তিনটি কবিতা

প্রকাশ | ২৬ জুলাই ২০২৪, ০০:০০

সালাম সালেহ উদদীন
জীবনের তীব্র কম্পন মর্মস্পর্শী বিদীর্ণ হৃদয় কাঁদে শোকে তাপে বেদনায় শূন্যতায় মেঘে মেঘে সময় গড়ালে মেঘ কাঁদে ভালোবাসা কাঁদে বেড়ে ওঠার কাল থেকে দূরতম সম্পর্ক কাঁদে হৃদয়ের অতি কাছে ধুলোয় লুটিয়ে পড়ে আহাজারি শোক জীবনস্রোতের ধারায় অলিখিত করুণ বিষাদ সোনার আগুনে চোখ পুড়ে শরীর পুড়ে আগুনবিহীন মন পুড়ে সম্পর্ক পুড়ে বুকের ভেতর জমে আছে মরুঘাম আবেগধ্বনি জল হয়ে ঝরে ঝরনা তলায় বিষাদের মুদ্রায় কিনতে চেয়েছিলাম সুখ স্বর্ণধ্বনি পৌঁছে না গরিবের ঘরে চোখে পড়ে না পাখিদের বিবর্তন পরাজয়ের আবাসভূমিতে দাঁড়িয়ে মানুষ জয় খোঁজে আলো জ্বলে নিভে যায় জীবনের তীব্র কম্পন নিয়ে আলো ধরতে গেলে শুরু হয় অন্ধকারের কারসাজি নিজস্ব আত্মার সুবাস নিয়ে বাঁচতে চায় মানুষ টোল খায় রৌদ্ররেখা উচাটন মন কাঁদে ঢেউ ছলছল নদীর দিকে তাকিয়ে জীবনের নিরীহ কোলাহল আছড়ে পড়েছে এখানে রৌদ্ররেখা টোল খায় বালিয়াড়ি চোখ মুখ চোখ নিয়ে গুচ্ছ গুচ্ছ নিঃসঙ্গতা আকড়ে ধরে সরল অনাবিল মন দুঃখের কুসুম বিকোয় মন্দ ক্রেতায় নগ্ন খেলার হাটে হৃদয়ের ক্ষরণ আর করুণ অঙ্গীকার নিয়ে মানুষ বাঁচে \হ ঘুমের সম্মোহন শ্রাবণের বাগানে থিরথির মেঘ কাঁপে শেকড়লগ্ন মাটি জানে না সে কতোটা উর্বর ফসলের জাগরণ দেখে পাখিরা ভাবে অনাহারে থাকতে হবে না আর রঙের পৃথিবীতে এসে দেখি ঢেউ জাগা নদী সাগর সবই রঙিন আগুনজ্বলা ফাগুনে যৌবনমৌসুম নেই পাখিরা উড়ে যায় ডানাহীন আকাশহীন জলের গভীরে জ্বলে হৃদয়ের আগুন জীবনের গভীরে অপ্রাপ্তি হাহাকার নিরালা নিঃসঙ্গ তোমার আশীর্বাদ হৃদয়ের ভিন্নমগ্নতা আঁচড় কাটে যে সারাক্ষণ জাগিয়ে রাখে সে দিতে পারে ঘুমের সম্মোহন