চিরকুমার ওয়াল্ট হুইটম্যান ছিলেন গণতন্ত্রের কবি এবং তাকে আমেরিকার জাতীয় কবি বলা হয়। তিনি তার লেখায় সর্বদা আমেরিকার নিপীড়িত মানুষের কথা বলেছেন। এছাড়া, তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করার প্রয়াস চালিয়েছেন। রাজনৈতিক পাঁয়তারায় হুইটম্যানের সাংবাদিকতা পেশার সমাপ্তি ঘটলেও তার কবিতা লেখার সমাপ্তি ঘটেনি। সর্বজনীনতা ছিল হুইটম্যানের কবিতার মূল সুর। বিশ্ব প্রকৃতির প্রতিটি বস্তু ও ঘটনার মধ্যে তিনি সৌন্দর্য দেখেছেন। গণতান্ত্রিক জীবনধারায় গভীরতম বিশ্বাস নিয়ে ধর্ম, বর্ণ, শ্রেণি নির্বিশেষে সবাইকে দেখেছেন মানবিকতার দৃষ্টিতে।
ওয়াল্ট হুইটম্যানের জন্ম ১৮১৯ সালে নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ডে। খুব তরুণ বয়স থেকেই তিনি ছিলেন উদ্যমী ও প্রথাবিরোধী- যা তার কবিতায় পুরোপুরি প্রকাশ পেয়েছে। তিনি এমনই একজন রোমান্টিক কবি যিনি নিজের 'আমিত্ব' বা 'অহম-কে সর্বোচ্চ আবেগ দিয়ে প্রকাশ করেছেন। তার ব্যক্তিক উচ্ছ্বাস ও নিয়ম ভাঙার সচেতন প্রয়াস তাকে অগ্রগণ্য আমেরিকান রোমান্টিক কবি হিসেবে চিহ্নিত করেছে। উনিশ শতকের দাপুটে আমেরিকান কবিদের পরিচয় করিয়ে দিতে বললে সবার আগে আসবে ওয়াল্ট হুইটম্যানের নাম। অনেক সমালোচকের অবস্থান অবশ্য আরও একধাপ ওপরে। তাদের মতে, হুইটম্যান গোটা জাতির ইতিহাসে শ্রেষ্ঠতম কবি। এমন দাবির পেছনে যুক্তি যে নেই, তা নয়। তার কবিতার বই 'খবধাবং ড়ভ এৎধংং' পরিণত হয়েছে আমেরিকান সাহিত্যের অপ্রতিদ্বন্দ্বী মাস্টারপিস হিসেবে। কবিতা ছাড়াও সাংবাদিকতা এবং সামরিক হাসপাতালে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করেছেন হুইটম্যান। জীবনকে দেখেছেন কাছে থেকে। তাই সারাজীবন ধরেই কাব্যগ্রন্থটি পরিমার্জন এবং সংস্কার করেছেন নিজের পরিণত চিন্তার প্রলেপে। প্রকৃতপক্ষে হুইটম্যান কবিতাগুলো লেখার সময় কয়েকটি বিষয় দ্বারা তাড়িত ছিলেন। বিশেষ করে নাগরিক জীবন, নিউইয়র্ক শহরের ব্যস্ততা ও ভিড়, আধুনিক আবিষ্কারে মানবজীবনের পরিবর্তন এবং সেই সময়ের উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতি তাকে অনুপ্রাণিত করে। হুইটম্যান প্রায়ই চেয়েছিলেন সাধারণের কবি হয়ে উঠতে- যা তার কবিতায় হামেশাই অনুপস্থিত।
কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশের পরপরই ভক্তশ্রেণি গড়ে ওঠে তার। সাড়া পড়ে যায় নতুন স্বর ও সুরের টের পেয়ে। একটা বই উপহার হিসেবে রালফ্ ওয়ালডো এমারসনকে পাঠানো হয়েছিল। তিনি পাঠ করে অভিভূত হয়ে হুইটম্যানকে পত্র পাঠিয়েছিলেন- 'একটা বিশাল জীবনের প্রাক্কালেই তোমাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।' খুব সম্ভবত হুইটম্যান ৮০০ কপি ছেপেছিলেন প্রথম সংস্করণে। ঠিক পরের বছরই দ্বিতীয় সংস্করণ বের করতে হলো। এবার তাতে যোগ করা হলো আরও ২০টি কবিতা। তার কবিতায় আমেরিকার মহান স্বাধীনতার আদর্শ মূর্ত হয়ে উঠেছে। নিজের প্রাণ-প্রাচুর্য, উদ্ভাবনী শৈলী ও জাতীয় মানসিকতাকে তার কবিতায় এতটাই তুলে ধরেছেন যে, তার কবিতা না পড়ে আমেরিকান সাহিত্য আলোচনা বাহুল্য মাত্র। এমিলি ডিকিনসনের পাশাপাশি তিনি আমেরিকার অন্যতম প্রধান কবি হিসেবে বিবেচিত। 'লিফস অব গ্রাস'-এর দেড়শতম বার্ষিকীর সূচনায় সাহিত্য সমালোচক হ্যারল্ড বস্নুম লিখেছিলেন, 'আপনি যদি আমেরিকান হন, তবে ওয়াল্ট হুইটম্যান আপনার মানসিক বাবা এবং মা।'
১৮৬১ সালে আমেরিকায় গৃহযুদ্ধ শুরু হলো। হুইটম্যানের ভাই জর্জ যোগ দিলেন নিউইয়র্কের পদাতিক বাহিনীতে। ১৮৬২ সালের ডিসেম্বরের দিকে ফ্রেডেরিখসবার্গের যুদ্ধে ভাইয়ের আহত হওয়ার খবরে চলে গেলেন ভার্জিনিয়া। আহতদের অবস্থা, যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতি এবং যোদ্ধাদের অবস্থা হুইটম্যানকে প্রভাবিত করে দারুণভাবে। ওয়াশিংটনের সামরিক হাসপাতালে আহতদের চিকিৎসায় স্বেচ্ছাসেবীর কাজ শুরু করে দিলেন। আহত যোদ্ধাদের সঙ্গে তার মেলামেশা এবং ঘোরাঘুরি গৃহযুদ্ধের বহু কবিতার বিষয়বস্তু সৃষ্টিতে ভূমিকা রেখেছে। পরে এগুলো সংগ্রহ করে প্রকাশ করা হয় বইয়ের আকারে; নাম উৎঁস-ঞধঢ়ং। ওয়াশিংটন ভ্রমণের সময়েই হুইটম্যান প্রায়ই আব্রাহাম লিংকনকে দেখতে পেতেন। লিংকনের প্রতি তার ছিল অগাধ শ্রদ্ধা। উপস্থিত হয়েছিলেন ১৮৬৫ সালের ৪ মার্চ প্রেসিডেন্টের দ্বিতীয় দফায় অভিষেক অনুষ্ঠানেও। এই অভিষেক নিয়ে হুইটম্যান একটি প্রবন্ধও লেখেন; যা প্রকাশিত হয় নিউইয়র্ক টাইমসে সে বছরই মার্চের ১২ তারিখ রোববারে। ঘটনাটিকে তিনি জাতীয় দুর্যোগের মাঝখানে একটি শুভ সংকেত হিসেবে গণ্য করেছিলেন। দুর্ভাগ্যক্রমে তার প্রত্যাশা পূরণের সুযোগ না দিয়ে আততায়ীর হাতে মৃতু্যবরণ করেন লিংকন। তাকে নিয়ে তার লেখা বিখ্যাত কবিতা- ঙ ঈধঢ়ঃধরহ, সু ঈধঢ়ঃধরহ।
হুইটম্যানের সবচেয়ে উলেস্নখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ 'লিফস অব গ্রাস' ১৮৫৫ সালে প্রকাশিত হয়। আমেরিকান মহাকাব্য লেখার উদ্দেশ্যে একে হুইটম্যান সাধারণ মানুষের জন্য সহজ ভাষা ও শৈলীতে মুক্তছন্দে লিখেছেন। নিজের ব্যক্তিসত্তার শ্রেষ্ঠত্বকে উদযাপন করেছেন প্রমেথিয়ান কিংবদন্তির ভাষায়। এই বোধেই শক্তি ও প্রাণ-প্রাচুর্যে ভরা উচ্চারণে 'সং অব মাইসেলফ' কবিতায় তিনি লেখেন :
আমি একটুও পোষ মানিনি/আমি অনুবাদযোগ্য নই
আমার বন্য ধ্বনি উচ্চারণ করি
পৃথিবীর শিখরে উঠে...
রোমান্টিক কবিতার প্রধান বৈশিষ্ট্য ব্যক্তি-অহম চেতনার অনাবিল প্রকাশ। তীব্র অহমবোধ হুইটম্যানের কবিতায় এক ভিন্ন ব্যঞ্জনা এনে দিয়েছে। নিজেকে এমন অকপটভাবে প্রকাশের মধ্য দিয়ে হুইটম্যান ইন্দ্রিয়পরায়ণতা বা 'ংবহংঁধষরঃু'-কে এক নতুন মাত্রায় প্রকাশ করেছেন। মতে, পথে ও প্রকাশে হুইটম্যান বিদ্রোহী। তা সে কবিতা লেখার ক্ষেত্রে হোক, আর ব্যক্তিগত জীবনে হোক, কোথাও হুইটম্যান কোনো তন্ত্র-মন্ত্রের ধার ধারেননি। তার কাছে একমাত্র বিবেচনার বিষয় ছিল মহাপ্রকৃতি। হুইটম্যানের রোমান্টিক সত্তা দেহ ও আত্মার চরম উদ্বোধন ও উদযাপনের পক্ষে। এমনকি কাম সম্পর্কিত কথাবার্তাও তিনি রাখঢাক ছাড়াই বলতেন- ইন্দ্রীয়পরায়ণ ইচ্ছাগুলো যেন অতিন্দ্রীয়কে ধরার চেষ্টা। তিনি নগ্ন স্নান এবং নগ্ন রোদ উপভোগ করতেন। এ 'সান-বাথড-নেকডনেস' কবিতায় তিনি নগ্ন স্নান এবং নগ্ন রোদ উপভোগ করেছেন। এর আগে আমি কখনই প্রকৃতির এত কাছে যাইনি; এর আগে কখনো সে আমার এত কাছাকাছি আসেনি... প্রকৃতি উলঙ্গ ছিল এবং আমিও ছিলাম...
১৯২২ সালে প্রকাশিত 'বিদ্রোহী' কবিতায় নজরুলের যে দ্রোহ প্রকাশ পেয়েছে তারও অনেক আগে ১৮৫৫ সালে লেখা 'সং অব মাইসেলফ' কবিতায় হুইটম্যান রোমান্টিক আত্মদর্শনের চূড়ান্ত প্রকাশ করেছে এভাবে :
আমি নিজেকে উদযাপন করি এবং নিজেই গান করি,
এবং আমি যা অনুমান করি আপনি তা ধরে নেবেন,
ভালো প্রতিটি পরমাণু আমার হিসেবে আপনার জন্য।...
হুইটম্যান চেয়েছেন এমন ভাষায় লিখতে যা হবে 'ঘাসের মতো সহজ'। এ কারণেই তার কবিতার ভাষা ও শৈলী আমজনতার কাছে পৌঁছাতে পেরেছে। এটি তার গণতান্ত্রিক মানসের পরিচায়ক।
তবুও মনে রাখা ভালো, হুইটম্যান যতই গণতান্ত্রিক হোন, শেষ পর্যন্ত তিনি কিন্তু নিজের ব্যক্তিসত্তাকে তার কবিতায় প্রধানভাবে প্রতিধ্বনিত করছেন। 'অৎব ুড়ঁ :যব হবি ঢ়বৎংড়হ ফৎধহি :ড়ধিৎফ সব?' কবিতায় তিনি বলেছেন :
আমার প্রতি কি তুমি আকৃষ্ট নতুন মানব?
আগেই বলে দেই হে! আমি কিন্তু একেবারেই আলাদা!...
হুইটম্যানের বিদ্রোহী চেতনার সঙ্গে এখানে নজরুল মানসের তুলনা করা যায়। হুইটম্যানের মতো নজরুল তার কবিতায় বুনোভাবে নিজেকে মেলে ধরেছেন। বিশেষ করে 'বিদ্রোহী' কবিতা নজরুলের আত্মোদ্বোধনের সার যেখানে তিনি 'আমি' বা রোমান্টিক সত্তাকে বিবেচনা করেছেন। কিন্তু নজরুলের 'আমি' কখনোই সমষ্টির কাছে সমর্পিত না। নজরুলের স্বকীয়তাবোধ স্পষ্ট। একই ধরনের :
'আমি আপনারে ছাড়া করি না কাহারে কুর্নিশ'
নজরুলের বিদ্রোহী সত্তা প্রচন্ড গতিশীল ও বন্ধনহীন। আধুনিক মানুষের চরম আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে আবহমান মানুষের জীবন-সংগ্রামকে বিভিন্ন পৌরাণিক কাহিনীর সংমিশ্রণ ঘটিয়ে নজরুল ব্যক্তিকে প্রমিথিউসের উচ্চতায় নিয়ে গেছেন- অস্তিত্ববাদী দর্শনের সার তিনি ধারণ করেছেন আপন মানসলোকে। তাকে খুঁজে পাই তীব্র জীবনবাদী দ্রোহী হিসেবে, যখন তিনি লেখেন:
আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা,
করি শত্রম্নর সাথে গলাগলি, ধরি মৃতু্যর সাথে পাঞ্জা,
আমি উন্মাদ, আমি ঝঞ্ঝা!
কবির 'সং অব মাইসেলফ' কবিতাটি গোটা বিশ্বের মানুষের উদ্দেশে একটি দীর্ঘ ভাষণ। সং অব মাইসেলফ কোনো একক সত্তার গান নয়। এটি সব সত্তার কথা বলে এবং ধীরে ধীরে বিশ্বসত্তায় রূপান্তরিত হওয়ার রহস্য প্রকাশ করে। হুইটম্যানের 'আমি' সবকিছু ধারণ করে। তিনি যখন নিজ সত্তার গান করেন তখন তিনি গোটা মানবতারই গান করেন। কবির কাছে আধ্যাত্মিক ও প্রাকৃতিক উভয় সত্তার মিলিত রূপই পরিপূর্ণ সত্তা। কবি এই কবিতার মধ্য দিয়ে দাবি করেন যে আত্মসত্তা স্বর্গীয় সত্তার একটি অংশ মাত্র। তিনি সবকিছুর মধ্যে নিজেকে দেখতে পান। মোট কথা বিশ্বসত্তার মধ্যে তিনি একক সত্তাকে একাকার রূপে দেখতে পান। রচনাশৈলীর বিবেচনায় কবিতাটি প্রচলিত কথা ও ছন্দ থেকে ভিন্ন। যদিও কবিতাটির বিষয়বস্তু অনেক ঊর্ধ্বের কিন্তু সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছার জন্য কবি তার এ কবিতায় সাধারণ ব্যবহৃত শব্দাবলি ব্যবহার করেছেন। তার পদ্যরূপও বেশ সহজ। আত্মসত্তার ধারণা, বিভিন্ন সত্তার সঙ্গে একাত্মীকরণ ও বিশ্বসত্তার সঙ্গে আত্মসত্তার মিলিত হওয়ার অভিযাত্রাই এ কবিতার মূল বিষয়।
সারা জীবনই হুইটম্যান ছিলেন রাজনীতি সচেতন। তিনি উইলমট প্রোভিসোর সমর্থক ছিলেন এবং এক সময়ে দাসত্বপ্রথা বিলোপের ডাক দিয়েছিলেন হুইটম্যান। যদিও পরে দাসত্ববিলোপবাদী আন্দোলনকে তিনি গণতন্ত্রের পক্ষে ক্ষতিকর মনে করতে শুরু করেন। হুইটম্যানের কবিতায় জাতিগোষ্ঠী সম্পর্কে সমতাবাদী সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পাওয়া যায়। হুইটম্যান একজন চেতনা মরমি সাধক। হুইটম্যানের মরমিবাদিতা প্রাচ্যজগতের মরমিবাদ থেকে ভিন্ন। হুইটম্যান বিশ্বাস করেন যে একজন মরমিবাদী আত্মার সঙ্গে পরমাত্মার সংযোগ বা সম্পর্ক স্থাপন করতে সক্ষম। এ চিন্তায় হুইটম্যান একজন সত্যিকার মরমিবাদী। কিন্তু প্রাচ্যের মরমিবাদী বিশ্বাস করে যে আত্মা ও পরমাত্মার মধ্যে সংযোগ স্থাপন সম্ভব একমাত্র বোধের বিজয় বা কৃচ্ছ্রসাধনা এবং দৈহিক চাহিদা নিবৃত্তির মাধ্যমে। কিন্তু অপরপক্ষে হুইটম্যান বিশ্বাস করেন, যে দৈহিক চাহিদা বিনাশ না করেও আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতা অর্জন করা সম্ভব। মরমিবাদী হুইটম্যান বিশ্বাস করতেন যে সৃষ্টি ও স্রষ্টার মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। তার সত্তাই যেন বিশ্বসত্তা। কবি বিশ্বের সব মানুষ নারী-পুরুষ, হোক না তা ভিন্ন বয়সের, ভিন্নবর্ণের ও বিভিন্ন অঞ্চলের সবাইকে কবি স্বর্গীয় সত্তার সঙ্গে ভালোই বাসেন না। তিনি মনে করেন যে, তিনি তাদের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ১৮৯২ সালের ২৬ মার্চ নিউজার্সির ক্যামডেনে পরলোকগমন করেন আমেরিকার মহাকবি ও আলোকিত মানুষ ওয়াল্ট হুইটম্যান।
বিষয়বস্তু আর রচনার ধরনে হুইটম্যানের কবিতা সাহিত্যে বিপস্নবের চেয়ে কোনো অংশে কম ছিল না। পরে অনেক কবিই তার দেখানো পথে হেঁটেছেন। কবিতাকে আবিষ্কার করেছে নতুন করে। এখন অবধি হুইটম্যান ইংরেজি সাহিত্যের ইতিহাসের অনন্য মাইলফলকের নাম। আর খবধাব ড়ভ এৎধংং থেকে পাঠ্য করা হয় বিশ্বব্যাপী কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে।