে। কবি এখানে একটি পাখিকে দীর্ঘ রূপক হিসেবে ব্যবহার করেছেন। তিনি বলেছেন পাখিটির বসবাস আমাদের আত্মায় এবং সেটি গান গেয়ে স্মরণ করিয়ে দেয় তার উপস্থিতি। এই পাখিই আমাদের আশা যা আমাদের উৎসাহ প্রদান করে আমরা জীবনে যতই শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে যাই না কেন। আমরা যখন প্রচন্ড ঝড় ঝাপটার মধ্য দিয়ে জীবন কাটাই তখনো আমাদের আত্মার ভেতর এই পাখি গান গায়। ঝ.ঞ. ঈড়ষবৎরফযমব- এর ওভ ও ঐধফ ইঁঃ ঞড়ি খরঃঃষব ডরহমং কবিতায় আশা ও আকাঙ্ক্ষার কথা বলা হয়েছে। এটি ভালোবাসা ও মিলনের আকাঙ্ক্ষার তীব্র প্রতিফলন প্রকাশ করছে। কবিতার বক্তা কল্পনা করছেন, তার যদি পাখির মতো দুটে ডানা থাকত তাহলে তিনি উড়ে তার প্রেমিকার কাছে যেতেন। স্বপ্নে তিনি অনুভব করেন, তিনি তার প্রিয়জনের কাছে চলে গেছেন কিন্তু জেগে দেখলেন, না তিনি একাই আছেন। কবিতাটিতে আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতার মধ্যে অম্স্ন মধুর উত্তেজনা সৃষ্টি করে। আরও বলা হয়েছে, স্বপ্ন ক্ষণস্থায়ী এবং জাগ্রত অর্থাৎ পৃথিবীর বাস্তবতায় রয়েছে সীমাবদ্ধতা। ডরষষরধস ঝযধশবংঢ়বধৎব-এর গধপনবঃয-একটি ট্র্যাজেডি (বিষাদময় ঘটনা)। এখানে নাট্যকার ভালো এবং মন্দের বৈপরীত্য, উচ্চাকাঙ্ক্ষার বিপদসমূহ, অতিন্দ্রিয় শক্তির প্রভাব, বাস্তব এবং অবাস্তবের মধ্যে দ্বন্দ্ব ও অনুগত এবং অন্যায় এই বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন। মানুষের ঔদ্ধত্য ও ক্ষমতার লোভ যখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় তখন মনের মধ্যে এমন এক ধরনের উচ্চাকাঙ্ক্ষা জন্ম নেয় যা মানুষের জন্য চরম পরিণতি ও ধ্বংস ডেকে আনে। স্কটিশ জেনারেল ম্যাকবেথ তিনজন ডাইনির ভবিষ্যদ্বাণী শুনেছেন যে তিনি রাজা হবেন। এভাবে তার মনে উচ্চাকাঙ্ক্ষার বীজ বপন করা হলো। এরপর তিনি ও তার স্ত্রী কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য ধ্বংসাত্মক কাজ করে যাচিছলেন। অসৎ পথে তার এই লক্ষ্যে পৌঁছানোর প্রচেষ্টা তার জীবনে মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনে। বিষয়টিতে তিনি এক সময় আগ্রহ হারিয়ে ফেলে তার স্ত্রী তাকে চাপ দিয়ে যাচ্ছিলেন এবং বলছিলেন, ক্ষমতা তাদের কাছেই ধরা দেয় যারা নৈতিকতাকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারে। পরিশেষে ম্যাকবেথ রাজা ডানকানকে হত্যা করেন এবং তার স্ত্রীর পরামর্শমতো রাতে ঘুমানোর ড্রেস পরিধান করেন যাতে তাদের নিষ্পাপ মনে হয়। তাই বলা হয়, প্রতারণা ম্যাকবেথের একটি বড় অংশজুড়ে রয়েছে। ভাষার মূল দক্ষতা যেমন রিডিং, রাইটিং, লিসেনিং ও স্পিকিং এবং ভাষাগত ব্যাপ্তি যেমন শব্দভান্ডার, ব্যাকরণ ও উচ্চারণ শেখানোর ক্ষেত্রে সাহিত্যের ব্যবহার অনেক ক্ষেত্রেই এখন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে যেখানে আমাদের অংশগ্রহণ প্রয়োজন। শিক্ষার্থীদের নিজেদের ভালোভাবে বুঝতে এবং তাদের চারপাশের জগৎকে জানতে ও বুঝতে সাহিত্যের ব্যবহার সুবিধা করে দিতে পারে।