ওয়াহিদ জামানের কবিতা

প্রকাশ | ০৫ জুলাই ২০২৪, ০০:০০

সবকিছু খাবো
এ এক নষ্ট যুগ নষ্ট যুগে নষ্ট মানুষের কারবার চারপাশে শকুনের রক্তচক্ষু অন্ধকার ভুতুড়ে পরিবেশ বুভুক্ষু দানবের মতো আমার ক্ষুধার্ত মন আশপাশ খেয়ে ফেলে তবুও ক্ষুধার তৃষ্ণা মেটে না। একনিমিষে গিলে ফেলতে ইচ্ছে করে পুরো জগৎ বদহজমের ভয়ে কুঁকড়ে যায় আমার পাকস্থলী খাদ্যনালি সংকুচিত হয়ে আসে বারবার তবুও ক্ষুধার তৃষ্ণা ধাবিত করে আমার অনুবর্বর উদর ভূমি সবকিছু আজ আমি খাবো খাবো দুর্ভিক্ষ খাবো দুর্নীতির আখড়া সচিবালয়, মন্ত্রিপরিষদ স্বাস্থ্যখাত, ঘুণেধরা শিক্ষালয়। খাবো গান্ধারীর দৈবশক্তি ধৃতরাষ্ট্রের মখমলের বিছানা খাবো তথাকথিত বুদ্ধিজীবী, ভন্ডের ভজনালয়। আমার ক্ষুধার কাছে আজ সব খাদ্য মহাকালের বিপরীত সময় খেয়ে খাবো ঈশ্বরের অনুশাসন। আমাকে থামাতে পারবে না কেউ আমার এ ক্ষুধার কাছে আজ সব তুচ্ছ যদি একবার জেগে উঠি তোমাদের সমস্ত রঙ্গমঞ্চ গিলে জামিন দেব জনতার দৈত্যাকার উদরে। বাড়ি যাও ঘরে যাও এ অপেক্ষার কোনো মানে হয় না রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে যার জন্য অপেক্ষা করছো দ্যাখ সে অনেক আগেই চলে গেছে তোমার পাশ দিয়ে অপেক্ষার প্রহর গোনা ঝাপসা চোখে তুমি বুঝতেই পারলে না তার ফাঁকিজুঁকি এ তুমি আগেও বোঝনি কোনোদিনও বুঝবে না অপেক্ষা খুব কষ্টের বাড়ি যাও ঘরে যাও তোমার না স্ত্রী সন্তান আছে তবে কেন অন্যকোনো পারমিতার অপেক্ষায় থাকো লোকে শুনলে বলবে তোমার চরিত্র বলতে কিচ্ছু নেই তুমি প্রথাবিরোধী সমাজবিরোধী সবকিছু থাকতে আবার কেন বেগানা রমণীর রূপ গন্ধ চুরি করতে চাও বাড়ি যাও ঘরে যাও ওরা কোনোদিনও জানবে না কোনোদিনও বুঝবে না ভালোবাসার মধ্যে সব সময় ভালোবাসা থাকে না ঘরও নরক হয় তুমি যাকে খুঁজছো কেবল তুমিই জানো জন্মজন্মান্তর তোমার প্রেম-ভালোবাসা তার কাছে গচ্ছিত আছে তুমি পুরুষ, তুমি কবি-সুন্দরের পূজারি যাকে খুঁজছো প্রেমের অর্ঘ্য দেবে বলে চোখে চোখ রেখে সহস্রাব্দের জমানো কথা বলবে বলে চোরাবালির গভীর অতলে ডোবায় সে তোমার অনন্ত কামনা তার জন্য কীসের অস্থিরতা আর অপেক্ষা কর না খারাপ দেখায় বাড়ি যাও ঘরে যাও।