নির্মলেন্দু প্রকাশ গুণ চৌধুরী (জন্ম ২১ জুন ১৯৪৫), যিনি নির্মলেন্দু গুণ নামে ব্যাপক পরিচিত। দেশভাগের পর পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম পরবর্তী ঘটনা বাঙালিকে এক মোহনায় সংযুক্ত করে দেয়। একটি রাষ্ট্র দুইভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে- একদিকে পশ্চিম পাকিস্তান কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালনার দায়িত্বে। অন্যদিকে পূর্ব পাকিস্তান। পূর্ব পাকিস্তান নামক ভূখন্ডে বৈষম্য, দমন পীড়ন, অর্থনৈতিক-সামাজিক ব্যবধান প্রকট হয়ে ওঠে। স্বায়ত্তশাসনের দাবি থেকে মুক্তি সংগ্রামে যুক্ত হয় দেশের আপামর জনতা। ছয় দশকের কবিরা দ্রোহী ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। রাজনীতি, ব্যক্তিগত অনুভব, সমাজের অবক্ষয়, অসঙ্গতি এসব নির্মলেন্দু গুণের কবিতায় নতুন মাত্রা যোগ করে।
ছয় দশকে বাংলাদেশে কবিতা আন্দোলনের এক নতুন ধারা সূচিত হয়! বিষয় বৈচিত্র্য ও আঙ্গিক পরিবর্তন নিয়ে মনোনিবেশ করেন এই সময়ের কবিরা। এই দশকের প্রধান কবি নির্মলেন্দু গুণ বাংলা কবিতাকে শিল্পনন্দন ও জীবন ঘনিষ্ঠভাবে উপস্থাপন করেছেন। তিনি তার কবিতায় মানব-মানবীর প্রেম, শ্রেণি সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ, ব্যক্তিগত অনুভব ও দ্রোহ ধারণ করেছেন। ১৯৭৫-এ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মম হত্যাকান্ডের পর তিনি তার সেসব স্মরণীয় কবিতা নিয়ে প্রকাশ্য অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন। এই সাহস ও দেশপ্রেম তাকে সমগ্র বাঙালির কাছে বিশেষভাবে আদৃত করেছে।
স্কুলের ছাত্রাবস্থায় নির্মলেন্দু গুণ কবিতার মোহনীয় জালে জড়িয়ে পড়েন। খালেকদাদ চৌধুরী সম্পাদনা করতেন উত্তর আকাশ নামে একটি পত্রিকা। এই পত্রিকায় প্রকাশিত হয় তার প্রথম কবিতা। সপ্রতিভ উজ্জ্বল উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় এখানে : উত্তর আকাশ ঢাকা ছিল মেঘের আড়ালে।/যদিও ছিল না আলোর অভাব/যাত্রীরা তবু নীরব/সন্ধ্যা আগত প্রায়/নদীতে ভীষণ ঝড়, নৌকা ডুবু/ছিঁড়ে গেল পাল/বাতাসের বেগ আরও বাড়ে আরও (উত্তর আকাশ : ১৬ জানুয়ারি, ১৯৬২)।
নেত্রকোনা কলেজ বার্ষিকীতেও তার রচিত কিছু কবিতা প্রকাশিত হয়। ১৯৬২-তে রচিত নতুন কান্ডারি, ওই আকাশের নিচে প্রভৃতি কবিতার মাধ্যমে তার সম্মুখ যাত্রা অব্যাহত থাকে।
১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দে নির্মলেন্দু গুণের প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'প্রেমাংশুর রক্ত চাই' প্রকাশিত হয়। ছয় দশকের আন্দোলন, মুক্তি ও সংগ্রাম, ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা, প্রেম-দ্রোহ এই কাব্যগ্রন্থের মূল উপজীব্য বিষয়। তিনি তার কবিতায় বিশেষ ভাষা, বক্তব্য, উপমা-চিত্রকল্পের ব্যবহারের মাধ্যমে সবাইকে সচকিত করেছেন। ঊনসত্তরের উন্মাতাল ঘটনা, লড়াই-সংগ্রাম মুখ্য প্রতিপাদ্য বিষয় হয়ে উঠেছে তার গল্প ও কবিতায়। তিনি বিশ্বাস করেন প্রিয় বস্তু ত্যাগ করার পর স্বাধীনতা অর্জন করা সম্ভব। হুলিয়া কবিতাটি উপস্থাপনার বিশেষত্ব ও ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট বর্ণনা, সাধারণ মানুষের দিনযাপন, আত্মগোপন ও পরবর্তী সময়ের বর্ণনা নির্মলেন্দু গুণ তুলে ধরেছেন এক অসাধারণ দক্ষতায়। ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দের জুলাই মাসে জাতীয় গ্রন্থ কেন্দ্রে তিনি হুলিয়া কবিতাটি পাঠ করেন। এই কবিতার মাধ্যমে বলিষ্ঠ কণ্ঠে জাতির আশা-নিরাশা ও স্বপ্নের কথা কবি উচ্চারণ করেন এইভাবে :
আমি যখন বাড়িতে পৌঁছলাম তখন দুপুর
আমার চতুর্দিকে চিকচিক করছে রোদ
শো-শো করছে হাওয়া।
আমার শরীরের ছায়া ঘুরতে ঘুরতে ছায়াহীন
একটি রেখায় দাঁড়িয়েছে।
কেউ চিনতে পারেনি আমাকে,
ট্রেনে সিগারেট জ্বালাতে গিয়ে একজনের কাছ থেকে আগুন চেয়ে নিয়েছিলুম
মহকুমা স্টেশনে ওঠেই একজন আমাকে জাপটে ধরতে চেয়েছিল
কেউ চিনতে পারেনি আমাকে, একজন রাজনৈতিক নেতা
দূর থেকে বারবার চেয়ে দেখলেন, কিন্তু চিনতে পারলেন না
বারহাট্টায় নেমেই রফিজের স্টলে চা খেয়েছি অথচ কী আশ্চর্য, পুনর্বার চিনি দিতে এসেও
রফিজ আমাকে চিনল না।
আমি বাড়ির পেছন থেকে দরজায় টোকা দিয়ে
ডাকলুম মা
বহুদিন যে দরজায় কোনো কণ্ঠস্বর ছিল না
মরচে পড়া সেই দরজা মুহূর্তেই ক্যাচক্যাচ
শব্দ করে খুলে গেল।
বহুদিন চেষ্টা করেও গোয়েন্দা বিভাগ
আমাকে ধরতে পারেনি।
চৈত্রের উত্তপ্ত দুপুরে, অফুরন্ত হাওয়ার ভেতরে
সেই আমি কত সহজেই মায়ের চোখে চোখ রেখে
একটি অবুঝ সন্তান হয়ে গেলুম
খবর পেয়ে যশমাধব থেকে আসবে ন্যাপকর্মী ইয়াসিন
তিন মাইল বৃষ্টির পথ হেঁটে রসুলপুর থেকে আসবে আদিত্য।
রাতে মারাত্মক অস্ত্র হাতে নিয়ে
আমতলা থেকে আসবে আব্বাস।
ওরা প্রত্যেকেই জিজ্ঞেস করবে ঢাকার খবর
আমাদের ভবিষ্যত কী?
আইয়ুব খান কোথায়?
শেখ মুজিব কি ভুল করছেন?
আমার নামে কতদিন আর এ রকম হুলিয়া ঝুলবে?
আমি কিছুই বলব না
আমার মুখের দিকে চেয়ে থাকা সারি সারি চোখের ভেতরে
বাংলার বিভিন্ন ভবিষ্যতকে চেয়ে চেয়ে দেখব
উৎকণ্ঠিত চোখে চোখ নামবে কালো অন্ধকার
আমি চিৎকার করে কণ্ঠ থেকে অক্ষম বাসনার জ্বালা মুছে নিয়ে
বলব আমি এসবের কিছুই জানি না,
আমি এসবের কিছুই বুঝি না। (হুলিয়া)
মহান মুক্তিযুদ্ধে সংঘবদ্ধ এ দেশের বেশিরভাগ মানুষ। পাকিস্তানি শাসন-শোষণের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে আপামর জনতা। প্রেমাংশুর রক্ত চাই কাব্যগ্রন্থে রাজনৈতিক টানাপোড়েন, একাত্তরের উত্তাল দিনের ঘটনা বাণীবদ্ধ করা হয়েছে। চোখের সামনে ঘটে যাওয়া দুঃখকষ্টের কথা হৃদয় ছুয়ে যায়। হুলিয়া, প্রেমাংশুর রক্ত চাই, অসমাপ্ত কবিতায় স্বদেশ ও সমকালের কথা ওঠে এসেছে। ১৯৭২-এ নির্মলেন্দু গুণের কাব্যগ্রন্থ 'না প্রেমিক না বিপস্নবী' প্রকাশিত হয়। গুণের মতো এত সহজভাবে জীবনের সত্য ক'জন কবি উচ্চারণ করতে পেরেছেন?
জননী নাভিমুল থেকে ক্ষতিচিহ্ন মুছে দিয়ে
উদ্ধত হাতের মুঠোয় নেচে ওঠা, বেঁচে থাকা
হে আমার দুঃখ, স্বাধীনতা তুমি পোশাক পর।
ক্ষান্ত কর উলঙ্গ ভ্রমণ, নয়তো আমার শরীর থেকে
ছিঁড়ে ফেল স্বাধীনতা নামের পতাকা।
বলো উলঙ্গতা স্বাধীনতা নয়
বলো দুঃখ কোনো স্বাধীনতা নয়
বলো ঘৃণা কোনো স্বাধীনতা নয়
(স্বাধীনতা, উলঙ্গ কিশোর)
প্রেমের সঙ্গে তিনি অনেক বিষয় যোগ করেছেন। জীবনের আনন্দ-বেদনা, চারপাশের টুকরো ছবি তার কবিতার বিষয় হিসেবে অসামান্য হয়ে ফুটে উঠেছে। এ যেন এক ধরনের পরীক্ষা কবিতার অতল সমুদ্রে অবগাহনের। যে কোনো বিষয়, ঘটনা কবিতায় একীভূত করে সৌন্দর্যময় করে তোলার ক্ষমতা তার রয়েছে। পেস্নটোনিক প্রেম তাকে আকর্ষিত করে বটে কাম-বাসনা দেহজ চাহিদা তিনি অস্বীকার করেননি কোনো সময়। এ তো জীবনেরই অংশ। নির্মলেন্দু গুণ অকপটে জীবনকে উপলব্ধি করেছেন। তিনি বলেন, রান্নাঘর থেকে টেনে এনে স্তনগুচ্ছে চুমু খাও তাকে/বাথরুমে ভেজানো দরজা ঠেলে অনায়াসে ঢুকে যাও-/সে সেখানে নগ্নদেহে স্নানার্থেই তৈরি হয়ে আছে/আলোকিত দুপুরের কাছে- মনে রেখো,/তোমার রাত্রি নেই। অন্ধকার বলে কিছু নেই।/বিবাহিত মানুষের কিছু নেই একমাত্র স্ত্রীশয্যা ছাড়া (স্ত্রী...।)
রাজনীতি সচেতন কবি নির্মলেন্দু গুণ স্মৃতি ও রমণী-প্রেম কাতর। প্রেরণাদাত্রী নারীকে তিনি স্নিগ্ধ শূচিশুভ্র দেবী জ্ঞান করেন। এসব প্রাণের আকুতি প্রবল তৃষ্ণায় আবিষ্কার করা দুরূহ। নির্মলেন্দু গুণ সেই কাজটি সহজেই করতে পারেন। যাকে পাওয়া যায়নি তার ছবি আঁকা কিংবা যে ছিল তার কাছে কবি সমর্পিত। নির্মলেন্দু গুণ একজন প্রকৃত প্রেমিকের মর্মপীড়াতে ভোগা কবি। প্রেমিকা চলে যাচ্ছে, প্রেমিকের মন বিরহক্লিষ্ট। তিনি কান্নার কলেস্নাল কিংবা আকাশ ভেঙে পড়ার আর্তনাদ শুনতে পান। তিনি এক সময় উচ্চারণ করেন, ওখানে কি খোঁজ তুমি। ওটা কিছু নয়, ওটা দুঃখ/রমণীর ভালোবাসা না পাওয়ার চিহ্ন বুকে ওটা নদী (কবিতা অমীমাংসিত রমণী) সেই কবি স্মৃতির কাছে নতজানু, প্রেমিকার চলে যাওয়াতে তার পৃথিবী ওলোট-পালোট হয়ে যায়। তিনি বাতাসে মৃতু্যর গন্ধ খুঁজে পান, আকাশ ভেঙে পড়তে দেখেন নদীর জ্যোৎস্নায়। তার মানস প্রতিমা নত হয়ে যায়। তিনি সমস্ত ভালোবাসা উজাড় করে কবিতায় উজাড় করে দেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে তিনি অসংখ্য কবিতা রচনা করেছেন। হুলিয়া কবিতাটিতে স্মর্তব্য- শেখ মুজিব কি ভুল করছেন? যখন বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিকভাবে নিষিদ্ধ ছিলেন তখন নির্মলেন্দু গুণ জনসম্মুখে তাকে নিয়ে রচিত কবিতাটি পাঠ করেছেন। ১৬ আগস্ট ১৯৭৫ শীর্ষক কবিতায় তিনি বলেন, আজ স্বাধীনতা, এই শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো, সেই রাতের কল্পকাহিনি প্রভৃতি কবিতায় মুজিব বন্দনা, নির্মম হত্যাকান্ডের প্রতিক্রিয়ায় অনুরণিত :
একটি কবিতা লেখা হবে তার জন্য অপেক্ষার উত্তেজনা নিয়ে
লাখ লাখ উন্মত্ত অধীর ব্যাকুল বিদ্রোহী শ্রোতা বসে আছে
ভোর থেকে জনসমুদ্রের উদ্যান সৈকতে কখন আসবে কবি?
এই বৃক্ষে ফুলে শোভিত উদ্যান সে দিন ছিল না,
এই তন্দ্রাচ্ছন্ন বিবর্ণ বিকেল সেদিন ছিল না
তা হলে কেমন ছিল সেই বিকেল বেলাটি?
তা হলে কেমন ছিল শিশুপার্কে, বেঞ্চে, বৃক্ষে, ফুলের বাগানে
ঢেকে দেওয়া এই ঢাকার হৃদয় মাঠখানি?
হে অনাগত শিশু, হে আগামী দিনের কবি,
শিশুপার্কের রঙিন দোলনায় দোল খেতে খেতে তুমি
ক'দিন সব জানতে পারবে, আমি তোমাদের কথা ভেবে
লিখে রেখে যাচ্ছি সেই শ্রেষ্ঠ বিকেলের গল্প।
সেই দিন এই উদ্যানের রূপ ছিল ভিন্নতর।
না পার্ক না ফুলের বাগান -এসবের কিছুই ছিল না,
শুধু একখন্ড অখন্ড আকাশ যে রকম, সে রকম দিগন্ত পস্নাবিত
ধু ধু মাঠ ছিল দূর্বাদলে ঢাকা, সবুজের সবুজময়।
আমাদের স্বাধীনতা প্রিয় প্রাণের সবুজ এসে মিশেছিল
এই ধু ধু মাঠের সবুজে।
শত বছরের শত সংগ্রাম শেষে,
রবীন্দ্রনাথের মতো দৃপ্ত পায়ে হেঁটে
অতপর কবি এসে জনতার মঞ্চে দাঁড়ালেন।
তখন পলকে দারুণ ঝলকে তরীতে উঠিল জল,
হৃদয়ে লাগিল দোলা, জনসমুদ্রে জাগিল জোয়ার
সকল দুয়ার খোলা, কে রোধে তাহার বজ্রকণ্ঠ বাণী?
গণসূর্যের মঞ্চ কাঁপিয়ে কবি শোনালেন তার অমর কবিতাখানি
'এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম,
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম'
সেই থেকে স্বাধীনতা শব্দটি আমাদের মানুষ, মানবিকতা, প্রেম-দ্রোহ, দেশাত্মবোধ নির্মলেন্দু গুণের কবিতার প্রধান উপজীব্য বিষয়। তিনি যেমন রাজনৈতিক চেতনার কবিতা রচনা করেছেন তেমন প্রেম-বিরহ, একাকীত্বের যন্ত্রণা, প্রকৃতি মুগ্ধতা নিয়ে সৃষ্টি করেছেন অসংখ্য পঙ্ক্তিমালা। তার কবিতায় মায়া, ছায়া ও অস্তিত্বের বহুতল উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে। শুধুমাত্র আবেগসর্বস্ব-পঙ্ক্তি রচনা করে অনেক কবি জনপ্রিয় হওয়ার দিকে ঝুঁকেছেন। নির্মলেন্দু গুণ এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। তার কবিতায় এক স্বতন্ত্র স্বর আবিষ্কৃত হয়েছে। দেশের পলিমাটির ঘ্রাণ, সাধারণ মানুষের জীবনযাপন, সংগ্রাম থেকে শুরু করে নিম্ন মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্তের চিন্তাধারার রূপান্তর কবিতার অন্তপ্রাণ। নেকাব্বর, রেখা কিংবা অন্য কেউ ঘুরে ফিরে এসেছে বাংলার প্রতিনিধি হয়ে। একই সঙ্গে পরিণত ও তরুণের হৃদয়ানুভূতি তার কবিতার বিষয়বস্তু হয়ে যায়। সময় নির্মলেন্দু গুণের কবিতার অবস্থান বিচার করবে। এ মুহূর্তে শুধু বলা সঙ্গত, তিনি সমকালকে ধারণ করেছিলেন যথাযথভাবে। বিদ্রোহ, প্রেম ও মানবিক সম্পর্ক এক সঙ্গে মিলিয়ে তিনি যে কবিতা নির্মাণ করেন তা আমাদের জীবনের থেকে নেওয়া গল্প। তাকে জন্মদিনের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। মানুষ, মানবিকতা, প্রেম-দ্রোহ, দেশাত্মবোধ নির্মলেন্দু গুণের কবিতার প্রধান উপজীব্য বিষয়। রাজনৈতিক চেতনার কবিতা তিনি যেমন রচনা করেছেন তেমন প্রেম-বিরহ, একাকীত্ব, প্রকৃতি ও মানুষের ভন্ডামির স্বরূপ উন্মোচন করেছেন তার কবিতায়। সুন্দর এক পৃথিবীর জন্য কবি অপেক্ষা করে আছেন। তার কবিতায় মায়া-ছায়াও অস্তিত্বের বহুতল উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে প্রতিনিয়ত। নির্মলেন্দু গুণ দ্রোহ-প্রেম একসঙ্গে মিলিয়ে যেসব কবিতা রচনা করেন তা আমাদেরই জীবনের বাস্তব গল্প। কবিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।