আবু হেনা মোস্তফা

প্রকাশ | ০৫ জুলাই ২০২৪, ০০:০০

কামালের কবিতা
রিজিক রান্না হলো বান্না হলো, হলো না তা খাওয়া। হঠাৎ করে বাজলো কানে, মৃতু্য খবর পাওয়া। একটু আগে মরছি আমি, পায়নি তো কেউ টের! আমার জন্য সাজলো থালা, অনেক অনেক ঢের! আমিও ভাই হাতটা ধুয়ে, খাওয়ার আশায় বসে; হঠাৎ শুনি কান্নার রোল খাবারও না আসে। সারাদিনে খাইনি কিছু, একটু খাবার চাই। আজরাইল এসে ধমকে বলে- তোমার খাওয়া নাই।। চাঁদাবাজির অন্যরূপ চাঁদাবাজির ধরন ধারণ কৌশলে তার নতুন রূপ, মোবাইল ফোনে চলছে এসব, বলতে মানা, থাকছি চুপ! দিন ভালো যায়, আসে খারাপ; এখন তেমন খারাপ কাল নিখাদ সাধু, কথায় পটু, কথায় কথায় বলছে 'বাল'! হায় ভগবান, হায় গো যিশু, হায় আলস্নাহ কি করি? দিনের আলোয় যা দেখা যায়, রাতেই উল্টো রাম-হরি! এমন সমাজ সভ্যতা কি দিন বদলের পালাগান? হোক প্রতিবাদ চাঁদাবাজির, যায় চলে যাক আমার জান! ভিতর-বাহির সমান কালো বাইরে থেকে যেমন দেখ, ভিতরেও তেমন কালো। ভিতর বাহির কোনোখানেই পৌঁছেনি তো আলো। হায় বিধাতা এতই নিঠুর, এমন তোমার বিচার! আমায় এত করলা কালো? ভিতর বাহির আচার। সৃষ্টিকূলের সবাই দেখি, ধওলা গায়ে ঘুরে। আমায় খুঁজি অন্ধকারে, মাটির গভীর খুঁড়ে। ভিতর কালো থাকুক, শুধু চামড়া সাদার আশে; প্রসাধনী ডলছি গায়ে, দিন-রাত বারো মাসে।। সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ ধূমপান অতি ক্ষতিকারক, নানান রোগের কারণ। তামাক চাষে ভর্তূকি দেই, বিড়ি টানা বারণ! শুভঙ্করের ফাঁকি এটা, আছে বিধি-আইন। চোরেরে কই চুরি করো, গৃহস্থে দেই গাইন! বিপণনে নেইতো বাধা, রাজস্ব পাই খাসা। শাঁখের করাত, বলির পাঁঠা, গণতান্ত্রিক ভাষা! দুমুখো রুলস, কাউয়া স্বভাব, আইনের চোখ অন্ধ। ইহার চেয়ে ভালো, তামাক চাষ-ই হোক বন্ধ।।