মোহাম্মদ রফিকুল কাদেরের কবিতা

প্রকাশ | ২৮ জুন ২০২৪, ০০:০০

প্রত্যাবর্তন
চিরহরিতের কাছে যাব সবুজের নিবিড় আলিঙ্গনে সাথী যদি হতে চাও কেউ- চলো জমেছে অনেক কাদা-পাঁক মগজের মাটিতে- পারমাণবিক আবর্জনা। আবার প্রাগৈতিহাসিক সময়ের মতো ছাদহীন হয়ে বৃষ্টির অবাধ জলে পরিশুদ্ধ হতে চাই; অবাধ বর্ষণে ধুয়েমুছে সাফ হোক বিগতের যত পাপ। সভ্য সমাজের নাগরিক পরিচয় মুছে ফিরে যাব প্রকৃতির সন্তান হয়ে তারই কোলে- -একটি বটের কাছে, -একটি শিমুলের কাছে, - একটি হরিদ্রাভ গুল্মের কাছে জমে আছে বহু ঋণ; আজ এক একটি মানব মস্তিষ্ক যেন সক্রিয় নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টর, বাদলধারায় ধু'তে চাই এক একটি নিউরন। ফুটো 'ও' জোন লেয়ারএর উত্তরাধিকারের দায় নিয়ে চলো যাব কোনো এক অরণ্যের পথে, বপন করব সন্তানের এক একটি বিশুদ্ধ হৃৎপিন্ড এক একটি মেহগনি, এক একটি দেবদারু, এক একটি পাইন, চাষ করব চিরহরিতের। যে হাতে পুঁতে দিয়েছি পারমাণবিক- পিরামিড লাখ বর্ষজীবী, কোটি সন্তানের জীবন্ত সমাধি। এবার নতজানু হবো একটি বৃক্ষের মূলে, হিরণ্‌ময় শ্যামালিমার পথ ধরে ফিরে যাব- একটি ফুলের কাছে, একটি ফলের কাছে, একটি পাখির কাছে, সকলের কাছে জমেছে সহস্র জন্মের দেনা। এখন প্রতিদিনের আদ্যান্ত প্রার্থনা- যেন জন্মান্তরে বৃক্ষ হয়ে দাঁড়িয়ে হই উত্তরপুরুষের জীবনের নামান্তর। দিনবদল কিংবা আত্মহত্যা শত প্রতিপক্ষের বিপরীতে দিনবদলের হাতিয়ার হিসেবে- দেশ ও সময় আমার দুর্বল হাতে তুলে দিল পিস্তল! হাতে মাত্র একটি বুলেট, কোন লক্ষ্য ভেদ করব আমি? অবশেষে স্থির চিত্তে নিজের দিকেই তাক করলাম নল।