ভূ-গোলক ভ্রমণের তৃষ্ণার্থ আকুলতায়
ভেতরের চোখগুলো যখন বেরিয়ে পড়ে
সহস্র মাইল ভেঙে দাঁড়াই, তোমার আঙিনায়।
বাতাবি লেবুর নেশানেশা ঘ্রাণে, মাতাল বিকেল, বুকে টেনে
হলুদের স্নানে, নরম ছোঁয়ায় করে, সতেজ সবুজ।
ঝিঙের মাচায়, শুভ্রচোখ আর শ্যামল শয়ানে বাঁধা পড়ে মন।
ভাবনার মেঘগুলো, ছায়াগুলো ঝরে গেলে
তুমি জ্বলে ওঠ এক লহমায়, আমার ভেতর।
আমার অন্দরে, শবটাকে তুমি কোমল চোখের পুতলিতে বসিয়ে
অদৃশ্য হাতে, নরোম স্পর্শে, জাগিয়ে তোল পুনর্বার।
আমি অস্থির প্রাণে, অস্তিত্বের সবটুকু সতেজতা
সে-হাতে তুলে দিয়ে বসে পড়ি, তোমাকে পাওয়ার অমোঘ প্রার্থনায়।
তোমার মুখের মলিনতা মুছে, ফোটাতে চাই আকাঙ্ক্ষার মনোফুল।
বেফানা নদীর মতো, নিভৃতে, ভেতরে ভেতরে তোমার দিকেই ছুটি
কেউ দেখে না, কেউ শোনে না- কান্নার ধ্বনি।
ওগো মা, ভিখিরি আমি, কাঙাল আমি
ডুবে আছি, তোমার, অকূল ভান্ডারে সারাবেলা।
অন্ধ আমি, মন্দ আমি- দ্বন্দ্বে ডুবেছি আপনার সাথে
তুমি কাছে নাও, কান্নায় ভাসাও, ভেতরের মরুমাঠ।