কপালে গালে সোহাগের চুমু,
মন ভোলানো পবিত্র হাসি, মধুর আলিঙ্গনে
যিনি প্রতিনিয়ত কৈশোরে
আমাকে বিমোহিত করে রাখতেন, তিনি আমার মা।
যৌবনে যিনি বলতেন
'খোকা বেশি রাত করে ঘরে ফিরিস নে,
লেখাপড়া করে তাড়াতাড়ি ঘুমাস।'
খুব ভোরে সুবেহ সাদেকে
রবিরশ্মি উঁকি দেয়নি তখনো আকাশে,
তখন যিনি ঘুম থেকে জেগে উঠতেন,
ওজু করে জায়নামাজ নিয়ে বসতেন,
আমাদের সব ভাইবোনের মঙ্গল কামনা করে
মোনাজাত করতেন।
নামাজ শেষে সবার কাছে গিয়ে তিনি বলতেন, ওঠ তোমরা
কাজ কর, জীবনে মানুষ হও, লেখাপড়া করে বড় হও।'
নিজের জন্য কিছু চাইতেন না তিনি
ঘরের ভৃত্য থেকে দাসী, ঘরের বড় থেকে ছোট সবাইকে
সবসময় তার মমতার আঁচলে ছায়া দিয়ে রাখতেন।
যদি কখনো কাজে ঘরে ফিরতে দেরি হতো,
তাকে দেখেছি গভীর রাতে জানালার শিক ধরে
ব্যাকুল দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতে যতদূর চোখ যায়,
মমতা ও ভালোবাসার এমন গভীর স্পর্শ
আমি পাইনি কোথাও।