আষাঢ়ে সৃষ্টি

প্রকাশ | ২৮ জুন ২০২৪, ০০:০০

নিশাত ফাতেমা
বৃষ্টি ভেজা ভোরে তাকে ছুঁয়ে দিও আলতোভাবে দু'হাত দিয়ে। হলুদের গায়ে সাদা পাপড়িযুক্ত পুষ্পরা জ্যাতিতে হাবুডুবু খায় ঝড় ঝড় বর্ষণে। অদৃশ্য সোনালি আলো আমি রচিত করি সূর্যের মুখ। রূপে ছল ছল করে সবুজ-রুপালি হাসিতে দোলে মন চোখে লাগলো নেশা আষাঢ়ে অপরূপ আগমনে বরষা এলো মেঘে গর্জন করে খুলে তার ঘোমটা চঞ্চল বর্ষণে। টিনের চালে বৃষ্টির টুপটাপ শব্দে কৃষান কৃষানি গানে মশগুল গুন গুন সুরে বারি বর্ষণে যেন সেতারের সুর। হাজারো প্রশ্ন জাগে মনে প্রকৃতির রূপে হই ব্যাকুল তুমি বরষা প্রেমের উৎসব, হিলেস্নাল ভোরের শুভ্র আকাশ হঠাৎ বর্ষণে ঘনকালো ধোঁয়াশার সৃষ্টি। প্রকৃতির বুকে বহে নীরবধি রিমঝিম অনুপম সৃষ্টি। যৌবনা নদী চলে নীরবধি মাঠে, ঘাটে পানি করে থই থই কপোত- কপোতির মনে লাগে দোল বাহিরে রিমঝিম ঝংকার ভিতরে আদ্রতা বাষ্প জমানো স্তূপ নদীর জলে কেয়ার পাপড়ি তরঙ্গে খেলা এসো হে সখা হৃদয়ের অবগাহনে জলকেলি হবে আবেশে। বাগিচায় সবুজ পাতায় নানা ফুলের শিশিরে টলমল রিমঝিম বালিকার নৃত্যের তালে-তালে আকাশে নীলচে কালো ছাইবর্ণ আষাঢ়ে পরশে রূপসী কদম, কেয়ার গন্ধে জোড়ায় মন প্রাণ। মাঝি ধরে ভাটিয়ালি গান হৃদয় সুখটান জুড়ায় মন প্রাণ। কখনো পেঁজা সাজে সাদা মেঘ \হআকাশে ভেসে বেড়ায় হঠাৎ বৃষ্টি নেমে সব করে সজিব ভালো লাগে মন জুড়ে দেখে দৃষ্টি। এই মেঘ, ঝড়বৃষ্টি এটাই আষাঢ়ে সৃষ্টি!!