প্রাচীন মন্দির

প্রকাশ | ১৭ মে ২০২৪, ০০:০০

তপন কুমার দাশ
এখানে, নদীতীরে বটবৃক্ষতলে ঠায় দাঁড়িয়ে- রয়েছে এক প্রাচীন মন্দির, দু'হাত বাড়িয়ে। ভক্তকুল আসে আরতির থালা ফুল-ফল লবদ্য লয়ে। কারো চাই ধন কারো চাই বল আরো কত কিছু চাই। সাবধানে পথ চলে পথিকেরা। অকারণে লোকে কত কথা বলে পথে পথে, করজোড়ে সবে নমি দেবতারে- ভিক্ষা চায় কত কিছু, কে জানে কার তরে। মনে নেই কারো, সেই কবে কতকাল আগে হয়তো কোন এক রাজপ্রভু পেয়েছিল ভাগে অফুরান ধন। হয়তো বা তারই কিছু দিয়ে গড়ে দেন এই ধাম শত আশা বুকে নিয়ে। কত আলোচনা জয়ধ্বনী, জয় মহারাজ বলে হেসে উঠে নারীকুল, লয়ে কত সাজ। সবে আজ নেই কাজ, সবে ভুলে গেছে যুগের কথা বীরত্ব গাথা সবই গেছে মুছে। নই আজ রাজপুর কিংবা কোন রাজঘাট রাজবাড়ি ভেঙে গেছে কবে লেগেছে কপাট সবে গেছে চলে কোথা যেন সব কিছু ছেড়ে গৗরব গাথা সকলি গিয়েছে ধূলিসম উড়ে। কাথা সেই মহারাজ, মুছে গেছে সব পরাক্রম রমণীদের উচ্চ হাসি, রাজপুরে সব বিক্রম। শুধু একা জাগে এ মন্দির, উচ্চে তুলে শীর সাক্ষী হয়ে বটবৃক্ষতলে সে ভক্ত তপস্বীর।